চাঁদের কক্ষপথে মহাকাশ স্টেশন তৈরি করবে ভারত

প্রতীকী ছবি

চাঁদ নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ২০৪০ সালে চাঁদের কক্ষপথে মহাকাশ স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তথ্যমতে, ভবিষ্যতে তারা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মানুষ পাঠাবে। প্রায় কাছাকাছি সময়ে মহাকাশ স্টেশনের কাজও শেষ করবে। আর ২০৫০ সালের মধ্যে চাঁদে স্থায়ীভাবে মানুষ বসবাসের বেস বা ডোম নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। 

চাঁদে মহাকাশ স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা ভারতের চাঁদ অনুসন্ধানের তৃতীয় এবং শেষ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা যায়। প্রথম পর্যায়ে ইসরো চন্দ্রযান-৪ চাঁদে পাঠাবে এবং চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে নমুনা নিয়ে আবার ফিরবে পৃথিবীতে। সে মিশনে কোনো মানুষ থাকবে না। রোবটিক ল্যান্ডারের সাহায্যে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। ২০২৮ সালে এ মিশন পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে ইসরো। সেখান থেকে পানি ও বরফসমৃদ্ধ অঞ্চল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে প্রায় ৩ কেজি।

এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০৪০ সালে চাঁদে মানুষ পাঠাবে ভারত। তখনই চাঁদের কক্ষপথে স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর। এ স্টেশনে মাঝেমধ্যে নভোচারীরা গিয়ে থাকবেন। সেখানেই তৈরি করা হবে বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র। ভবিষ্যতে মহাকাশ মিশনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে এ স্টেশন। 

২০২৩ সালের আগস্টে প্রথম দেশ হিসেবে ভারতের চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করিয়েছে। সবচেয়ে কম খরচে কাজটা করতে পেরেছে ভারত।

এই স্টেশনের নাম হতে পারে ভারতীয় অন্তরিক্ষ স্টেশন বা ব্যস (BAS)। চলতি বছর সেপ্টেম্বরে স্টেশনের প্রথম মডিউল ব্যস-১-এর বাজেটের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে ভারত সরকার। ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৮ সালের মধ্যে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে চালু করা হবে এই মডিউলটি। আর পুরো স্টেশনটি চালু হবে ২০৩৫ সালের মধ্যে। 

এর আগে ২০২৩ সালের আগস্টে প্রথম দেশ হিসেবে ভারতের চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করিয়েছে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন চাঁদে সফলভাবে ল্যান্ডার অবতরণ করিয়েছে বটে, তবে সবচেয়ে কম খরচে কাজটা করতে পেরেছে ভারত।

বর্তমানে ভারতের চার নভোচারী বেঙ্গালুরুতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। স্পেস স্টেশনের সঙ্গে সঙ্গে নভোচারীরাও নিজেদের প্রস্তুত করছেন। ভারতীয় বিমান বাহিনীর টেস্ট পাইলট শুভাংশু শুক্লা আগামী বছর ২ সপ্তাহের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে ভবিষ্যতে এই নভোচারীকেই প্রথম ভারতীয় হিসেবে চাঁদের মাটিতে দেখা যেতে পারে ।

সূত্র: স্পেস ডট কম