২০৩০-এর মধ্যে মহাকাশে স্পেস স্টেশন স্থাপন করবে রাশিয়া

ছবি: উইকিপিডিয়া

২০৩০ সালের মধ্যে মহাকাশে নিজস্ব প্রযুক্তির স্পেস স্টেশন তৈরির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। গত ২ জুলাই, মঙ্গলবার রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (রসকসমস) এই তথ্য জানিয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় দেশটি প্রাথমিকভাবে উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন স্পেস স্টেশনের ৪টি মডিউল কোর তৈরি করবে। পর্যায়ক্রমে সেগুলো পাঠানো হবে পৃথিবীর লো-আর্থ অরবিট বা নিম্ন কক্ষপথে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াসহ পৃথিবীর মোট ৩২টি দেশ ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস) পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করছে। ১৯৯৮ সালের ২০ নভেম্বর প্রথম আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের কাজ শুরু হয়। প্রযুক্তিগত দিক বিবেচনা করে এই স্টেশনের সার্ভিস লাইফ টাইম ধরা হয়েছে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। এরই মধ্যে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা স্পেসএক্সকে দায়িত্ব দিয়েছে এ স্পেস স্টেশন ধ্বংস করার। ফলে ভবিষ্যতে রাশিয়ার তৈরি এ স্পেস স্টেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন
ছবি: ইসা

রসকসমস-এর প্রধান ইউরি বরিসভ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে তাঁরা দেশের ১৯টি প্রথম সারির মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি উৎপাদনকারী কোম্পানির প্রধানের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে আলোচনা করে চুক্তি করেছেন। কীভাবে স্পেস স্টেশনের ৪টি গুরুত্বপূর্ণ মডিউল কোর ডিজাইন করা যায়, সে ব্যাপারে সাহায্য করবে ওসব কোম্পানি। এ প্রজেক্টের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলার। 

রসকসমস-এর তথ্যানুসারে, স্পেস স্টেশনের প্রথম মডিউলটি ২০২৭ সালে মহাকাশে পাঠানো হতে পারে। সব ঠিক থাকলে বাকি তিনটি পর্যায়ক্রমে ২০৩০, ৩১ ও ৩৩ সালের মধ্যে পৃথিবীর লো-আর্থ অরবিটে স্থাপন করা হবে।

মির স্পেস স্টেশন
ছবি: উইকিপিডিয়া

এর আগেও এরকম এককভাবে মহাকাশ গবেষণায় কাজ করেছে সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা বর্তমান রাশিয়া। ১৯৮৬ সালে তারাই প্রথম পৃথিবীর লো-আর্থ অরবিটে স্থাপন করেছিল মির স্পেস স্টেশন। এর মাধ্যমে পৃথিবীর ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল।

রাশিয়ার হাত ধরে যদি আরও উন্নত কোনো স্পেস স্টেশন তৈরি হয়, তাতে মানবাজাতিরই লাভ। মহাকাশের অনেক বিষয় নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি জানা যাবে চমকপ্রদ সব তথ্য।

লেখক: শিক্ষক, বিনগ্রাম উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংড়া, নাটোর 

সূত্র: রয়টার্স, চায়না সায়েন্স, রসকসমস ও ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং