ছেলে ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে বাসায় ফিরেছে। বাবা পেপার পড়ছিলেন, আটকালেন।
—কী, এবার সব বিষয়ে পাস হয়েছে তো?
—আর বলো না বাবা, তিনতলার ফ্ল্যাটের প্রফেসর সাহেবের ছেলে সব বিষয়ে পাস করেছে, কিন্তু বিজ্ঞানে ফেল।
—আরে তোর কী অবস্থা, সেটা বল?
—আর নিচতলার ডান দিকের ফ্ল্যাটের ব্যারিস্টার সাহেবের মেয়ে মিনু, সে–ও সব বিষয়ে পাস, শুধু ওই বিজ্ঞানে ফেল।
—উফ...আমি কী বলছি তোকে? তুই সব বিষয়ে পাস করেছিস তো এবার?
—তারপর ধরো, ওই পাশের বিল্ডিংয়ের ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের ছেলে সোহেল, সে–ও সব বিষয়ে এক চান্সে পাস, কিন্তু বিজ্ঞানে ফেল।
—আরে ফাজিলের ফাজিল, রাখ তোর প্রফেসর, ব্যারিস্টার, ইঞ্জিনিয়ারের ছেলে...তুই বিজ্ঞানে পাস করেছিস তো?
—আমি কোন...ইয়ের ছেলে যে বিজ্ঞানে পাস করব? ছেলের উত্তর।
বিজ্ঞান পরীক্ষাটা যেন একটু কঠিনই লাগে কারও কারও কাছে। যেমন আরেক স্কুলের এক ছেলে তাদের বিজ্ঞান পরীক্ষা নিয়ে কথা বলছিল, ‘জানিস, বিজ্ঞান পরীক্ষার সময় আমাদের কোশ্চেনের সঙ্গে স্যারেরা ব্লটিং পেপার দেয়।’
—কেন? তোরা কি বিজ্ঞান পরীক্ষা ফাউন্টেন পেনে দিস?
—না, বলপয়েন্টেই দিই...কোশ্চেন এত হার্ড হয় যে চোখের পানি নাকের পানি মুছতে টিস্যুতে কাজ হয় না। তাই স্যারেরা ব্লটিং পেপার দেন।
দান দান তিন দান...আরেক স্কুলে চলছে বিজ্ঞান পরীক্ষা। এক ঘণ্টার বিজ্ঞান পরীক্ষা শেষ করে এক ছেলে বাসায় ফিরল। এই ছাত্রের মা আবার বিজ্ঞানের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস। ছেলে বাসায় ফেরামাত্র কোশ্চেন ছিনিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করলেন, ‘পরীক্ষা কেমন হলো?’ ‘সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিস তো?’ ‘এ প্লাস থাকবে তো?’ ‘গতবারের চেয়ে ভালো হয়েছে তো পরীক্ষা?’
ছেলে গম্ভীর হয়ে বলল,
—মা, আমি জানতাম তুমি বিজ্ঞান পরীক্ষা নিয়ে টেনশন করবে। তাই পরীক্ষার খাতাটা লুকিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি। স্যারেরা টের পায়নি। এই দেখো...
মজার ব্যাপার হচ্ছে, পৃথিবী বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী নীলস বোর ছোটবেলায় ঠিক এই কাজ করেছিলেন তাঁর মায়ের সঙ্গে।