রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন হরিহর আত্মা। রবীন্দ্রনাথ তখন কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বাস করেন। ওদিকে বিজ্ঞানী মশাই কবিকে দেখতে গবেষণা-টবেষণা ছেড়ে কলকাতা থেকে পাড়ি দিতেন শিলাইদহে। থাকতেন অনেকদিন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাবিবারিক বোটে চেপে সপরিবারে বেরিয়ে পড়তেন পদ্মার কোনও চরে। নির্জন চরে কিছুদিন ছেলেপুলে নিয়ে বাস করতেন বেদে-বেদেনীদের মতো। সাথে থাকতেন জগদীশ বসুও।
জগদীশ বসুর ভাব শুধু রবীন্দ্রনাথের সাথেই ছিল না। তাঁর ছেলেমেয়েদের বন্ধু ছিলেন তিনি। বিশেষ করে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রথীন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথের বড় ছেলে। জগদীশ বসুর সাথে তিনি এখানে-সেখানে ঘুরে বেড়াতেন। কচ্ছপের ডিম খুঁজে বেড়াতেন চরের বালুতে। কখনও কখনও কচ্ছপ ধরে তার মাংসও খেতেন। এসব কাজে তার গুরু জগদীশচন্দ্র বসু।
জগদীশচন্দ্র বসু শিলাইদহে আসতেন শীতকালে। শীতে রোদ পোহাতে কার না ভালো লাগে। তবে ভয় লাগে গোসল করতে গেলে। আমাদের যেমন লাগে, বিজ্ঞানীদের লাগে। তার ওপর পদ্মার পানি এসময় একেবারে বরফশীতল। কিন্তু গোসল তো করতে হবে। তাই একটা অদ্ভুত ফন্দি আঁটেন বিজ্ঞানী মশাই।
শীতকালে পদ্মার পানি কমে যায়। দুপাশে বালুচর। নরম বালিতে কবরের মতো গর্ত খুঁড়তেন জগদীশ চন্দ্র বসু। অনেকগুলো গর্ত। সেই গর্তের একটাতে তিনি শুতেন। আর অন্যগুলোতে রবীন্দ্রনাথের ছেলেমেয়েরা। মাথায় একটা ভেজা গামছা জড়িয়ে নিতেন। তারপর গর্তের ভেতর শুয়ে শরীরে লাগাতেন শীতের মিষ্টি রোদ । বেশ কিছুক্ষণ এভাবে থাকার পর শরীর গরম হয়ে উঠত। আর রোদ সহ্য করতে পারতেন না। তখন রীবন্দ্রনাথের ছেলেমেয়েদের নিয়ে দৌড়ে ঝাঁপ দিতেন পদ্মার বুকে। উত্তপ্ত শরীরের পদ্মার শীতল জলের ছোঁয়ায় ভেসে যেতেন প্রশান্তির সাগরে। এ ঘটনা রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন তাঁর বিখ্যাত ইংরেজি বই অন দ্য এজেস অব টাইম-এ।
জগদীশ চন্দ্র বসু বাংলার বিজ্ঞানীদের অগ্রদূত। তিনিই বিশ্ববাসীকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আমরাও বিজ্ঞানী হতে পারি। তাঁর সম্পর্কে একটা কথা চালু আছে—তিনিই নাকি প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন যে, গাছেরও প্রাণ আছে। এ কথাটা কতটুকু ঠিক, একটু পরেই তা জানাচ্ছি। তাঁর সম্পর্কে আরেকটি কথাও প্রচলিত আছে। তিনিই নাকি প্রথম রেডিও বা বেতার যন্ত্রের প্রথম আবিষ্কারক। এ কথাটা কিছুটা সত্যি। বাংলা ভাষার প্রথম সায়েন্স ফিকশন ‘পলাতক তুফান’-এর লেখক কিন্তু জগদীশচন্দ্র বসু।
স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর জন্ম ৩০ নভেম্বর, ১৮৫৮ সালে। ময়মনসিংহ শহরে। কিন্তু তাঁদের বাড়ি ছিল সে কালের ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রামে। বর্তমানে মুন্সিগঞ্জের জেলায় অবস্থিত এই রাঢ়িখাল গ্রাম। তাঁর বাবার নাম ভগবানচন্দ্র বসু। জগদীশের যখন জন্ম হয়, তখন ভগবান বসু ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক। পরে তিনি ফরিদপুর ও বর্ধমান জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ময়মনসিংহ জেলা স্কুলেই পড়ালেখার প্রথম পর্ব শুরু করেন জগদীশচন্দ্র বসু।
জগদীশচন্দ্রের স্থানীয় স্কুলের পাঠ শেষ হলো নয় বছর বয়সে। তারপর তাঁকে ভর্তি করানো হলো কলকাতার হেয়ার স্কুলে। কিন্তু ইংরেজিতে ভালো করতে পারছিলেন না জগদীশ বসু। তাই মাত্র তিন মাস পড়েছিলেন হেয়ার স্কুলে। তারপর তাঁকে ভর্তি করানো হলো কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে। ষোলো বছর বয়সে ওই স্কুল থেকেই প্রথম বিভাগে এন্ট্রাস পাশ করেন জগদীশ বসু। পরে ভর্তি হলেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে।
ওই কলেজে ফাদার লাঁফো নামের এক পাদ্রি ছিলেন বিজ্ঞানের অধ্যাপক। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান পড়াতেন খুব সহজ ও সুন্দরভাবে। তাঁর পড়ানোর গুণেই বিজ্ঞানকে ভালবেসে ফেলেন জগদীশচন্দ্র বসু। ১৮৭৯ সালে ২১ বছর বয়সে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ওই বছরই তাঁকে ডাক্তারি পড়ার জন্য বিলেত পাঠানো হয়। অসুস্থতার কারণে জগদীশ বসু ডাক্তারি পড়েননি। সেখানে বিখ্যাত বিজ্ঞানী লর্ড র্যালের সাথে জগদীশের পরিচয় হয়। তিনিই জগদীশচন্দ্রকে উত্সাহ দেন বিজ্ঞান পড়ার জন্য। ১৮৮৪ সালে বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন জগদীশচন্দ্র।
১৮৮৫ সালে ফিরে আসেন দেশে। যোগ দেন প্রেসিডেন্সি কলেজে, পদার্থবিজ্ঞানের অস্থায়ী অধ্যাপক পদে। একটানা ত্রিশ বছর তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজের শিক্ষক ছিলেন। চাকরি জীবনের শুরুটা সুখকর ছিল না জগদীশ বসুর। ওই কলেজের প্রায় সব শিক্ষকই ইউরোপিয়ান। ব্রিটিশ সরকার মনে করত, ভারতীয়দের তুলনায় ইউরোপিয়ানদের মর্যাদা অনেক বেশি। তাই ইউরোপীয় শিক্ষকদের যে বেতন দেয়া হত, বসুকে দেয়া হলো তার তিন ভাগের এক ভাগ। এই অন্যায় জগদীশ বসু মানতে পারলেন না। বেতন না নিয়েই শিক্ষকতা শুরু করলেন। বিজ্ঞান শিক্ষক হিসেবে ভারতীয়রা যে ইউরোপীয়দের সমান দক্ষ হতে পারে, তা জগদীশ বসু প্রমাণ করেছিলেন। তাঁর হাত ধরেই বেরিয়ে আসে সত্যেন বোস আর মেঘনাদ সাহার মতো বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীরা।
প্রেসিডেন্সি কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি জগদীশ বসু শুরু করলেন গবেষণা। তখন প্রেসিডেন্সি কলেজে ভালো মানের গবেষণাগার ছিল না। অধ্যাপক বসু স্থানীয় মিন্ত্রীদের ট্রেনিং দিয়ে কম টাকায় নানা ধরনের সরঞ্জাম তৈরি করে নিলেন।
বিজ্ঞানী জেমস ক্ল্যার্ক ম্যাক্সওয়েলের বিদ্যুৎচুম্বক তরঙ্গ সম্পর্কে কয়েকটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। সেগুলো তিনি পরীক্ষাগারে প্রমাণ করতে পারেননি। তবে অঙ্ক কষে প্রমাণ করেছিলেন। সেটা ১৮৬৫ সালের কথা। পরে সেগুলো নিয়ে গবেষণা করেন জার্মান বিজ্ঞানী হেনরিখ হার্জ। ১৯৮৭ সালে তিনি ম্যাক্সওয়েলের ভবিষ্যদ্বাণী প্রমাণ করলেন । আবিষ্কার হলো বিদ্যুৎচুম্বক তরঙ্গ। হার্জের এই গবেষণা সারা দুনিয়ায় আলোড়ন তোলে। হার্জ যখন জার্মানিতে বসে গবেষণা করছেন, সুদূর কলকাতায় বসে একই গবেষণা করছেন জগদীশচন্দ্র। ভারতে তখন বিজ্ঞান গবেষণা কেউ শুরুই করেনি। তখন জগদীশ বসু দুনিয়ার অন্যতম সেরা একটা বিষয় নিয়ে নিজের মতো করে গবেষণা শুরু করে দিলেন। বিদ্যুৎচুম্বক তরঙ্গের অস্তিত্ব আবিষ্কারের পর তা নিয়ে আরও গবেষণা করতে চেয়েছিলেন হার্জ। কিন্তু তাঁর আগেই মারা যান তিনি। তবে তাঁর সেই গবেষণা থেমে থাকেনি। জগদীশ চন্দ্র বসু হার্জের অসমাপ্ত কাজ শেষ করলেন।
জগদীশ চন্দ্র বসু গবেষণা করেছিলেন মাইক্রো বা ক্ষুদ্র বিদ্যুৎচুম্বক তরঙ্গ নিয়ে। পরীক্ষাগারে তিনিই ক্ষুদ্র বিদ্যুৎচুম্বক তরঙ্গ আবিষ্কার করতে সক্ষম হন। তিনি আরও চেষ্টা করছিলেন, ক্ষুদ্র বিদ্যুৎচুম্বকীয় তরঙ্গ বেতার বা রেডিও যন্ত্রের সাহায্য এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাঠাতে। অবশেষে ১৮৯৪ সালে সফল হয় তাঁর প্রচেষ্টা। সম্পূর্ণ ঘরোয়া পরিবেশে সে কাজে সফল হলেন জগদীশ বসু। ১৮৯৫ সালে জগদীশ বসু কলকাতার টাউন হল মাঠে এক জনসভায় বক্তৃতা দেন। সেই বক্তৃতায় তিনি বিদ্যুৎচুম্বকীয় তরঙ্গকে বিনা তারে দেয়াল ভেদ করে কীভাবে পাঠানো তার প্রমাণ দিলেন। সারা ভারতে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ল। নাম ছড়ালো ইউরোপেও। ওই বছরই তাঁর কাজ নিয়ে একটা ফিচার ছাপা হলো ইংল্যান্ডের ইলেকট্রিশিয়ান পত্রিকায়। সেই ফিচারে লেখা হয়েছিল, এ পর্যন্ত যতগুলো বেতার যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে, সবকটাকে হারিয়ে দিয়েছে জগদীশচন্দ্র বসুর বেতার যন্ত্র।
এই খ্যাতির ফলে নয় মাসের জন্য ইউরোপ ভ্রমণের সুযোগ পান জগদীশ বসু। ১৮৯৬ সালে ইংল্যান্ডের রয়্যাল সোসাইটি এক সভায় যোগ দেন। সেই সভায় বেতারে বার্তা প্রেরণ করে তাঁর কাজের প্রমাণ দেখান। সেখানে সভায় উপস্থিত ছিলেন লর্ড র্যালেসহ আরও অনেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী। এর এক বছর পর পর ইতালিয়ান বিজ্ঞানী মার্কনি তাঁর বেতার যন্ত্র উদ্ভাবণ করেন। অথচ বেতার যন্ত্রের আবিষ্কার হিসেবে মার্কনির কথায় বলে সবাই।
জগদীশ বসু যে ধরনের বেতার যন্ত্র তৈরি করেছিলেন। সেই যন্ত্র অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গের বিদুৎচুম্বক তরঙ্গ বা মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ বিকিরণ প্রেরণ করতে পারত। আজকের রাডার, মোবাইল ফোন, টেলিভিশন ও স্যাটেলাইট যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই ধরনের তরঙ্গের আদান প্রদান ঘটে। তাই বলা যায়, এসব যন্ত্রের মূল ভিত্তিই হলো জগদীশ চন্দ্র বসুর বেতার যন্ত্র। লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে দেয়া তাঁর বক্তব্য শুনে ও পরীক্ষাগুলো দেখে র্যালে বিস্মিত হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এমন নির্ভুল পরীক্ষা আগে কখনও দেখিনি—এ যেন মায়াজাল!’ সেই বক্তৃতার পর বিখ্যাত বিজ্ঞানী লর্ড কেলভিন লাঠিতে ভর দিয়ে এসে জগদীশ চন্দ্র বসুর স্ত্রী অবলা বসুকে অভিনন্দন জানান। এরপর তাঁর খ্যাতি আরও বেড়ে যায়। ফ্রান্স ও জার্মানি থেকে আমন্ত্রণ আসে। সেখানেও বক্তৃতা দেন জগদীশ বসু।
বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই পদার্থবিজ্ঞান গবেষণায় বিপ্লব ঘটে। আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব আর ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের কোয়াণ্টাম তত্ত্ব তখন বিশ্বব্যাপী ঝড় তুলেছে। ঠিক তখন জগদীশ বসু কোনো এক অজানা কারণে পদার্থবিজ্ঞান গবেষণা ছেড়ে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে গবেষণা শুরু করলেন। ভাগ্যিস করেছিলেন, নইলে উদ্ভিদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ খবর মানুষের জানা হত না।
জগদীশ বসু তাঁর আবিষ্কৃত ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বিকিরণ ব্যবহার করেন জৈব ও অজৈব বিকিরণ শোষণ প্রক্রিয়ার ওপর। ১৯১০ সালে প্রকাশ করলেন এই বিষয়ে লেখা একটা বই। বইটির নাম জীব ও জড়ের সাড়া। তিনি মূলত চেষ্টা করছিলেন বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে উদ্ভিদ কোনো উত্তেজনা অনুভব করে কি-না। এজন্য তিনি বেশ কিছু যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন। জগদীশ বসু প্রমাণ করেন, উদ্ভিদেরও মানুষের মতো অনুভূতি আছে।
মার্কনির আগেই বেতার যন্ত্র তৈরি করেছিলেন জগদীশ বসু। তাঁর সেই যন্ত্রের কথা জানতেন ইউরোপের বিজ্ঞানীরাও। জগদীশ বসুকে তাঁরা প্রশংসাও করেছেন এজন্য।
সে সময় ইউরোপের এক বিখ্যাত ইলেকট্রনিকস কোম্পানি জগদীশ বসুর বেতার যন্ত্রের নকশাটা কিনতে চায়। কিন্তু তিনি সেটা বিক্রি করতে রাজি হননি। এর কিছুদিন পরেই মার্কনিও বেতার যন্ত্র উদ্ভাবণ করেন। তখন সেই ইলেকট্রনিকস কোম্পানি মার্কোনির যন্ত্রের নকশটা কিনে নেয়। ফলে মার্কনির তৈরি বেতার যন্ত্রই ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। উদ্ভাবকের মর্যাদা তিনিই পেয়ে যান। এ নিয়ে অবশ্য জগদীশ বসুর মনে কোনও দুঃখ ছিল না। তিনি মনে করতেন, বিজ্ঞান হলো সাধনা, ব্যবসার বস্তু নয়।
জগদীশ চন্দ্র বসুই আমাদের বিজ্ঞান চর্চা করতে শিখিয়েছেন। বিশ্বাস করতে শিখিয়েছেন বাঙালিরাও বিজ্ঞান গবেষণায় ইউরোপীয়দের সমান হতে পারে। ইংল্যান্ডের বিখ্যাত পত্রিকা ডেইলি মেইল তাঁকে নিউটন গ্যালিওদের সমকক্ষ বিজ্ঞানী বলে আখ্যায়িত করেছিল ১৯২৭ সালে। আর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলেছিলেন, ‘জগদীশচন্দ্র যেসব অমূল্য তথ্য পৃথিবীকে উপহার দিয়েছেন তার যেকোনোটির জন্য বিজয়স্তম্ভ তৈরি করা উচিত।’
১৯৩৭ সালের ২৩ নভেম্বর জগদীশ বসু ভারতের ঝাড়খন্ডের গিরিডিতে মৃত্যুবরণ করেন।
জন্মদিনে জগদীশচন্দ্রের প্রতি বিজ্ঞানচিন্তার পক্ষ থেকে রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।
লেখক: সহ-সম্পাদক, বিজ্ঞানচিন্তা
সূত্র: বিজ্ঞানে বাঙালি/শ্রী অনিলচন্দ্র ঘোষ
উপমহাদেশের কয়েকজন বিজ্ঞানী/এম এ হারুন-অর-রশীদ