প্রিয় এই পৃথিবী ছেড়ে

অলংকরণ: বিপ্লব চক্রবর্তী

আবদুল জব্বার বললেন, ‘মা, মঙ্গল গ্রহে যে পানি নেই, এটা কিন্তু তোর মাকে বলার দরকার নেই।’

শিমু ডাইনিং রুমের টেবিলে রাখা প্লাস্টিকের জগ থেকে মগে পানি ঢেলে খাচ্ছিল। আবদুল জব্বার সেই টেবিলে ছড়িয়ে রাখা খবরের কাগজ পড়ছিলেন। তাঁর চোখে চশমা, নাকের দিকে নামানো। তাঁর চশমার ফ্রেমটা মোটা আর কালো। রিডিং গ্লাস। রিডিং গ্লাসের ফ্রেম সাধারণত মোটা আর কালো হয় না। আবদুল জব্বার বলেন, রিমলেস চশমা ভেঙে যায়। সে জন্য তিনি শক্তপোক্ত দেখে নিয়েছেন।

শিমু বলল, ‘বাবা, মঙ্গলে পানি আছে।’

আবদুল জব্বার বললেন, ‘সেটা তো মাটির নিচে। কয়েক ফুট গভীরে। বরফ হয়ে আছে। সেই পানি বের করে নিয়ে খেতে হবে। তাই না? আবার মঙ্গলে তো মাটিও নেই। যা আছে তা শিলা! তাই না?’

শিমু হাসল। প্রসন্ন হাসি। তবু সেটা ম্লান দেখাচ্ছে।

কলাবাগানের চারতলা বাড়ির দোতলা। আবদুল জব্বার ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের বাংলার শিক্ষক ছিলেন। অনেক আগেই তিনি রিটায়ার করেছেন। তাঁর দুই মেয়ে। বড় মেয়ের নাম সাবিনা আক্তার। ডাকনাম শিমু। ছোট মেয়ে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে থাকে। নাম শাহিদা আক্তার মিমু। সে মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরিয়ান। তার স্বামী ভূগোলবিদ, সেও ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ায়। দুটো বাচ্চা আছে।

‘ভালো আছে, মাশাল্লাহ!’ বিড়বিড় করেন আবদুল জব্বার সাহেব।

বড় মেয়েটাকে নিয়েই এখন তাঁর চিন্তা।

তাঁর বড় মেয়ে সাবিনা আক্তার শিমু নিজে বিখ্যাত হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে তার অবসরপ্রাপ্ত মাস্টার পিতাকেও বিখ্যাত করে ফেলেছে। তার গৃহিণী মাও এখন বিখ্যাত। শুধু বিখ্যাত বললে ভুল বলা হবে, বিশ্ববিখ্যাত।

সমস্ত পৃথিবী থেকে মাত্র চারজন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে প্রথমবারের মতো মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার জন্য। দুজন ছেলে, দুজন মেয়ে। শিমু তাদের একজন।

কয়েক মাস পরে তারা যাত্রা করবে। ওয়ানওয়ে জার্নি। পৃথিবী ছেড়ে তারা রওনা দেবে, আর ফিরে আসার কোনো ব্যবস্থা নেই। উদ্যোক্তাদের সে ধরনের কোনো ইচ্ছাও নেই।

আবদুল জব্বার সাহেব তা জানেন। তা সত্ত্বেও বললেন, ‘মা, সবাই বলছে জার্নিটা ওয়ানওয়ে! কথাটা তো সত্য নয়, তাই না, মা?’

শিমু তার বাবার দিকে তাকাল।

‘তাহলে বোঝো! বিজ্ঞানীরা আজকে যা ভাবেন, কালকে তো তা-ই হয়ে যাচ্ছে। কাজেই কে জানে, আধঘণ্টায় মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্নটাও হয়তো একদিন সত্য হবে।

বাবার সামনে একটা কাগজ মেলে ধরা। পেছনের জানালা দিয়ে আলো আসছে। নীল রঙের পর্দা সরিয়ে রাখা। বাসার পেছনে আমগাছের পাতা বৃষ্টিস্নাত, সবুজ। আলো এসে পড়েছে বাবার পেছনে, চুলের পাশটাকে সেই আলো দিয়েছে রুপালি রেখার রূপ। বাইরে কাক ডাকছে, রিকশার ক্রিং ক্রিং, গাড়ির হর্নের শব্দ, ফেরিওয়ালার চিত্কার, শব্দের কোনো বিরাম নেই। বিশ বছর পর দেশে এসে শিমুর কাছে ঢাকাকে খুব কোলাহলময় বলে মনে হচ্ছে। আমেরিকা খুবই নীরব একটা দেশ। রাস্তাঘাটের গাড়িও শব্দ করে না। কেউই হর্ন বাজায় না। কেউ চিত্কার করে কথাও বলে না। ওখানে ঝিঁঝির ডাক অনেক জোরে শোনা যায়। এমনকি পেটের মধ্যে গুড়গুড় করলেও চমকে উঠতে হয়, আশপাশের লোকজন সেটা শুনতে পাবে না তো!

শিমু বলল, ‘জি বাবা। কথা সত্য। আমাদের জার্নিটা হবে ওয়ানওয়ে।’

‘তাহলে এরপর তোর সাথে আর আমাদের দেখা হবে না?’

‘হতেও পারে। নাও পারে।’

‘হতেও পারে?’ বাবার মুখে একটা প্রশান্ত আলো যেন ফুটে উঠল, আশার আলো। তিনি বললেন, ‘হতেও পারে নাকি! তুই তাহলে আবার আসবি?’

‘আমিও আসতে পারি। তুমিও যেতে পারো। বলা যায় কিছু?’

‘আমি আবার যাব কী করে?’

‘তুমি দেখোনি? নতুন একটা তত্ত্ব আবিষ্কৃত হয়েছে। এখন তো ধরো মঙ্গল গ্রহে যেতে লাগবে দুই শ সত্তর দিন। কমসে কম। নতুন এই পদ্ধতিতে মাত্র আধঘণ্টায় মঙ্গল গ্রহে পৌঁছানো যাবে।’

‘কী বলিস। মঙ্গল গ্রহ থেকে পৃথিবীর দূরত্ব না সাড়ে পাঁচ কোটি কিলোমিটার?’ বাবা চশমা হাতে নিয়ে বললেন।

‘কমপক্ষে। মঙ্গল যখন পৃথিবীর কাছে থাকে, এটা তখনকার হিসাব।’

‘সাড়ে পাঁচ কোটি কিলোমিটার যাওয়া যাবে আধা ঘণ্টায়? কী বলিস।’

‘হ্যাঁ। একজন বিজ্ঞানী সেই থিয়োরি দিয়েছেন।’

‘আমরা আসাদগেট থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি এক মাইল দূরত্ব এক ঘণ্টায় যেতে পারি না। আর তোরা আধা ঘণ্টায় সাড়ে পাঁচ কোটি কিলোমিটার পাড়ি দিবি? পাগল নাকি?’

শিমু হাসল। একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসতে বসতে বলল, ‘বিজ্ঞানীরা একটু পাগলই হয় বাবা। ধরো, ত্রিশ বছর আগে, আমি যখন ঢাকায় ছিলাম, তখন যদি কেউ বলত, এই দেশে একদিন সবার হাতে হাতে ফোন থাকবে, আর লোকে সেই ফোনটা নিয়েই ঘরের বাইরে যেতে পারবে, সেই ফোনটা নিয়েই রংপুরে ময়মনসিংহে কক্সবাজারে যেতে পারবে, তখন তুমি আর আমি তাকে পাগল বলতাম। তাই না? কিন্তু এটা তো এখন হয়েছে, না! সবার হাতে ফোন। আবার সেই ফোনে কথা বলাই শুধু যায় না, ভিডিও কলও করা যায়। এটা দেখে তুমি আশ্চর্য হচ্ছো না!’

‘ঠিক বলেছিস। একটা ল্যান্ডফোন পাবার জন্য আগে কত তদবির করতে হতো। কত ধরনা দিতে হতো। আবার একটা কল করার জন্য কী কষ্ট। পাশের বাড়িতে যেতে হতো। বা রাস্তার ধারের দোকানে। পাঁচ টাকা দিয়ে একটা কল করা যেত। আর এখন। এই দেশে সবার হাতে ফোন।’

‘তাহলে বোঝো! বিজ্ঞানীরা আজকে যা ভাবেন, কালকে তো তা-ই হয়ে যাচ্ছে। কাজেই কে জানে, আধঘণ্টায় মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্নটাও হয়তো একদিন সত্য হবে। তখন আমার বাবা হিসেবে তুমি মঙ্গলে যাবে। গিয়ে আমার সাথে দেখাসাক্ষাত্ করে দিন সাতেক পরে আবার চলে আসবে। আধা ঘণ্টার ব্যাপারই তো মাত্র।’

আবদুল জব্বার সাহেব উত্তেজিত বোধ করলেন।

তিনি পামটপ অন করতে গেলেন নিজের ঘরে। পামটপে ইন্টারনেটের সংযোগ আছে। তিনি ও তাঁর স্ত্রী এই পামটপ দিয়ে তাঁর প্রবাসী দুই মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন। ভিডিও কল। কথাও বলা যায়, সরাসরি ছবিও দেখা যায়।

আবদুল জব্বার সাহেবের স্ত্রী লায়লা বেগম রান্নাঘরে ব্যস্ত। তাঁর মেয়ের জন্য তিনি ভালোমন্দ রাঁধছেন। ছোটবেলায় মেয়ে খুব পছন্দ করত চিংড়ির মালাইকারি। তিনি সেটা রাঁধছেন। নারকেল দিয়ে রাঁধতে হবে। নারকেলের গুঁড়া রেডিমেড কিনে আনা হয়েছে। বাসার উল্টো দিকে ময়ূরী নামের সুপার মলেই পাওয়া যায়।

‘আমি খুবই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। ছোটবেলা থেকেই আমার শখ ছিল পাইলট হব। এই জন্য আমি চেয়েছিলাম বিমানবাহিনীতে যোগ দিতে। সায়েন্স নিয়ে পড়েছি।

‘চিন্তা করব না? সেবার যে মিমু আমাদের অস্ট্রেলিয়া নিয়ে গেল, প্লেনে তো পান নিয়েই উঠেছিলাম, ভেতরে খেয়েও ছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার ভেতরে পান নিয়ে ঢুকতে দেয়নি। এয়ারপোর্টেই আটকে দিয়েছিল। কিন্তু ওই দেশেও তো পান কিনতে পাওয়া যায়। কাজেই আমার অসুবিধা হয়নি। কিন্তু মঙ্গল গ্রহে কি পান নিতে দেবে? কাঁচা সুপারি? চুন?’

শিমু খিলখিল করে হাসতে লাগল।

হাসলে শিমুর গালে টোল পড়ে। মেয়েটার রং ছোটবেলায় ধবধবে ফরসা ছিল। তারপর স্কুলে যাবার পর রং ময়লা হতে শুরু করে। আমেরিকায় গিয়ে এখন বরং একটু শ্যামলা ভাব এসেছে। ওর বাম পাশে একটা দাঁতের ওপরে আরেকটা দাঁত। এ জন্য ওর হাসি সব সময় সুন্দর লাগে।

আবদুল জব্বার সাহেব মেয়ের হাসির দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থেকে বিড়বিড় করে বললেন, ‘মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ!’ যেন তাঁর নজর মেয়ের গায়ে না লাগে।

আবদুল জব্বার সাহেব ভেবে পান না, তার মতো সাধারণ সাদাসিধে একজন বাংলার শিক্ষকের ঘরে এই রকমের একটা মেয়ে বেড়ে উঠল কী করে, যার নাম এখন সারা পৃথিবীর সবার জানা। আবার সে যদি এমন দাপুটে মেয়েই হবে, তাহলে সে এমন নিরীহভাবে তার এই বাসায় এসে থাকছে কী করে। মাস কয়েক পরে সে উড়াল দেবে পৃথিবী ছেড়ে। তাকে দেখলে কে বলবে সে এ রকম একটা ডাকসাইটে অ্যাস্ট্রোনট। নাসায় চাকরি করে। আমেরিকায় থাকে। ইংরেজিতে ফটর ফটর করে কথা বলে। কী রকমভাবে কলাবাগানের বাসায় খাটে আধশোয়া হয়ে আছে। মা-বাবার সাথে হাসিঠাট্টা করছে।

শিমু বলল, ‘মা, তোমার জন্য অবশ্যই পান-সুপুরির ব্যবস্থা থাকবে। আমরা তো মঙ্গলে গিয়ে আস্তে আস্তে চাষবাস শুরু করব। আমি পানের চারা নিয়ে যাব সঙ্গে করে। মঙ্গলে একরের পর একর জমিতে পান চাষ হবে। তুমি নেমে দেখবে চারদিকে পানগাছ। পানের পাতা। তুমি পাগল হয়ে যাবে খুশিতে। পান আর পান।’

বাসার নিচে চারজন পুলিশ আছে। বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে এই নিরাপত্তা। যুক্তরাষ্ট্র সরকার অনুরোধ করেছে। টেলিভিশনের সাংবাদিকেরা জ্বালিয়ে মারছে। সারাক্ষণ খবর নিচ্ছে সংবাদপত্রের লোকজন। শিমু বলে দিয়েছে, অফিশিয়ালি কথা বলা বারণ। আবদুল জব্বার সাহেবও সবাইকে সেটা জানিয়ে দিচ্ছেন। ওর অফিস থেকে কথা বলতে নিষেধ করে দিয়েছে। তাই কোনো কথা হবে না। নিরাপত্তারও একটা ব্যাপার আছে। প্রচার-প্রচারণা থেকে তাই দূরে থাকতে হবে।

‘বাবা, তোমার মনে আছে, আমি যেদিন বিমানবাহিনীর ইন্টারভিউতে ফেইল করলাম, সেদিনটার কথা?’ শিমু বলল।

‘না তো মা। কী হয়েছিল!’

‘আমি খুবই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। ছোটবেলা থেকেই আমার শখ ছিল পাইলট হব। এই জন্য আমি চেয়েছিলাম বিমানবাহিনীতে যোগ দিতে। সায়েন্স নিয়ে পড়েছি। রেজাল্ট ভালো। আমার সাহস আছে। গাছে চড়তে পারি, সাঁতার কাটতে পারি। ফুটবল খেলি, বাস্কেটবল খেলি। আমাকে বিমানবাহিনী নেবে না, এটা আমার কল্পনাতেও ছিল না। অনেক দূর পর্যন্ত গেলাম। শেষে বাদ দিয়ে দিল। খুব কাঁদছিলাম। তখন তুমি আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলে। আমাকে তুমি ভারতের প্রেসিডেন্ট আর পরমাণুবিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালামের গল্প শুনিয়েছিলে। এ পি জে আবদুল কালামও বিমানবাহিনীর জিডি পাইলট হতে চেয়েছিলেন। দেরাদুনে গিয়ে বিমানবাহিনীর পাইলট হওয়ার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। অল্পের জন্য তিনি চান্স পেলেন না। তখন তাঁর মনে হলো, তাঁর জীবনের আর কোনো মূল্য নেই। তিনি একটা নদীর ধারে মন খারাপ করে বসে রইলেন। ওই সময় একজন সাধু এলেন তাঁর কাছে। তাঁকে বললেন, তোমার কী হয়েছে? এত মন খারাপ করে বসে আছো কেন?

এ পি জে আবদুল কালাম বললেন, আমার জীবন ব্যর্থ হয়ে গেছে। আমি বিমানবাহিনীর পাইলট হতে পারব না।

এ পি জে আবদুল কালাম এরপর পড়তে শুরু করলেন বিজ্ঞান। হলেন বড় বিজ্ঞানী। শেষে হলেন ভারতের প্রেসিডেন্ট। কত দিন আগের কথা বাবা। আমার ঠিক মনে আছে।

সাধু বললেন, তোমার জীবন মোটেই ব্যর্থ হয়ে যায়নি। তুমি বিমানবাহিনীর পাইলট হতে চেয়েছ। কিন্তু তোমার বিধিলিপি হয়তো তা নয়। হয়তো তোমার জন্য নিয়তি এর চেয়ে ভালো কিছু নির্ধারণ করে রেখেছে। তোমাকে বিধাতা যা হওয়ার জন্য বানিয়ে রেখেছেন, তাই তো তুমি হবে। হয়তো সেটা বিমানবাহিনীর জিডি পাইলটের চেয়েও বড় কিছু, ভালো কিছু। তুমি সেটা হওয়ার জন্য চেষ্টা করো।

এ পি জে আবদুল কালাম এরপর পড়তে শুরু করলেন বিজ্ঞান। হলেন বড় বিজ্ঞানী। শেষে হলেন ভারতের প্রেসিডেন্ট। কত দিন আগের কথা বাবা। আমার ঠিক মনে আছে। তোমার কথা শুনে আমি ঠিক করলাম, আমিও ফিজিকস পড়ব। একদিন হয়তো বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারব! হা হা হা।’

‘তুই কি সত্যি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হতে চাস?’

‘তা কী করে হবে বাবা? আমি তো মঙ্গলে যাচ্ছি।’

আবদুল জব্বারের চোখ টলমল করে উঠল। তার বাচ্চাটা কী পরিষ্কার বাংলায় কথা বলে। বলবেই না বা কেন। তেইশ বছর বয়স পর্যন্ত তো বাংলাদেশেই ছিল। হলিক্রস কলেজে পড়েছে, তারপর পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই। সেখান থেকেই সে চলে গেল আমেরিকায়।

ঢাকায় তো ছায়ানটে গান শেখার ক্লাসও করেছে। ভালো রবীন্দ্রসংগীত গাইতে পারত। ওর বাংলা উচ্চারণ তাই ভাঙা ভাঙা হওয়ার কোনোই কারণ নেই।

মেয়েটা মঙ্গলে যাচ্ছে। মঙ্গলে যাওয়া মানে একবারে যাওয়া। আর কোনো দিন ওর সাথে দেখা হবে না। কিন্তু হয়তো কথা হবে। আর ওর কাজকর্ম সবই তো দেখা যাবে। ছবি মঙ্গল থেকে আসবে। মঙ্গলের ছবি নিশ্চয়ই মঙ্গলবার্তায় ভরাই থাকবে।

আবদুল জব্বার আশা হারান না।

* লেখাটি ২০১৭ সালে বিজ্ঞানচিন্তার ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত