ভিনগ্রহের ক্রিকেটার

আনিসুল হকের জনপ্রিয় বিজ্ঞান কল্পকাহিনি 'ভিনগ্রহের ক্রিকেটার'। বইটি ২০০২ সালে প্রথম প্রকাশ করে মাওলা ব্রাদার্স। উপন্যাসটি এর আগে বিজ্ঞানচিন্তায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে। আজ ৪ মার্চ আনিসুল হকের জন্মদিনে কল্পকাহিনিটি বিজ্ঞানচিন্তার পাঠকদের জন্য আবারও একসঙ্গে প্রকাশ করা হলো।

ভিনগ্রহের ক্রিকেটার - পর্ব ১

মিজানটা একটা আস্ত গর্দভ। আরে তোর অতো কথা বলার কী দরকার! শান্তকে স্যার নিশ্চয় ব্লাকবোর্ডে অঙ্ক কষতে ডাকতেন। তখন পুরো ক্লাসই শান্তর পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন দেখতে পেত।

ভিনগ্রহের ক্রিকেটার - পর্ব ২

সোহান বলল, স্যার আমি তো স্কুল ড্রেসই পরে এসেছি। কোথাও তো স্যার লেখা নাই স্কুল ড্রেসের কোনটা সামনে কোনটা পেছনে

ভিনগ্রহের ক্রিকেটার - পর্ব ৩

ইশ্‌। এই মা-ই তাকে আগে কত আদর করতেন। ক্লাস থ্রি পর্যন্ত মা তাকে রোজ রোজ ভাত মেখে নিজ হাতে খাইয়েছেন। সে কত বড় হয়েও মার গলা ধরে ঘুমিয়েছে

ভিনগ্রহের ক্রিকেটার - পর্ব ৪

মিজান চুপি চুপি একটা টুল এনে রাখল তাকের কাছে। তারপর উঠে গেল টুলের ওপর। মুড়ির টিনটা তার নাগালের মধ্যে এসে গেল। টিনটা এক হাতে নিয়ে আরেক হাতে তাকটা ধরে সে মাত্র নামতে গেছে, ঠিক এ সময়ে ঘটে গেল একটা ছোট্ট দুর্ঘটনা

ভিনগ্রহের ক্রিকেটার – পর্ব ৫

মিজান তার সামনে সাজিয়ে রাখা খাবারগুলোর দিকে সন্দেহের দৃষ্টি ফেলল। এগুলো যে কী খাবার, সে ধরতে পারছে না। মিজান বলল, আচ্ছা, এসব খাবারে কি ডিমের কিছু আছে?

ভিনগ্রহের ক্রিকেটার – পর্ব ৬

মোহন আর রাজীব কাঁথামুড়ির অবসান ঘটিয়ে উঠে পড়ে বলল, ভালোই হলো, আমাদের ব্রে খেলার একজন পার্টনার পাওয়া গেল। ওরে মিজান, তুই তো ভালোই গাধার ডাক ডাকতে পারবি, নাকি?

ভিনগ্রহের ক্রিকেটার – পর্ব ৭

ব্যাটিং দিয়ে ক্লাস সেভেন তাদের প্র্যাকটিস শুরু করল। সোহান বলল, বুঝলি আবীর, মাঠে নেট থাকতে হতো। নেটে প্র্যাকটিস না করলে তুই কোনো দিন বড় খেলোয়াড় হতে পারবি না। 

ভিনগ্রহের ক্রিকেটার – পর্ব ৮

পরের ওভারে বল তুলে দিল আবদালের হাতে। আর একটা উইকেট পেলে আবদালের হ্যাটট্রিক হতে পারে। সোহান বলল, ‘আবদাল, আরেকটা ওভার কর দেখি। সাবেরকে বের করে দিবি শূন্যতে। পারবি তো?’

ভিনগ্রহের ক্রিকেটার – পর্ব ৯

মিজান গোসল করতে গেল কলতলায়। হোস্টেলের বয় আনসার এগিয়ে এল। স্যার দেন আমি পানি তুইলা দিই। আজকা স্যার যা খেলা দেখাইছেন। কি আনসার ভাই, আপনিও খেলা দেখতে গিয়েছিলেন নাকি?

১০

ভিনগ্রহের ক্রিকেটার – শেষ পর্ব

হোটেলের দরজায় গোয়েন্দা নিরাপত্তা কর্মীরা অনেক ধাক্কাধাক্কি করল। কিন্তু দরজা খুলল না। শেষে দরজা ভেঙে ফেলা হলো। ভেতরে গিয়ে দেখা গেল কেউ নেই৷