লেকের পাড়ে ছিপ দিয়ে মাছ ধরতে বসেছে সানু। বর্ষার নতুন পানিতে ভরা লেক। এ সময় মাছ ধরে মজা নেই। বর্ষার মাছে তেল থাকে না। গা থাকে নরম। খেয়ে স্বাদ নেই। কিন্তু তার বউ বলেছে, ‘একটা রুই মাছ ধরে আনো।’ তাই আসা।
এখন বেলা ১১টার মতো বাজে। এটা মাছ ধরার সময় নয়। কর্মব্যস্ত সব মানুষ যে যার কাজে ব্যস্ত। সানুর অবশ্য কাজের তেমন তাড়া নেই। নিজের বাড়িতেই সস্তা একটা রোবটের কল বসিয়েছে সে। ঘরদোরে টুকটাক কাজ করে, এমন ছোটখাটো রোবট বানায় সে। অনলাইন পেজে বিজ্ঞাপন দেওয়া আছে। রোবটের সাইজ, কাজকর্ম আর দাম পছন্দ হলে ক্রেতারা অনলাইনে অর্ডার করে। রোবটচালিত পিকআপে করে ক্রেতার কাছে এসব রোবট পৌঁছে দেওয়া হয়।
লেকের ধারে একটা রেইনট্রির নিচে বসেছে সানু। ডালপালা মেলে ছাতার মতো ছড়ানো গাছ। বয়স কম করে হলেও ১০০। গাছের ছায়ায় রয়েছে বলেই সানুর গায়ে রোদের কড়া আঁচ লাগছে না। এরপরও জলীয় বাষ্পের ভাপে ঘামছে। সে রকম একটা রুই পেলেই ছিপটা তুলে নেবে সে। কিন্তু মাছ কই?
মাঝারি মানের স্মার্ট ফিশিং রড দিয়ে মাছ ধরছে সানু। এটা ইস্পাতের একটা রুপালি দণ্ড। নাইলনের মজবুত সুতার ডগায় পাট থেকে তৈরি একধরনের মজবুত ফাইবারের নেট। সেখানে একটা খুদে মোটর আর ক্যামেরা বসানো। এটা এমন এক শব্দতরঙ্গ তৈরি করে, রুইজাতীয় মাছের মস্তিষ্কে গিয়ে আলোড়ন তোলে সেটা। মাছের এই অনুভূতি হয়, ওই নেটের ভেতর প্রচুর খাবার। মাছগুলো তখন উন্মাদের মতো ছুটে এসে ধরা পড়ে জালের ফাঁদে। ফিশিং রডের হাতলের কাছে বসানো একটা খুদে মনিটরে ক্যামেরার ধারণ করা দৃশ্য দেখা যায়।
সানু একঠায় তাকিয়ে খুদে মনিটরের দিকে। পানি ছাড়া কিচ্ছু নেই। ঢাউস একটা কচ্ছপ অলস ভঙ্গিতে সাঁতরে নেটের কাছ থেকে এসে ঘুরে গেল। এই ব্যাটারা খুব চালাক। দৌড়বাজিতে খরগোশকে কি আর এমনি হারিয়েছে?
সাদা কি একটা পিণ্ড বলের মতো পাক খেতে খেতে নেটের কাছে এসে ভিড়ল। এরপর হাওয়া। মনিটরে পরিষ্কার দেখতে পেল সানু। কী ওটা? জালটা টেনে তুলে দেখার বড্ড কৌতূহল হলো। ঠিক এ সময় একটা বড়সড় রুই এসে সুড়ুৎ করে ঢুকে পড়ল নেটের ভেতর। পাগলের মতো খাবার খুঁজে বেড়াচ্ছে মাছটা। দেরি না করে নীল বোতাম টিপে জালের মুখ আটকে দিল সানু।
এমন সময় সানুর বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলে মৃদু কম্পন হলো। এটা বায়োফোনের কল। বুড়ো আঙুলের নখের মধ্যে বসানো আছে এই চিপ। এটা মনের কথা পড়তে পারে। নখটা সামনে এনে শুধু মনে মনে বললেই হবে, ‘কথা বলব।’ অমনি সাড়া দেবে। কোথাও ফোন করতে চাইলে একইভাবে শুধু ইচ্ছাটা প্রকাশ করতে হবে। তাহলে হালকা একটা রে ফুটে উঠবে সেকালের স্মার্টফোনের আদলে। নম্বরও মনে মনে টিপলে কাজ হয়ে যাবে। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল মুখের সামনে এনে সানু মনে মনে বলল, ‘কথা বলব।’
‘হ্যালো!’ একটা অসহিষ্ণু নারীকণ্ঠ। সানুর বউ সাবিনা।
‘হ্যাঁ, বলো।’
‘মাছ ধরেছ কিছু? না ধরলে চলে এসো। রোদে বসে থাকার দরকার নেই। গরম যা পড়েছে!’
‘এইমাত্র একটা রুই আটকেছি। আসছি এখনই।’
লাইন কেটে দিল সানু। মনটা বড় উতলা—কখন বউয়ের সামনে গিয়ে ধপাস করে ফেলবে মাছটা। বাড়িটা কাছেই। হেঁটে যেতে বড়জোর দশ মিনিট লাগবে। তারপর একটা ভূরিভোজ। আচ্ছা, রুইটার ওজন কত হবে? কেজি পাঁচেক হতে পারে।
সবুজ বোতাম টিপতেই রিলে সুতা গুটিয়ে জাল উঠে আসতে শুরু করল। শিগগিরই উঠে এল জাল। কিন্তু রুইয়ের পেছনে ওটা কী? সেই গোলগাল পিণ্ডটা রুইয়ের পেছনের অর্ধেকটা ঢেকে রেখেছে। মাছ নয়, কিম্ভূত একটা প্রাণীর মতো দেখাচ্ছে রুইটাকে। পুরোটা জাল তুলে আনতে আনতে অবাক কাণ্ড ঘটে গেল। ছটফট করতে করতে পুরোটা রুই চলে গেল সাদা বলটার ভেতর। আগের চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে সাদা বলটা। খাঁজকাটা ঢেউ তুলে নড়ছে। কিলবিলে ভাব। কী এটা!
হাঁ হয়ে গেল সানু। স্মার্ট ফিশিং রড পড়ে গেল হাত থেকে। জালটা এখনো ফাঁক করেনি সে। কিন্তু সাদা বলটাকে আটকায় কে? জালের এক ফোকর দিয়ে অক্টোপাসের মতো সরু একটা সাদা বাহু বের করে দিল বল। বাহুটা কুণ্ডলী পাকিয়ে স্তূপ হতে লাগল। মাত্র কয়েক সেকেন্ডে জাল থেকে বেরিয়ে এল বল। ফিরে এল আরেক চেহারায়। ওটা এখন সানুর মুখোমুখি।
সাবিনা দেখে আধা ঘণ্টার বেশি সময় পার হয়েছে, তবু সানুর ফেরার নাম নেই। এত দেরি হওয়ার তো কথা নয়। বায়োফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে সে। কোনো সাড়া নেই। ছেলেটা যে কোথায় আছে? বাবার খোঁজে পাঠাতে হবে ওকে।
‘জ্যাকি, ও জ্যাকি।’
চেঁচিয়ে ডাকল সাবিনা। কোনো সাড়া নেই।
‘জ্যাকি, ও জ্যাকি, কোথায় রে বাপ আমার?’
কোনো সাড়া নেই। এবার একটু আফসোস হলো সাবিনার। ছেলেটাকে আসলে ওভাবে বকা ঠিক হয়নি। ডোজ একটু বেশি হয়ে গেছে। গোসসা করে কোথায় ঘাপটি মেরেছে, কে জানে?
বাবার ওয়ার্কশপে বসে কয়েক দিন ধরে খুটখাট করে কী যেন একটা বানিয়েছে ছেলে। পড়ে থাকা কলকবজা দিয়ে তৈরি। একটা কিম্ভূত যন্ত্র। আজ সকালে সেটা বের করে এনে বলে, ‘তোমার জন্য একটা ডাস্ট সাকার বানালাম, মা। উঠানের মাঝখানে ফেলে শুধু বোতাম টিপে দেবে। রাজ্যের ধুলাবালু নিমেষে সাফ।’
‘দেখি তো কেমন সাফ করে?’
দাঁত সব কটা বেরিয়ে পড়ল জ্যাকির। উঠানের মাঝখানে যন্ত্রটা ফেলে একটা বোতাম টিপে দিল ও। জেদি জানোয়ারের মতো গোঁ গোঁ শব্দ তুলে চালু হলো যন্ত্রটা। নিমেষে উঠানের ধুলাবালু, কুটোকাটা শোঁ শোঁ করে ঢুকে গেল যন্ত্রটার ভেতর।
কিন্তু উঠানের এককোণে এক দঙ্গল ছানা নিয়ে মাটিতে আঁচড় কাটতে থাকা মুরগিটা না দেখে মাথা ঘুরে গেল সাবিনার। ছানাসুদ্ধ লাপাত্তা!
‘জ্যাকি, বাপ, মুরগি আর ছানাগুলোর কী হলো?’
জ্যাকি মাথা চুলকে বলল, ‘ওগুলোকে বোমার বেগে এই যন্ত্রের ভেতর ঢুকে যেতে দেখলাম!’
সাবিনাও বোমার মতো ফেটে পড়ল, ‘অকর্মার ধাড়ি, এটা করেছিস কী? এত যত্ন করে প্রাকৃতিকভাবে ছানা ফোটালাম, সব মাটি করে দিলি!’
আজকালকার ছেলেপুলের মধ্যে আবেগ তেমন কাজ করে না। মায়ের তিরস্কারে গাল ফোলাল জ্যাকি। বলল, ‘মোটে তো একটা মুরগি আর কয়েকটা বাচ্চা। এর জন্য এত কথা!’
‘শখ বলে একটা জিনিস আছে, সেটা তোমার মাথায় ঢোকে না।’
‘ঢুকবে না কেন? আমার শখ আছে বলেই তো এসব জিনিস বানাই। ২০৭৫ মডেলের মাইক্রোকম্পিউটার সারাক্ষণ আমার পকেটে থাকে।’
‘নিকুচি করি তোর শখের। আমার মুরগি আর ছানাগুলো শিগগির এনে দে, নইলে সাকারটাকে ভেঙে টুকরা টুকরা করব।’
অমনি চাকা বসানো যন্ত্রটা নিয়ে ছুটতে শুরু করল জ্যাকি। বাড়ি থেকে বের হতে হতে চেঁচাল, ‘আসলে মানুষের ভালো করতে নেই! আর যদি কখনো তোমার উপকারের জন্য কিছু করি তো, আমি…’
ছেলের পরের কথাগুলো আর শোনা হয়নি সাবিনার। তার আগেই চলে গেল চোখের আড়ালে। কোথায় যে লুকিয়ে আছে!
‘জ্যাকি, ও জ্যাকি!’
গলা আরেক ধাপ চড়িয়ে ডাকে সাবিনা। কিন্তু ওর সাড়া নেই।
রাস্তার ধারে মনিটর বসানো নিউজপোলের নিচে দাঁড়িয়ে জ্যাকি। বাড়ি থেকে বেশি দূরে নয় জায়গাটা। মায়ের গলা ফাটানো ডাক ঠিকই শুনতে পাচ্ছে ও। কিন্তু সাড়া দেবে না। ভয়ানক জেদ চেপেছে। মায়ের নিত্যকার কাজে সাহায্য করতেই তো এই ডাস্ট সাকার বানানো। কোথায় মাথায় হাত বুলিয়ে দেবে, তা নয় উল্টো ঝাড়ি। কয়েকটা মুরগির ছানা গিলেছে তো কী হয়েছে? এত বড় একটা উদ্ভাবনের মূল্য দেবে না!
জ্যাকি মনে মনে আওড়ায়, ‘যাহ্, আজ ফিরবই না আর বাড়ি!’ বাবা এসে অনেক আদর করলে তবেই ঘাট মানবে। কিন্তু বাবা কোথায়? মা বলেছে, মাছ ধরতে গেছে। ঠায় বসে থেকে মাছ ধরা মোটেও পছন্দ নয় জ্যাকির। এ জন্যই বাবার সঙ্গে যায়নি। এখন শখের যন্ত্রটার কী করা যায়?
‘কী রে, এত্ত বড় টিনের কৌটা নিয়ে দাঁড়িয়ে কেন? এটার কী কাজ?’
বাদলুর কথায় বাস্তবে ফেরে জ্যাকি। পাড়ার বন্ধু। তবে সারাক্ষণ ঝামেলার তাল করে আর খোঁচা মেরে কথা বলে ও। এ জন্য ওকে এড়িয়ে চলে।
এত যত্ন করে বানানো শখের যন্ত্রটাকে টিনের কৌটা বলায় আঁতে লাগে জ্যাকির। সে-ও খোঁচা মেরে বলে, ‘এই টিনের কৌটা এনেছি তোকে এটায় ভরে চানাচুরের মতো নাচাব বলে।’
‘অকর্মার চানাচুর বেচা ছাড়া আর গতি কী?’
‘আরে যা, বানিয়ে দেখা এমন যন্ত্র।’
‘যন্ত্র!’
এই বলে হেসে কুটিপাটি বাদলু।
‘তা বাছাধন, এই যন্ত্রের কাজটা কী?’
‘তোকে বলতে আমার বয়ে গেছে। সময় হলে দেখতে পাবি।’
‘তোর এই ফালতু জিনিসের কাজ দেখতে আমার বয়ে গেছে।’
এই বলে নাচতে নাচতে সামনের দিকে এগিয়ে গেল বাদলু।
পিলারের মাথায় শেড লাগানো মনিটরটা সারাক্ষণ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ খবর বলে যায়। জরুরি ঘোষণা দেয়। এক মহিলা অনেকক্ষণ ধরেই কী নিয়ে যেন বকবক করছে। শুনতে ইচ্ছা করছে না। তবে একটা শব্দ ওকে কৌতূহলী করে তুলল—ব্লব!
মেয়র অফিসের ওই ঘোষিকা একঘেয়েভাবে বলে যাচ্ছে, বিশিষ্ট গবেষক মাহমুদের ল্যাব থেকে বিদ্ঘুটে একটা ব্লব হারিয়ে গেছে। ওটা জ্যান্ত আর সর্বগ্রাসী। সামনে যা পাচ্ছে, তা-ই গিলছে। কাজেই সাবধান!
আচমকা বাদলুর চিত্কারে চমকে ওঠে জ্যাকি। প্রথমে ভাবে যে দুষ্টুমি করছে। সারাক্ষণ ওর মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি লারেলাপ্পার মতো লাফায়। কিন্তু সে ভুল ভাঙতে সময় লাগল না। মেঘের মতো সাদা ধবধবে কী যেন একটা গড়িয়ে আসছে এদিকে। খাঁজকাটা সাদা একটা পিণ্ড! খাঁজগুলো অক্টোপাশের বাহুর মতো কিলবিল করছে। এই লম্বাটে কর্ষিকা হয়ে যাচ্ছে, পরমুহূর্তে আবার মিলিয়ে যাচ্ছে গোলগাল ময়দার তালের মতো জিনিসটার ভেতর। ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে থাকা বাদলুর পেছনে গড়িয়ে গড়িয়ে আসছে ওটা। তবে বাদলুর চেয়ে ওটার গতি যেন বেশি। এটাই কি সেই ব্লব?
এতক্ষণে হুঁশ হয় জ্যাকির। বাদলুর মতো ওকেও ছুটে পালাতে হবে। কিন্তু অনেক যত্নে তৈরি এই যন্ত্রটার জন্য ওর খুব মায়া লাগছে। এটা ছেড়ে যাবে কীভাবে?
সাদা পিণ্ড থেকে আচমকা একটা বাহু অনেক লম্বা হয়ে এসে পেঁচিয়ে ধরল বাদলুকে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। বাদলু অদৃশ্য হয়ে গেল ওই সাদা পিণ্ডের ভেতর! আকারে বেড়ে গেল পিণ্ডটা। কী ভয়াবহ রাক্ষুসে দৃশ্য! জ্যাকির মাথায় বোঁ করে একটা চক্কর দিয়ে উঠল। এখন ছুটে আর লাভ নেই। সর্বগ্রাসী ব্লব এসে গেছে নাকের ডগায়। কর্ষিকার মতো বাহু কিলবিল করে আসছে ওর দিকে। কী মনে করে মেশিনের বোতামটা চালু করে দিল জ্যাকি। অমনি ক্ষুব্ধ বোবা জানোয়ারের মতো ফুঁসতে লাগল যন্ত্রটা।
যেন বিশাল এক ঘোরের মধ্যে প্রচণ্ড এক আলোড়ন অনুভব করল জ্যাকি। পাহাড়প্রমাণ সেই সাদা পিণ্ড উধাও! ওই তো মাটিতে পড়ে আছে মূর্ছা যাওয়া বাদলু। আরে, ওই যে বাবা! সঙ্গে মাছ ধরার সরঞ্জামসহ বিশাল রুই মাছ! বাবারও জ্ঞান নেই। একটা কুকুর, একটা বিড়াল আর একটা ছাগলও অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।
কী ঘটেছে, বুঝতে আর বাকি নেই জ্যাকির। এই জ্যান্ত ব্লবটা একে একে সবাইকে গ্রাস করছিল। হয়তো ওকেও করত, কিন্তু ওর সদ্য উদ্ভাবিত এই ডাস্ট সাকার তা হতে দেয়নি। ব্লবের শরীর এখানকার সবার চেয়ে নরম বলে ওটা সহজে মেশিনটার ভেতরে চলে গেছে। কপাল ভালো যে মেশিনের ভেতর আর জায়গা নেই। নইলে হয়তো আজ বাবা আর বাদলুও চলে যেত ভেতরে।
হাসপাতালে সংকেত পাঠাল জ্যাকি। সঙ্গে সঙ্গে রোবট অ্যাম্বুলেন্স এসে হাজির। জ্যাকির জাদুকরি কাণ্ডের কথা চাউর হতে সময় লাগল না। রাতারাতি বেড়ে গেল ওর ডাস্ট সাকারের দাম। এটাও সর্বগ্রাসী, তবে রাক্ষুসে ব্লবটার মতো সর্বনেশে নয়।
মায়ের কাছে জ্যাকির আদর আর ধরে না। পারলে মাথায় তুলে রাখে। আর বাবার জীবন বাঁচিয়েছে বলে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের শেষ নেই। বাদলু এখন ওকে বাঁকা কথা বলবে কি, সামনে এসে মাথা সোজা করে দাঁড়ানোর সাহস নেই।
জ্যাকি আর কী করবে? রুই মাছের মুড়ো চিবোতে চিবোতে ভাবছে, নতুন কী চমক দেখানো যায়?