এক ধনী লোক গাড়ি কিনতে গেল একটা গাড়ির শোরুমে। হাইব্রিড নয়, আধুনিক বিজ্ঞানসহায়ক গাড়ি চাই তার।
: আপনার কী ধরনের গাড়ি চাই? এগিয়ে এল শোরুমের লোক।
: আমি একটা অত্যাধুনিক গাড়ি চাই, যে গাড়িতে কোনো ড্রাইভার লাগবে না, নিজে নিজেই চলবে। মোটকথা আধুনিক বিজ্ঞানকে...
: বুঝতে পেরেছি, আর বলতে হবে না। আপনি একদম সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। আমরা অতিসম্প্রতি ইলন মাস্কের কোম্পানির সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারে একটা অত্যাধুনিক গাড়ি নামিয়েছি, যাতে কোনো ড্রাইভার লাগবে না।
: ওহ দারুণ!
: আমরা একটা অতিরিক্ত সুবিধা দিচ্ছি এই গাড়িতে...
: সেটা কী?
হ্যাঁ, আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। পেট্রল ছাড়াও চলে, এমন গাড়িও আছে আমাদের। এটা নিতে পারেন
: সেটা হচ্ছে, প্রথম ধাক্কায় এই গাড়ি পনেরো মাইল ছুটে যাবে একটানে; ট্রাফিক জ্যাম বা অন্য কোনো বাধাই একে আটকাতে পারবে না, এর সেন্সরগুলো এতই শক্তিশালী!
: তাই? লোকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। ‘সে ক্ষেত্রে এ গাড়ি আমি নিতে পারছি না।’
: কেন?
: কারণ, আমার অফিস দশ মাইল দূরে, আমার পক্ষে ফের পাঁচ মাইল হেঁটে অফিসে ফিরে আসা সম্ভব না।
সেই লোক গাড়ি না কিনেই বেরিয়ে গেলেন শোরুম থেকে। দ্বিতীয় এক লোক ঢুকলেন। এই লোকটিও গাড়ির ক্রেতা।
: আপনার কী ধরনের গাড়ি চাই?
: পেট্রলের দাম বেড়েছে। কাজেই বুঝতেই পারছেন, পেট্রল ছাড়া চলে এমন গাড়ি চাই।
: হ্যাঁ, আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। পেট্রল ছাড়াও চলে, এমন গাড়িও আছে আমাদের। এটা নিতে পারেন।
: এটা কিসে চলে?
: কেন অকটেনে।
দান দান তিন দান। তৃতীয় এক ক্রেতা ঢুকলেন ওই একই শোরুমে।
: কী ধরনের গাড়ি চাই আপনার?
: বুঝতেই পারছেন, আজকাল পেট্রল, অকটেনের যে দাম। আমি এমন একটা গাড়ি চাই, যেটা ন্যূনতম পেট্রল বা অকটেনে চলবে।
আমরা ইলন মাস্কের কোম্পানির সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারে সবার চাহিদামতো বেশ কিছু ভিন্ন ধরনের গাড়ি নামিয়েছি। ন্যূনতম পেট্রল বা অকটেনে চলে, এমন গাড়িও আমাদের আছে। মাত্র এক চামচ পেট্রল বা অকটেনে আপনি টানা ছয় ঘণ্টা গাড়ি চালাতে পারবেন
: আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। হ্যাঁ, আমরা ইলন মাস্কের কোম্পানির সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারে সবার চাহিদামতো বেশ কিছু ভিন্ন ধরনের গাড়ি নামিয়েছি। ন্যূনতম পেট্রল বা অকটেনে চলে, এমন গাড়িও আমাদের আছে। মাত্র এক চামচ পেট্রল বা অকটেনে আপনি টানা ছয় ঘণ্টা গাড়ি চালাতে পারবেন।
: ওহ দারুণ! সে ক্ষেত্রে আমার একটা প্রশ্ন ছিল…
: কী প্রশ্ন?
: চায়ের চামচ না টেবিল চামচ?
না, সেদিন ওই গাড়ির শোরুমে একটা গাড়িও বিক্রি হয়নি।