মহাশূন্যে প্রদক্ষিণের ফলে নভোচারীদের ওপর কি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে

চাঁদে মহাকাশচারীছবি: দ্য কালেক্টর

মানুষের মাথার ভেতর থাকে তরল পদার্থ। এর ওপর ভাসমান অবস্থায় থাকে মস্তিষ্কের মূল অংশ। মহাশূন্য পরিভ্রমণের সময় ১১ থেকে ২৫ শতাংশ প্রসারিত হয় এটি। মহাশূন্যে মাধ্যাকর্ষণ বলের মান শূন্য হওয়ায় এ রকম হয়। ফলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। দেখা গেছে, পৃথিবীতে ফিরে আসার পর কিছুদিন পর্যন্ত এই বিরূপ প্রভাবের ফলে সমস্যা থাকে। তবে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের ভেতরের প্রসারিত অংশ আবার সংকুচিত হয়ে পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে। এ জন্য অন্তত তিন মাস সময় দরকার। কিন্তু এর আগেই যদি আবার মহাকাশ পরিভ্রমণে যেতে হয়, তাহলে মস্তিষ্কে বিরূপ প্রভাব রয়ে যায়। অন্য ধরনের কিছু ক্ষতিকর প্রভাবও কম-বেশি মহাকাশচারীদের হতে পারে বলে নাসা জানিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের রশ্মি বিকিরণের ফলে দেহে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে কিছুটা স্মৃতিবিভ্রম দেখা দিতে পারে। হাড়ের ঘনত্ব কমে যেতে পারে। মাংসপেশিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ ধরনের বিষয় নিয়ে এখনো পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলছে।

*লেখাটি ২০২৩ সালে বিজ্ঞানচিন্তার জুলাই সংখ্যায় প্রকাশিত

আরও পড়ুন