৪
হ্যানোভার, জার্মানি। সেপ্টেম্বর ২০১৫।
১৫ সেপ্টেম্বরের পরের সপ্তাহ আর মাসগুলো ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠতে লাগল ড্রাগো আর লাইগো-ভার্গো টিমের সবার জন্য। এ সময়গুলোতে একে একে একগাদা যন্ত্রপাতি আর সফটওয়্যার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হলো। উদ্দেশ্য একটাই, কোনো কারণে সেগুলো ত্রুটিপূর্ণ ছিল কি না, তা যাচাই করা। আর যা–ই হোক, যন্ত্রের কাছে বোকা হওয়া মোটেও সুখকর নয়। এই যাচাইয়ের প্রক্রিয়া খুবই কষ্টদায়ক, পরিশ্রম আর সময়সাপেক্ষ। কিন্তু এ ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই। পৃথিবীতে ছোটখাটো কোনো ভূমিকম্পের কারণেও লাইগোর ডিটেক্টরে সিগন্যাল ধরা পড়তে পারে। ভালোমতো খেয়াল না করলে সেটাকেও মহাজাগতিক সংকেত বলে মনে হতে পারে। তাই বিশ্বের সিসমিক রেকর্ডগুলো ঘেঁটে দেখা হলো বেশ সতর্কতার সঙ্গে।
খতিয়ে দেখা হলো সম্ভাব্য সব ধরনের সম্ভাবনা। ডিটেক্টরের স্থাপনার পাশ দিয়ে কেউ বাইক চালিয়ে গেছেন কি না, পার্শ্ববর্তী রাস্তায় কোনো গাড়ি ধাক্কা খেয়েছে কি না ইত্যাদি। দুটি ডিটেক্টরে হুবহু একই ধরনের সংকেত পেতে হলে দুটি স্থাপনের কাছে একই ধরনের ঘটনা ঘটতে হবে। স্থাপনা দুটির কাছে এ ধরনের সম্ভাবনা নাকচ করতে সেখানকার সব ধরনের লগ ঘেঁটে দেখা হলো। শোনা হলো মাইক্রোফোনের রেকর্ডগুলো। সিসিটিভি ফুটেজও দেখা হলো।
লাইগোর কম্পিউটারের নিরাপত্তা ভেঙে সেখানে ফলস সিগন্যাল ঢুকিয়ে দেওয়ার পর হ্যাকার কোনো চিহ্ন যদি না রাখতে চায়, তাহলে তাকে অনেক জটিল সিস্টেম সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান রাখতে হবে। কাজেই হ্যাকারের জন্য মিশন ইম্পসিবল
সব কাজের শেষে উপসংহার দাঁড়াল, হ্যানফোর্ড ও লিভিংস্টোনে যে দুটি একই সঙ্গে ঘটা ও হুবহু সংকেত পাওয়া গেছে, তা প্রায় ২০০০ বছরের মধ্যে মাত্র একবার ঘটতে পারে। সংকেতের বাস্তবতা নিয়ে আর কোনো সন্দেহ রইল না। কিন্তু চূড়ান্ত সম্ভাবনার কথা ভেবে উত্তেজিত হলেন অনেকেই। তাই এই লাইগোর অনেক সদস্যের রাত কাটতে লাগল নিদ্রাহীন। কারণ, সংকেতটার উৎপত্তি নিয়ে তখনো তাঁদের সন্দেহ কাটছিল না।
অনেকে এমনও ভাবলেন, কেউ কি লাইগোর কম্পিউটার হ্যাক করে সেখানে সংকেতগুলো ঢুকিয়ে দিয়েছে কি না। এ রকম আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর একসময় লাইগো টিম সিদ্ধান্তে এল, কোনো কম্পিউটার হ্যাকের ঘটনাও ঘটেনি সেদিন। কারণ, কোনো হ্যাকারের পক্ষে কাজটি সহজ নয়। লাইগোর কম্পিউটারের নিরাপত্তা ভেঙে সেখানে ফলস সিগন্যাল ঢুকিয়ে দেওয়ার পর হ্যাকার কোনো চিহ্ন যদি না রাখতে চায়, তাহলে তাকে অনেক জটিল সিস্টেম সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান রাখতে হবে। কাজেই হ্যাকারের জন্য মিশন ইম্পসিবল।
এভাবে বিভিন্ন সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার পর ২০১৫ সালের শেষ দিকে লাইগো টিমের আত্মবিশ্বাস আগের চেয়ে বাড়ল। তখন তারা ভাবল, ১৪ সেপ্টেম্বরের সিগন্যালটা আসলে খাঁটিই ছিল। মজার ব্যাপার হলো, ওই বছরের ১২ অক্টোবর এবং ২৬ ডিসেম্বর ডিটেক্টর দুটিতে আরও দুটি সিগন্যাল পাওয়া গেল। দুটি দানবীয় ভরের কৃষ্ণগহ্বর একত্র হয়ে গেলে কেমন সংকেত পাওয়া যাবে, তা আগেই অনুমান করা হয়েছিল। শেষ দুটি সংকেতও ছিল ঠিক তেমনই। দুটি সংকেতই দুর্বল এবং প্রথম সংকেতটির সঙ্গে আলাদা করাও কঠিন। এবার লাইগো টিমের আত্মবিশ্বাস বাড়ল ধাই ধাই করে। কিন্তু তখনো বাইরের কারও কাছে মুখ খুলল না লাইগো টিম। ব্যাপারটা কঠোরভাবে গোপন রাখা হলো। লাইগো সদস্যের কারোরই এ আবিষ্কারের ব্যাপারে পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের কাছে বলার অনুমতি ছিল না। অবশ্য ড্রাগোর জন্য সেটা কঠিন কিছু নয়। লোকজনকে খবরটা জানাতে তাঁরও ইচ্ছা করছিল ঠিকই, কিন্তু তখনো তিনি কাজে খুবই ব্যস্ত ছিলেন। নিশ্বাস নেওয়ার সময় নেই, এমন অবস্থা। তাই সেটা নিয়ে আলাদা করে ভাবার কিংবা তা নিয়ে কারও সঙ্গে আলাপ করার খুব বেশি সুযোগ পেলেন না ড্রাগো।
ড্রাগো ও তাঁর সহকর্মীরা তখন এমন একটা তথ্য জানেন, যা বিশ্বের আর কেউ জানে না। এমনকি ইতিহাসে এর আগে অন্য কেউই সে সম্পর্কে কিছু কখনো জানেনি। সে এক অদ্ভুত অনুভূতি। ব্রিটিশ লেখক পিটার অ্যাকরয়েডের ধারণা, এককালে নিউটনের অনুভূতি এ রকম ছিল। কারণ, মহাকর্ষের সূত্র ও গতির সূত্র আবিষ্কার করার পরও টানা ২৫ বছর সেটা গোপন রেখেছিলেন তিনি। কারণ, তাঁর ধারণা ছিল, এসব নিয়ে কারও সঙ্গে আলাপ করা মানেই অন্য কেউ তাঁর ধারণা চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দিতে পারে।
ড্রাগো কাজের ব্যস্ততার কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই এ রকম অনুভূতি তাঁর মনে খেলেছিল কি না সন্দেহ। লোকজন এই আবিষ্কারের ব্যাপারে কতটা আগ্রহী হবে, তা নিয়েও কিছুটা সন্দিহান ছিলেন তিনি।
আবিষ্কারটির গোপনীয়তার ব্যাপারে লাইগোর সব সদস্য শপথ নিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বের ১৬টি দেশের হাজারো মানুষ যে কাজের সঙ্গে যুক্ত, সেখানে গোপনীয়তা বজায় রাখা খুব কঠিন। আবার কাজের খাতিরেই লাইগো টিমের বাইরের মানুষকে তথ্য জানানোর প্রয়োজন দেখা দিল। তাতে গোপন রাখার কাজটি আরও কঠিন হয়ে পড়ল। আসলে সংকেতগুলোর উৎসস্থল জানতে বাইরের লোকদের কিছু তথ্য জানাতে বাধ্য হয়েছিল লাইগো টিম। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের হ্যানফোর্ড ও লিভিংস্টোনে সংকেতগুলো আসার সময়ের বিলম্বের মাধ্যমে মহাকাশে এর উৎসস্থল সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে এর মাধ্যমে কাজ কিছুটা সহজ হয়েছিল বৈকি। অন্তত বিপুল মহাকাশের মধ্যে ছোট্ট একটি জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছিল। আরও নিশ্চিত তথ্যের জন্য বিশ্বের শীর্ষ অবজারভেটরির জ্যোতির্বিদদের কাছে ধরনা দিতে হলো লাইগো টিমকে। এসব অবজারভেটরির কাছে জানতে চাওয়া হলো, ১৪ সেপ্টেম্বর তাদের টেলিস্কোপে মহাকাশে অস্বাভাবিক কোনো কিছু ধরা পড়েছে কি না।
ফলে বড় ধরনের একটা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গুজব ছড়িয়ে পড়ল লাইগোর বাইরের বৈজ্ঞানিক সমাজের মধ্যে। কদিন পরই তার প্রমাণ পাওয়া গেল। ২৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও লেখক লরেন্স ক্রাউস টুইটারে লিখলেন: লাইগো ডিটেক্টরে মহাকর্ষ তরঙ্গ ধরা পড়েছে বলে গুজব শোনা যাচ্ছে। কথাটা যদি সত্যি হয়, তাহলে বিস্ময়কর ঘটনা। এরপর কঠিন এক বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হলো লাইগো টিমকে। লাইগো সদস্যদের ফোন করে একনাগাড়ে জ্বালাতন করতে শুরু করলেন সাংবাদিকেরা। সেটা সবার জন্যই বিরক্তিকর ছিল।
এ ঘটনায় ভীষণ হতাশ হয়ে পড়লেন লাইগোর আর্জেন্টাইন-আমেরিকান মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েলা গঞ্জালেজ। ড্রাগো যেদিন প্রথম সংকেত দেখতে পান, তাঁর দুদিন পর গ্যাব্রিয়েলা এবং তাঁর চার সহকর্মী লাইগো-ভার্গো কোলাবোরেশনের সবাইকে ই–মেইল পাঠান। ই–মেইলের বক্তব্য একদম পরিষ্কার। তাতে লেখা ছিল: আবিষ্কারের ব্যাপারে কঠোর গোপনীয়তার কথা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।
খবরটা অকালে চাউর হওয়ায় ভীষণ দুচিন্তায় পড়েন গ্যাব্রিয়েলা। কারণ, যেকোনো বৈজ্ঞানিক ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার আগে সে সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে হয়। একটি ভুল খবর প্রচারের পর তাঁদের মুখে কেউ পচা ডিম ছুড়ে মারুক, সেটা কেউই চায় না। সাংবাদিকেরা যখন একে একে লাইগোর ওপর হামলে পড়তে লাগলেন, তখন তাঁদের কাছে অফিশিয়াল জবাব পাঠানো হতে লাগল। সেখানে সাফ বলে দেওয়া হলো: আমাদের উপাত্তগুলোর সবকিছু বিশ্লেষণ করতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। কাজেই এই অবস্থায় এ ব্যাপারে আমরা কিছুই বলতে পারছি না।
১৪ সেপ্টেম্বর ড্রাগো যে সংকেতটা দেখেছিলেন, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে তার কোডনাম দেওয়া হলো GW150914। কিন্তু লাইগোর বাইরের অন্য সবাইকে ঠেকিয়ে রাখা গেল না। লাইগোতে যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু একটা আবিষ্কৃত হয়েছে, সেই উত্তেজনার পারদ ক্রমেই ওপরে উঠতে লাগল। ১১ জানুয়ারি লাইগো টিমকে আরেকবার হতাশ করে আবার টুইট করলেন অধ্যাপক লরেন্স ক্রাউস। এবার লিখলেন, ‘লাইগো সম্পর্কে আমার আগের গুজবটা একটি স্বাধীন সূত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সঙ্গেই থাকুন। সম্ভবত মহাকর্ষ তরঙ্গ আবিষ্কৃত হয়েছে! রোমাঞ্চকর।’
স্বাভাবিকভাবে এ টুইটকে বেহায়াপনা হিসেবে দেখতে লাগলেন লাইগোর কয়েকজন সদস্য। অনেকের মনে হলো, লাইগোর অর্জনটা হয়তো প্রকাশ্যে দিবালোকে ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে বাইরের কেউ।
উত্তেজনা চরমে উঠল ২০১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। সেদিন লাইগোর পক্ষ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি একটা প্রেস কনফারেন্স ডাকা হলো। কাকতালীয়ভাবে এই আবিষ্কার–সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক পেপারটাও ফিজিক্যাল রিভিউ জার্নালে প্রকাশিত হলো একই দিন।
সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন শুরু হলো স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায়। শুরুতে লাইগোর প্রজেক্টের সংক্ষিপ্ত পরিচিতিমূলক ভিডিও দেখানো হলো। সংবাদ সম্মেলনে দেখা গেল, প্যাসাডেনার ক্যালটেকের তাত্ত্বিক পদার্থবিদ কিপ থর্নকেও। কিছুক্ষণ পর মঞ্চে উঠলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন এমআইটির রেইনার ওয়েস। কয়েক দশক ধরে এক হাজারের বেশি মানুষ এই প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু তাদের মধ্যে কিপ থর্ন এবং রেইনার ওয়েসকে লাইগোর জনক হিসেবে গণ্য করা হয়।
এই আবিষ্কারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ল দেশে দেশে। মানুষের মধ্যে খবরটা যে এতটা সাড়া ফেলবে, তা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি ড্রাগো। এই তরঙ্গ সম্পর্কে ১৯১৬ সালে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন আইনস্টাইন
এরপর মঞ্চে দাঁড়ালেন লাইগোর ডেপুটি ডিরেক্টর ডেভিড রিটজে। তাঁর পেছনের টিভি স্ক্রিনে তখন দুটি কৃষ্ণগহ্বরের সিমুলেটেড ছবি দেখানো হচ্ছে। প্রেসক্লাবে উপস্থিত দর্শকদের দিকে একনজর তাকিয়ে চকিত জরিপ চালালেন রিটজে। এরপর টিভি স্ক্রিনের ছবিটি স্থির করে রেখে গম্ভীর কণ্ঠে বলতে শুরু করলেন, ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান। আমরা মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্ত করেছি। আমরা পেরেছি!’
এই আবিষ্কারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ল দেশে দেশে। মানুষের মধ্যে খবরটা যে এতটা সাড়া ফেলবে, তা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি ড্রাগো। এই তরঙ্গ সম্পর্কে ১৯১৬ সালে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন আইনস্টাইন। এর প্রায় ১০০ বছর পর তা আবিষ্কৃত হলো। অচিরেই গোটা বিশ্বে দাবানলের মতো খবরটা ছড়িয়ে পড়ল। বিষয়টি কী, কেন, কীভাবে—সে সম্পর্কে জানার জন্য জনসাধারণের মধ্যেও বেশ উত্তেজনা দেখা দিল। এই আবিষ্কারের মাধ্যমে যেন একেবারে নতুন একটি ইন্দ্রিয়ের খোঁজ পেল বিজ্ঞান। কল্পনা করুন, আপনি জন্ম থেকেই বধির। হঠাৎ ভোজবাজির মতো রাতারাতি শোনার ক্ষমতা পেয়ে গেলে ব্যাপারটা কেমন হবে? মহাকর্ষ তরঙ্গ আবিষ্কারের ঘটনাটিও পদার্থবিদ ও জ্যোতির্বিদদের কাছে ঠিক এমনই। বিজ্ঞানের ইতিহাসে মহাবিশ্বকে দেখার জন্য এত কাল নিজেদের চোখ ও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এসেছেন জ্যোতির্বিদেরা। কিন্তু এখন প্রথমবারের মতো তাঁরা মহাবিশ্বকে শুনতে পারলেন। কারণ, মহাকর্ষ তরঙ্গ যেন স্থানের কণ্ঠস্বর।
মহাকর্ষ তরঙ্গের স্বাক্ষর যিনি প্রথম দেখেছিলেন, তিনি হলেন ড্রাগো। ওই ই-মেইল খোলার আগে, ওই তরঙ্গ ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন বছর ধরে মহাকাশের পথে যাত্রা করছে। আবার তাদের অস্তিত্ব সম্পর্কেও আগে কেউ জানতে পারেননি। সেই মুহূর্তের স্মৃতিচারণা করে বলেছেন, ‘আমি হয়তো সেদিন দুপুরের খাবারের জন্য বেরিয়ে যেতে পারতাম। তাহলে আমি নই, অন্য কেউ ওই সংকেতের প্রথম সাক্ষী হতো।’