মেঘনাদ সাহার অন্য ভুবন

আজ ৬ অক্টোবর বাঙালি বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার জন্মদিন। জ্যোতির্বিদ্যার ইতিহাসে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। অথচ মানুষটি আজ অনেকটাই বিস্মৃত। ভুলে যাওয়া সেই তারার কথা পড়ুন তাঁর জন্মদিনে। জেনে নিন বাঙালি এই বিজ্ঞানীর অবদানের কথা...

সকাল থেকে স্কুলে সাজ সাজ রব। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে আজ আসবেন পূর্ব বাংলার গভর্নর স্যার বাম্পফিল্ড ফুলার। স্কুলটি সাজানোও হয়েছে। স্কুলের সিনিয়র ক্লাসের কয়েকজন ছাত্র ঠিক করল, এই সুযোগ তারা কাজে লাগাবে অন্য বিষয়ে। মাত্র কিছুদিন আগে ভারতের বড়লাট লর্ড কার্জন বাংলাকে ভেঙে দুই টুকরো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অর্থাৎ, বাংলা পূর্ব ও পশ্চিম—এই দুই ভাগে ভাগ হবে। তাঁর এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি বাংলার অভিজাত কিংবা সাধারণ জনগোষ্ঠী। কলেজিয়েট স্কুলের ওই ছাত্ররাও ঠিক করেছে, ফুলার সাহেবের সামনে ‘বঙ্গভঙ্গ মানি না’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করবে। যেই কথা সেই কাজ। ঘোড়ায় টানা গাড়ি থেকে নেমে ফুলার সাহেব স্কুলে ঢোকার আগেই ছাত্রদের মিছিলে পড়লেন। ‘বঙ্গভঙ্গ মানি না, বঙ্গভঙ্গ বাতিল করো’ স্লোগান জোরদার হওয়ার আগেই শিক্ষক ও গভর্নরের নিরাপত্তা বাহিনীর কারণে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিল।

বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

তবে ওই মিছিলের পরিণতি কী হতে পারে, তা আঁচ করতে পারেনি ছাত্ররা। পারেনি মিছিলের সবচেয়ে বয়ঃকনিষ্ঠ ছাত্রটিও। মাত্র কিছুদিন আগে সরকারি জলপানি, বড় ভাইয়ের মাসিক পাঁচ টাকা আর বৈশ্য সমিতির মাসিক দুই টাকা বৃত্তি সম্বল করে শেওড়াতলী (বর্তমানে গাজীপুর জেলার একটি গ্রাম) থেকে ঢাকায় পড়তে এসেছে সে। কাজেই পরদিন স্কুলের হেডমাস্টারের তলব এবং স্কুল থেকে বহিষ্কারের চিঠি পেয়ে তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। শুধু বহিষ্কার নয়, সেই সঙ্গে বাতিল করা হয়েছে তার সরকারি বৃত্তিও। টাকার অভাবে পায়ের স্যান্ডেল কেনা হয়নি বলে কয়েক দিন খালি পায়ে স্কুলের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকল ছেলেটি। এরই মধ্যে কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্রদের বীরত্বের কথা চাউর হয়েছে এলাকাজুড়ে। পাশের নর্থব্রুক স্ট্রিটের স্কুল কিশোরীলাল জুবিলী হাইস্কুল। সেই স্কুলের একজন শিক্ষক একদিন খালি পায়ের ছেলেটিকে নিয়ে এলেন নিজেদের স্কুলে। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিনা বেতনে ভর্তি করল ওই ছেলেটি। হেডমাস্টার বৃত্তিরও ব্যবস্থা করলেন।

গরিব মুদির ঘরে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞানী যেমন প্রথম জীবনে গরু চরিয়েছেন, ছাত্রজীবনে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যেমন সোচ্চার হয়েছেন, পরে নিজেই জড়িয়েছেন রাজনীতিতে, প্রতিষ্ঠা করেছেন ভারতবর্ষে বিজ্ঞানচর্চার ভিত
সাংসদ হিসেবে শপথ গ্রহণ করছেন মেঘনাদ সাহা (ডানে)

সেই ছেলেটিকেই এখন বলা হয় জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের (Astrophysics) জনক। মেঘনাদ সাহা নাম তাঁর। মোট সাতবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম প্রস্তাবিত হলেও তিনি অবশ্য নোবেল পুরস্কার পাননি। যদিও এখন বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেন, তাঁর কাজ নোবেল পুরস্কার পাওয়ার মতোই।

বংশাই নদের পাড়ের গ্রাম শেওড়াতলী। গ্রামের ছোট্ট মুদির দোকান চালিয়ে সংসার চালান জগন্নাথ সাহা। ১৮৯৩ সালের ৬ অক্টোবর জগন্নাথ সাহার স্ত্রী ভুবনেশ্বরী দেবীর কোল আলো করে জন্ম নেন মেঘনাদ সাহা। টানাটানির সংসারে মেঘনাদ পঞ্চম সন্তান। গ্রামের টোলে মেঘনাদের পড়ালেখার সূচনা। এই গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির ওপরে পড়ার মতো কোনো স্কুল নেই। কিন্তু মেঘনাদের ইতিহাস আর গণিতের সাফল্যে তাঁর শিক্ষকেরা তাঁকে একটি ইংরেজি স্কুলে পাঠানোর জন্য সুপারিশ করেন। সে রকম কাছের মিডল স্কুল (ব্রিটিশ আমলে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি পড়ার স্কুল) হলো ১০ মাইল দূরে শিমুলিয়া গ্রামে। মেঘনাদ ছাত্র ভালো হলেও শিমুলিয়ায় কোথাও রেখে ছেলেকে বিদ্যার্জনে সহায়তা করার সামর্থ্য জগন্নাথ সাহার ছিল না। তারপরও মেঘনাদের বড় ভাই জয়নাথ খুঁজে পেলেন শিমুলিয়া গ্রামের চিকিৎসক অনন্ত কুমার দাসকে। অনন্ত বাবু নিজ বাড়িতে মেঘনাদকে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে রাজি হলেন। শর্ত ছিল, মেঘনাদকে তাঁর থালাবাসন নিজেই ধুতে হবে এবং সময় পেলে বাড়ির গরুগুলোর দেখভাল করতে হবে।

সে সময়ে শেওড়াতলী আর শিমুলিয়ার গ্রামবাসী প্রতি রোববার একটি দৃশ্য দেখত। সকালে গরুগুলোর যত্ন নিয়ে মেঘনাদ রওনা হয়েছে বাড়ির উদ্দেশে, হেঁটে হেঁটে। আবার সন্ধ্যায় হেঁটে হেঁটে মেঘনাদ ফিরতেন শিমুলিয়ায়। এসবের মধ্যেও মেঘনাদ তাঁর শিক্ষাকে এগিয়ে নেন। কাজেই প্রাথমিক পরীক্ষায় শিমুলিয়া স্কুলের মেঘনাদ তৎকালীন ঢাকা জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পেয়ে যান মাসিক চার টাকার সরকারি বৃত্তি। এর সঙ্গে পাটকলের কর্মী জয়নাথের পাঠানো পাঁচ টাকা সম্বল করে একদিন সকালে নৌকায় করে মেঘনাদ এলেন ঢাকা শহরে। সদরঘাট থেকে সরকারি কলেজিয়েট স্কুল খুব দূরে নয়। ভর্তি হতে কোনো সমস্যা হলো না। কয়েক দিনের মধ্যে পেয়ে গেলেন বাংলা বৈশ্য সমিতির মাসিক দুই টাকা বৃত্তি।

সকালে গরুগুলোর যত্ন নিয়ে মেঘনাদ রওনা হয়েছে বাড়ির উদ্দেশে, হেঁটে হেঁটে। আবার সন্ধ্যায় হেঁটে হেঁটে মেঘনাদ ফিরতেন শিমুলিয়ায়। এসবের মধ্যেও মেঘনাদ তাঁর শিক্ষাকে এগিয়ে নেন
কিশোরীলাল জুবিলী হাইস্কুলের বিজ্ঞানাগারের নামকরণ করা হয়েছে মেঘনাদ সাহার নামে

১৯১১ সালেই ব্রিটিশরা বঙ্গভঙ্গ বাতিল করে দুই বাংলাকে আবার এক করতে বাধ্য হলো। কাজেই হৃষ্টচিত্তেই মেঘনাদ গেলেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে। সেখানে তাঁর সতীর্থ সত্যেন্দ্রনাথ বসু। এক বছরের সিনিয়র প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ। আর শিক্ষকদের মধ্যে আছেন জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্ল চন্দ্র রায় প্রমুখ। গণিতে সম্মানসহ মেঘনাদ বিএসসি করলেন ১৯১৩ সালে আর ফলিত গণিতে মাস্টার্স হলো ১৯১৫ সালে। দুটি পরীক্ষায় তিনি সত্যেন বসুর এক ধাপ পেছনে থেকে দ্বিতীয় হয়েছেন।

এর মধ্যে স্যার আশুতোষ চালু করেছেন বিজ্ঞান কলেজ। বসু ও সাহা দুজনেই বিজ্ঞান কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন গণিত বিভাগে। পরে দুজনই চলে যান পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে, যেখানে তাঁদের পরপরই চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটরামণ (পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ১৯৩০) যোগ দেন পালিত অধ্যাপক হিসেবে।

কলেজে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে শুরু করেন সাহা। বিষয়, হাইড্রোস্ট্যাটিকস, বর্ণালিবিদ্যা ও তাপগতিবিদ্যা। নিজের স্নাতকোত্তর ক্লাসে সাহার বিষয়বস্তু ছিল গণিত। কাজেই মাস্টার্স ক্লাসে পদার্থবিজ্ঞান পড়ানোর জন্য নিজেরই অনেক পড়াশোনা করতে হচ্ছিল সাহাকে। তবে কাজটি খুব আনন্দের সঙ্গে করতে থাকলেন।

ছাত্র পড়ানোর পাশাপাশি গবেষণাও শুরু করেন তিনি। সে সময় বিজ্ঞান কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে গবেষণাগারে উচ্চতর গবেষণার কোনো উপকরণই ছিল না। ‘ল্যাবরেটরি’ বলতে প্রেসিডেন্সি কলেজের সমৃদ্ধ লাইব্রেরি! বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই সাহা জার্মান ভাষা আয়ত্ত করেছিলেন। কাজেই, লাইব্রেরির জার্মান জার্নালগুলোও তিনি পড়তে শুরু করেন। আলবার্ট আইনস্টাইন সে সময় তাঁর আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব প্রকাশ করেছেন। সব নিবন্ধ জার্মান ভাষায়। সত্যেন বসু ও মেঘনাদ সাহা মিলে জার্মান ভাষায় লেখা আইনস্টাইনের বিভিন্ন নিবন্ধ ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন এবং বই আকারে প্রকাশ করেন। এটিই আইনস্টাইনের জার্মান নিবন্ধের প্রথম ইংরেজি অনুবাদ। ওই বইয়ের একটি জেরক্স কপি এখন রয়েছে আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনস্টাইন আর্কাইভে।

সত্যেন বসু ও মেঘনাদ সাহা মিলে জার্মান ভাষায় লেখা আইনস্টাইনের বিভিন্ন নিবন্ধ ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন এবং বই আকারে প্রকাশ করেন। এটিই আইনস্টাইনের জার্মান নিবন্ধের প্রথম ইংরেজি অনুবাদ
মেঘনাদ সাহা

ওই সময় মেঘনাদ সাহার বেশ কিছু গবেষণা নিবন্ধ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত হয়। তাঁর এ রকম নিবন্ধ ও গবেষণা ফলাফলগুলো একত্র করে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টর অব সায়েন্স (ডিএসসি) ডিগ্রির জন্য আবেদন করেন! সে সময় এখনকার মতো আনুষ্ঠানিক ডিএসসি গবেষণা ছিল না। তাঁর সব গবেষণা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে ১৯১৯ সালে ডিএসসি ডিগ্রি প্রদান করে।

১৯১৯ সালেই মেঘনাদ সাহা প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি লাভ করেন, যা তাঁকে ইংল্যান্ড ও জার্মানিতে গবেষণা করার সুযোগ দেয়। তিনি প্রথমে পাঁচ মাস লন্ডনে বিজ্ঞানী আলফ্রেড ফাউলারের ল্যাবরেটরিতে এবং পরে বার্লিনে ওয়াস্টার নার্নস্টের সঙ্গে কাজ করেন। ১৯২১ সালে দেশে ফিরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহা যোগ দেন খয়রা অধ্যাপক হিসেবে। কিন্তু ১৯২৩ সালে তিনি চলে যান এলাহাবাদে। কারণ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য কোনো বরাদ্দ সে সময় ছিল না। এলাহাবাদে তিনি ছিলেন ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত। এ সময় তিনি কেবল তাঁর বিভাগটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করেননি, পাশাপাশি তিনি উপমহাদেশে বিজ্ঞানীদের প্ল্যাটফর্মগুলোও তৈরি করেন। ১৯২৭ সালে তিনি ব্রিটিশ রয়্যাল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন।

সাহা উপলব্ধি করেন, বিজ্ঞান গবেষণার মানোন্নয়ন এবং বিজ্ঞানকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দরকার বিজ্ঞানীদের সংগঠন। তখন পর্যন্ত ভারতে বিজ্ঞান সংগঠন বলতে সোসাইটি ফর দ্য কালটিভেশন অব সায়েন্স, ইন্ডিয়া। তবে সেই অর্থে সেটি কেবল বিজ্ঞানীদের সংগঠন নয়। ১৯৩১ সালে এলাহাবাদে তিনি শুরু করেন উত্তর প্রদেশ একাডেমি অব সায়েন্স। পরের বছরই এটি ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স, ইন্ডিয়া নামে কাজ শুরু করে। সাহা হন সেটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৩৩ সালে কলকাতায় তাঁর হাতে সূচিত হয় ইন্ডিয়ান ফিজিক্যাল সোসাইটি, ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানীদের সংগঠন। এই সংগঠন থেকে প্রকাশিত হয় ইন্ডিয়ান জার্নাল অব ফিজিকস । এই জার্নালে নিয়মিত লিখতে শুরু করেন চন্দ্রশেখর ভেঙ্কটরামণ, সত্যেন বসু, মেঘনাদ সাহা প্রমুখ। সাহার উদ্যোগেই যাত্রা করে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএস), যার সাফল্য স্বাধীনতার পর ভারতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির সৃষ্টি করে। ১৯৫০ সালেই সাহা প্রতিষ্ঠা করেন ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিকস, যা এখন সাহা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিকস নামে বিখ্যাত।

আরও পড়ুন

মেঘনাদ সাহা শেষ জীবনে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এলাহাবাদে থাকার সময় থেকে তিনি পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুকে বিজ্ঞানবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর তিনি রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণীতে আরও বেশি সময় দেওয়ার জন্য মনঃস্থির করেন। এ কারণে ১৯৫২ সালে ভারতীয় লোকসভার নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এবং উত্তর-পশ্চিম কলকাতা থেকে নির্বাচন করে সাংসদ নির্বাচিত হন। মেঘনাদ সাহা মনে করতেন, বড় আকারের শিল্পকারখানা তৈরি করতে না পারলে ভারতের উন্নতি হবে না। আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন না হলে ভারত ব্যর্থ হবে। ভারতের বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উন্নতির জন্য তাঁর নিজের অনেক পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মাত্র ৬২ বছর বয়সে অকালমৃত্যু সবকিছু থামিয়ে দেয়।

লেখক: সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি

*লেখাটি ২০১৮ সালে বিজ্ঞানচিন্তার নভেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত