আইভা - ১

তখন অনেক রাত। আমার কামরার দরজায় কেউ জোরে করাঘাত করল। আধাঘুমন্ত অবস্থায় লাফিয়ে উঠলাম সোফা থেকে। কী ব্যাপার কে জানে। গাড়ির গতির তালে তালে টেবিলের ওপর শূন্য চায়ের গেলাসে চামচগুলো ঠুন ঠুন করছিল। আলো জ্বেলে জুতোর সন্ধানে পা বাড়ালাম। ফের করাঘাত শোনা গেল। এবার আরও জোরে, একরোখা। দরজা খুললাম।

দরজার কাছে ট্রেন কনডাক্টর দাঁড়িয়ে, তার পেছনে লম্বামতো একটা লোক, পরনের ডোরাকাটা স্লিপিং স্যুটটা দলামোচড়া।

‘মাপ করবেন কমরেড,’ চাপা গলায় বলল কনডাক্টর, ‘এ কামরায় আপনি একা, তাই আপনাকেই বিরক্ত করতে হলো।’

‘সে কিছু না, কিন্তু কী ব্যাপার?’

‘আপনার কামরায় ইনিও যাবেন’... কনডাক্টর একটু সরে স্লিপিং স্যুট পরা লোকটির যাওয়ার পথ করে দিল। আমি অবাক হয়ে চাইলাম।

‘আপনার কামরায় বুঝি বাচ্চা ছেলেমেয়েরা আছে, ঘুমতে দিচ্ছে না?’ আগন্তুক যাত্রীটি হেসে নেতিবাচকভাবে মাথা নাড়ল। ‘তা বেশ, আসুন না,’ অমায়িকভাবে বললাম আমি।

লোকটি ঢুকে চারিদিকে চেয়ে বসল সোফায়, একেবারে জানলার কাছের কোণটিতে। একটি কথাও না বলে টেবিলে কনুই রেখে মাথা ভর দিয়ে চোখ বুজল।

‘এবার তাহলে আর কোনো অসুবিধা নেই,’ কনডাক্টর হেসে বলল, ‘দরজা বন্ধ করে দিয়ে বিশ্রাম নিন এবার।’

দরজা বন্ধ করে সিগারেট ধরালাম আমি, কটাক্ষে দেখতে লাগলাম আমার নৈশ অতিথিকে। লোকটার বছর চল্লিশ বয়স, এক মাথা চকচকে কালো চুল; নিশ্চল হয়ে বসে ছিল সে মূর্তির মতো, নিঃশ্বাস নিচ্ছে বলেও যেন মনে হয় না।

ভাবলাম, ‘বিছানার অর্ডার দিল না কেন? বলে দেখব নাকি?’

সহযাত্রীর দিকে ফিরে কথাটা বলতে যাব, এমন সময় সে যেন আমার মনের কথাটা আন্দাজ করেই বলল: ‘লাভ নেই। বলছিলাম কি, বিছানার অর্ডার দিয়ে লাভ নেই। ঘুমও আসছে না, কিছু পরেই আবার নামতে হবে।’

তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে হকচকিয়ে আমি কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু ঘুম আর এল না। মনে পড়তে লাগল যত রেলগাড়িতে চুরির কাহিনী। ভাগ্য ভালো যে আমি যে ওয়াগনটায় উঠেছি এটা নতুন ধরনের, এতে সোফার নিচে মালপত্তর নিরাপদে বন্ধ করে রাখা যায়। বলা তো যায় না, আমার এই সঙ্গীটি ...

‘আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন। আপনার মতোই খাঁটি লোক আমি। আসলে ‘ন’ স্টেশনে আমি আমার ট্রেনটা মিস করেছিলাম।’ ফের একটা নিশ্চিন্ত, সুস্পষ্ট সুরে বললে সে।

‘এ আবার কী! নতুন এক ভল্ফ মেসিংয়ের উদয় হলো নাকি, মনের কথা শুনে বলছেন!’ বিড় বিড় করে দুর্বোধ্য কী একটা জবাব দিয়ে আমি অন্য পাশ ফিরে পালিশ করা দেয়ালের দিকে চেয়ে রইলাম। বেশ একটা উৎকণ্ঠ নীরবতা নামল।

আরও পড়ুন
উঠে দাঁড়িয়ে সে দরজার কাছে গিয়ে সুইচ অফ করে দিল। তারপর ফিরে এল নিজের সোফায়। অন্ধকারে চোখ সয়ে আসতে দেখলাম লোকটা তার সীটে ঠেস দিয়ে মাথার পেছনে হাত রেখে বসে আছে।

শেষ পর্যন্ত কৌতূহলের জয় হল। ফের তাকিয়ে দেখলাম অপরিচিত লোকটির দিকে। আগের ভঙ্গিতেই বসে আছে সে। বললাম, ‘আলোয় আপনার অসুবিধা হচ্ছে না তো?’

‘কী বললেন? আলো? আপনারই বরং অসুবিধা হবে। নিভিয়ে দেব?’

‘তা নিভিয়ে দিতে পারেন...’

উঠে দাঁড়িয়ে সে দরজার কাছে গিয়ে সুইচ অফ করে দিল। তারপর ফিরে এল নিজের সোফায়। অন্ধকারে চোখ সয়ে আসতে দেখলাম লোকটা তার সীটে ঠেস দিয়ে মাথার পেছনে হাত রেখে বসে আছে। পা এগিয়ে এসেছে প্রায় আমার সোফা পর্যন্ত।

‘ট্রেন ফেল করলেন কী করে?’ আমি জিজ্ঞেস করলাম।

‘ভয়ানক বেকুবি হয়েছিল আর কি। আমি স্টেশনে নেমে একটা বেঞ্চে বসে একটা কথা নিয়ে ভাবছিলাম, মনে মনে প্রমাণ করার চেষ্টা করছিলাম যে আইভা ভুল...’ হড়বড় করে বলে গেল লোকটা, বোঝা যায় আলাপ চালানোয় তার খুব আগ্রহ নেই, ‘ওদিকে ছেড়ে দিলে ট্রেনটা।’

‘মানে... কোনো মহিলার সঙ্গে তর্ক করেছিলেন বুঝি?’ জিজ্ঞেস করলাম আমি।

আবছা অন্ধকারে লক্ষ্য করলাম ঝট করে সিধে হয়ে সে আমার দিকে ফিরল। শশব্যস্তে উঠে বসলাম আমি।

‘এর মধ্যে মহিলা এল কোথা থেকে?’ বিরক্তভাবে বললে সে।

‘কিন্তু আপনিই তো বললেন, মনে মনে প্রমাণ করছিলেন যে আইভা নাকি বললেন, সে সঠিক নয়।’

‘আপনি কি ভাবেন, স্ত্রীলিঙ্গের একটা শব্দ বললেই বুঝতে হবে মহিলা? অবশ্য, এই বিদঘুটে ভাবনাটা ‘তার’ মধ্যেও একবার ঢুকেছিল। ভেবেছিল সেও একজন মহিলা।’

এই অদ্ভুত উক্তিটা সে করলে তিক্ত এমন কী রুষ্টভাবেই। শেষের কথাটি তো রীতিমতো ব্যঙ্গের সুরে। মনে হলো লোকটা বিশেষ স্বাভাবিক নয়, সাবধানে থাকা ভালো। কিন্তু আলাপটা চালিয়ে যাবার ইচ্ছে হচ্ছিল। সোফা থেকে উঠে আমি সিগারেট ধরালাম, তার প্রধান উদ্দেশ্যটা ছিল দেশালাইয়ের আলোয় সহযাত্রীটিকে ভালো করে দেখব। সে বসে ছিল সোফার এক প্রান্তে, জ্বলজ্বলে কালো চোখে তাকিয়ে ছিল আমার দিকে।

‘কী জানেন,’ যথাসম্ভব নরম করে আপোসের সুরে বললাম, ‘আমি পেশায় লেখক। তাই স্ত্রীলিঙ্গবাচক একটা শব্দের প্রসঙ্গে যদি বলেন ‘সে সঠিক’ বা ‘সে ভেবেছিল’ তাহলেও নারী সম্পর্কে বলা হচ্ছে না এটা আমার কাছে আশ্চর্য ঠেকছে।’

চট করে কোনো উত্তর এল না আমার অদ্ভুত সহযাত্রীটির কাছ থেকে। অবশেষে বলল, ‘কথাটা এক সময় খুবই সত্যি ছিল, বছর দশেক আগে। কিন্তু আমাদের কালে আর তা খাটে না। ‘সে’ এ ক্ষেত্রে মেয়ে নাও হতে পারে, কেবল স্ত্রীলিঙ্গের কোনো বিশেষ্যকে বোঝায় তাতে। শেষ বিচারে, সর্বনামগুলো হলো আমাদের অভ্যস্ত একটা কোডের কতগুলো সঙ্কেতচিহ্ন, যাতে আমাদের চেতনায় বস্তুটির লিঙ্গ সম্পর্কে একটা ধারণা জাগে। এমন ভাষা আছে, যাতে একেবারেই লিঙ্গ ভেদ নেই। যেমন, ইংরেজি ভাষায় কয়েকটি ব্যতিক্রম বাদে অচেতন কোনো বস্তুরই লিঙ্গ নেই। রোমান ভাষাগুলোর মধ্যে ক্লীবলিঙ্গ কিছু নেই...’

‘ও হো, লোকটা দেখছি ভাষাতাত্ত্বিক,’ ভাবলাম আমি।

আরও পড়ুন
‘কিন্তু কেন বলুন তো এই সব কোড, সংকেত, মডুলেশন ইত্যাদির আমদানি। আমাদের ব্যাকরণে তো বেশ কার্যকরী পরিভাষাই সব আছে।’

কিন্তু তাতে ব্যাপারটা বিশেষ পরিষ্কার হলো তা নয়। সহযাত্রীটি যদি ভাষাতাত্ত্বিকই হয়, তাহলেও স্ত্রীলিঙ্গভুক্ত কোনো বিশেষ্যের ভাবনা নিয়ে তার এ গবেষণার প্রয়োজন পড়ল কেন। সবটাই এমন গোলমেলে ঠেকল যে ঠিক করলাম একটু ঘুরপথে এগোতে হবে।

বললাম, ‘কথাটা যখন উঠল তখন বলি, খুব অদ্ভুত ভাষা হলো ইংরেজি। রুশ ভাষার সঙ্গে তুলনায় তার ব্যাকরণ আশ্চর্য সরল ও সমরূপ।’

‘হ্যাঁ,’ লোকটা বলল, ‘বিশ্লেষণী ভাষার চমৎকার দৃষ্টান্ত এটা, বেশ মিতব্যয়ের সঙ্গেই তাতে কোড ব্যবস্থার প্রয়োগ হয়েছে।’

‘কী ব্যবস্থা?’

‘কো-ড ব্য-ব-স্থা,’ স্পষ্ট করে বললে সে, ‘নির্দিষ্ট অর্থবহ একটা সংকেত প্রণালী। শব্দ হলো এই সংকেত।’

কিছু কিছু ভাষার ব্যাকরণ আমি পড়েছি, কিন্তু মানতে বাধ্য যে ‘কোড ব্যবস্থা’ ‘সংকেত’ ইত্যাদি পরিভাষা কোথাও দেখিনি। তাই জিজ্ঞেস করলাম: ‘কিন্তু কোড ব্যবস্থা বলতে কী বোঝেন আপনি?’

‘সাধারণভাবে কোড ব্যবস্থা হলো সংকেত বা চিহ্ন দিয়ে শব্দ, বাক্য বা সম্পূর্ণ এক একটা বোধকে প্রকাশ করা। ব্যাকরণের কথা যদি বলেন, তো বিশেষ্যের বহুবাচনিক রূপ হলো একটা সংকেত যার সাহায্যে বস্তুর বহুত্ব সম্পর্কে একটা ধারণা জন্মানো হয় আমাদের চেতনায়। যেমন ‘ওয়াগন’ বললে একটা ওয়াগন বোঝায়। এর সঙ্গে ‘গুলো’ শব্দ যোগ করলে বোঝাবে অনেক ওয়াগন। এই ‘গুলো’ টা হলো সেই সংকেত যাতে বস্তু সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞান মডুলেটেড হচ্ছে।

‘মডুলেটেড হচ্ছে?’

‘হ্যাঁ, মানে পরিবর্তিত হচ্ছে।’

‘কিন্তু কেন বলুন তো এই সব কোড, সংকেত, মডুলেশন ইত্যাদির আমদানি। আমাদের ব্যাকরণে তো বেশ কার্যকরী পরিভাষাই সব আছে।’

‘ব্যাপারটা পরিভাষার নয়,’ আমার কথায় বাধা দিল সহযাত্রী, ‘ব্যাপারটা আরো গভীর। খুব সহজেই দেখানো যায় যে ব্যাকরণ তথা খাস ভাষাটাই মোটেই নিখুঁত নয়। সেটা আমাদের আপাতত মেনে নিতে হচ্ছে, কারণ ঐতিহ্যের সঙ্গে আমরা বাঁধা। একবার ভেবে দেখুন। রুশ ভাষায় প্রায় এক লাখ মূল শব্দ, তা গড়ে উঠেছে বর্ণমালার ৩৫টি অক্ষর দিয়ে। প্রতিটি শব্দে যদি গড়ে পাঁচটা করে অক্ষর থাকে, তাহলে একজন শিক্ষিত ব্যক্তিকে মনে রাখতে হবে প্রায় পাঁচ লক্ষ অক্ষরের বিন্যাস। তদুপরি আছে ব্যাকরণের বহুসংখ্যক রূপ, বিভক্তি, কারক, ইত্যাদি।’

‘কিন্তু তা বাদ দিয়ে চলবে কি করে?’ এই অস্বাভাবিক ‘ভাষাবিদ’ কী বলতে চাচ্ছেন তা না বুঝে জিজ্ঞেস করলাম। ‘যেমন ধরুন, বর্ণমালাকে সংক্ষেপ করা যায়। যদি আপনি ধরুন ১ থেকে ১০ এই দশটি সংখ্যা ক্রমান্বয়ে নেন, তাহলে মিতব্যয়ে ব্যবহার করলে তা থেকে প্রায় চল্লিশ লাখ বিভিন্ন বিন্যাস সম্ভব। তাই ৩৫ অক্ষরের বর্ণমালার কোনো প্রয়োজনই হবে না। তাছাড়া দশটা বিভিন্ন সংখ্যারও দরকার নেই। কেবল দুটিতেই কাজ চলে যাবে শূন্য আর এক।’

এই অদ্ভুত প্রস্তাব শুনে মনে মনে কল্পনা করলাম, বই পড়ছি, অক্ষরের বদলে তার পাতাগুলো কেবল সংখ্যা দিয়ে ঠাসা। মনে হলো যেমন বিষন্ন তেমনি হাস্যকর।

আরও পড়ুন
‘ধুত্তোরি যত শূন্য আর একের বিরুদ্ধে আপনার আপত্তিটা কী বলুন তো?’ ভ্রুকুটি করে জিজ্ঞেস করলেন সহযাত্রী। ‘কিছু কিছু বিদেশী ভাষা তো আপনি জানেন, তাই না?’

‘কিন্তু আপনার বর্ণমালায় লেখা বই ভারি একঘেয়ে হবে। হাতে নিতেই ইচ্ছে হবে না। ভেবে দেখুন আপনার ভাষায় কবিতা কী রকম দাঁড়াবে:

এক, এক, শূন্য-শূন্য, শূন্য-শূন্য।

এক, শূন্য-শূন্য, এক, এক,

এক, এক, এক, শূন্য-শূন্য,

শূন্য-শূন্য, শূন্য-শূন্য, শূন্য-শূন্য, এক!

এ কবিতা লেখাও খুব সহজ! মিল ছন্দ নিয়ে আর চুল ছিড়তে হবে না! আপনার এই র‍্যাশানালিজেশন পদ্ধতি অনুসরণকারী কবির কবিতা পড়ে সমালোচকরা লিখবেন, তাঁর কবিতা শূন্য ও একের সুষম বিন্যাসে ভরা। কতগুলো পঙক্তিতে শূন্য ও এক নির্বাচিত হয়েছে অতি সুরুচি সহকারে, এবং ক্রমান্বয়ে পাঁচবার পর্যন্ত শূন্য ও একের পুনরাবৃত্তিতে কখনো ঘণ্টা ধ্বনি কখনো উড্ডীন বলাকার আভাস দেয়।’

না হেসে থাকতে পারলাম না।

‘ধুত্তোরি যত শূন্য আর একের বিরুদ্ধে আপনার আপত্তিটা কী বলুন তো?’ ভ্রুকুটি করে জিজ্ঞেস করলেন সহযাত্রী। ‘কিছু কিছু বিদেশী ভাষা তো আপনি জানেন, তাই না?’

টের পেলাম লোকটা চটে উঠছে।

‘হ্যাঁ জানি, ইংরেজি, জার্মানি, কিছুটা ফরাসি।’

‘বেশ, ইংরেজিতে হাতিকে কী বলে?’

‘এলিফেন্ট,’ বললাম আমি।

‘আর এতে আপনার মোটেই হতভম্ব লাগে না?’

‘হতভম্বের কী আছে?’

‘হতভম্বের এই যে রুশ ভাষায় হাতী কেবল চারটে বর্ণের শব্দ, ইংরেজিতে প্রায় তার দ্বিগুণ!’

‘কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই কেবল হাতিই তো বোঝাচ্ছে, উট নয় কি ট্রাম নয়।’

‘এই যে বললেন ট্রাম রুশিতে এটা ইংরেজি ট্রামের চেয়ে তিন বর্ণ বড়ো, আর জার্মানে স্ট্রাসেনবাহন রুশ শব্দের দ্বিগুণ লম্বা। এ সব আপনি সাগ্রহেই মেনে নিতে রাজী। ভাবছেন এই-ই সঙ্গত। এতে আপনার গদ্য পদ্য কিছুরই লোকসান হচ্ছে না। আপনি ভাবেন এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করা খুবই সম্ভব। কিন্তু শূন্য আর একে অনুবাদ করতে আপনি গবরাজী।’

চলবে…

মূল: আনাতলি দনে্‌প্রভ

অনুবাদ: ননী ভৌমিক

* সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘প্রগতি প্রকাশনী’ থেকে প্রকাশিত গল্প সংকলন গ্রহান্তরের আগুন্তুক থেকে নেওয়া।