ব্যাকটেরিয়া-বান্ধব

ছবি: ফ্রিপিক

ব্যাকটেরিয়ার এমন খুশি কে দেখেছে কবে?

দলে দলে ব্যাকটেরিয়া মেতেছে উৎসবে।

মাতামাতির আসল কারণ ব্যাকটেরিয়া জানে

জানি বলেই নাচছি সুখে, দুলছি মজার গানে।

ফ্লেমিং সাহেব পেনিসিলিন আবিষ্কারের পরে

কোটি কোটি ব্যাকটেরিয়া মরল ঘরে ঘরে!

দিনে দিনে বদলাল দিন, দিন বদলের ফলে

আমরা, মানে ব্যাকটেরিয়া অমর হওয়ার দলে।

সহজে আর মরব না কেউ—রাখতে পারো লিখে।

হে হে এখন কাজ করে না অ্যান্টিবায়োটিকে!

খারাপ মানুষ অল্প কজন, ভালোই বেশি আছে

সেই ভালোদের আচরণেই ব্যাকটেরিয়া বাঁচে!

সেই ভালোরা চিকিৎসকের ধার ধারে না মোটে

অ্যান্টিবায়োটিকের খোঁজে নিজে নিজেই ছোটে।

ফার্মেসিতে মুড়কি-মুড়ির মতন ওষুধ কেনে

ব্যাকটেরিয়াল অসুখ কি না! লাভ কী সেটা জেনে!

কখন খাবে? কদিন খাবে? কয়টা করে খাবে!

ব্যাকটেরিয়া-বান্ধবেরা এসব কি আর ভাবে?

ভাববে কেন? ভাবলে কি আর আমরা সুখে বাঁচি!

এসো এসো ব্যাকটেরিয়া, দুহাত ধরে নাচি!

অ্যান্টিবায়োটিকই হলো আসল জিনিস, দাদা!

কিনতে ছোটো ফার্মেসিতে, কে আছে দেয় বাধা?

কিসের আবার প্রেসক্রিপশন! কেউ কি ওসব খোঁজে!

এসো এসো ভালো মানুষ, খাও গো অবাক ডোজে!

*লেখাটি বিজ্ঞানচিন্তার জানুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত

আরও পড়ুন