টিভি পর্দায় গাড়ির রেসিং চলছে। যখনই গাড়িটা বাঁক নিতে গেল, আপনিও গাড়ির ড্রাইভারের সঙ্গে একদিকে হেলে গেলেন। রাস্তার সঙ্গে চাকার ঘর্ষণে রাবার পোড়ার গন্ধ আপনার নাকে এসে লাগল। টিভি পর্দার নায়ক যখন বিমান থেকে সাগরে লাফ দেয়, নায়কের সঙ্গে সঙ্গে আপনিও তীব্র বাতাস অনুভব করতে পারবেন। জেট স্কির দৃশ্যে পানির ছিটায় ভিজে যাবেন পুরোপুরি। এ ঘটনা বাস্তবতায় পরিণত করার কারিগর হলো ফোরডি বা ফোর ডাইমেনশনাল সিনেমা হল। ফোরডি সিনেমা হলগুলো আপনাকে এমন অনুভূতি দেবে, যেন আপনি ওই সিনেমার ভেতরে চলে গেছেন।
থ্রিডি সিনেমায় মনে হয়, টিভি পর্দায় নয়, বরং দর্শকের সামনে সিনেমাটি মঞ্চস্থ হচ্ছে। সিনেমাকে আরও জীবন্ত করতে অতিরিক্ত এই চতুর্থ মাত্রাটি যুক্ত হয়েছে। নড়াচড়া, বায়ুপ্রবাহ, গন্ধ, বৃষ্টি, তাপমাত্রা ইত্যাদি বিভিন্ন ইফেক্টকে কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সিনেমার দৃশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে দর্শককে উপস্থাপন করা হয়।
১৯৮০-এর দশকেই বিভিন্ন থিমপার্কে এ সিনেমা হলগুলোর প্রচলন শুরু হলেও তা ছিল নির্দিষ্ট কিছু সিনেমার জন্য ব্যবহার করা হত। কিন্তু বর্তমানে সাধারণ সব সিনেমাতেও ফোরডি ইফেক্ট যোগ করা হচ্ছে।
তাহলে ফাইভডি, সিক্সডি বা এর চেয়েও উচ্চমাত্রার সিনেমা হলগুলোতে কী করা হয়? আসলে এগুলো নিছকই সংখ্যা। যত ধরনের ইফেক্ট সরবরাহ করা হয়, তত মাত্রার সিনেমা হল বলে তা প্রচারণা চালানো হয়। পুরো ব্যাপারটি আসলে মার্কেটিং পলিসি। মনে রাখতে হবে, বিজ্ঞানে যে অর্থে মাত্রা বা ডাইমেনশন ব্যবহার করা হয়, ফোরডি সিনেমায় সে অর্থে মাত্রা ব্যবহার হয় না।