স্কুল থেকে ফিরে এসেছে এক বাচ্চা। বই-খাতা ছুড়ে ফেলে ছুটে গেল মায়ের কাছে। তাকে বেশ উত্তেজিত দেখাচ্ছে!
- মা? মা??
- কী ব্যাপার বলো।
- মা আমি কি রোবট?
- কেন তুমি রোবট হবে কেন? মা অবাক হয়ে পাল্টা প্রশ্ন করেন।
- ক্লাসের বন্ধুরা বলে আমার নাকি স্ক্রু ঢিলা।
রোবট হলেই শরীরের এদিক–ওদিক দু–চারটা স্ক্রু থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। এই প্রসঙ্গে একটা গল্প বলা যাক। আমি এক প্রফেশনাল কার্টুনিস্টকে চিনি। যার ছোটবেলায় বাসায় ছবি আঁকা নিষিদ্ধ ছিল। বিশেষ করে মানুষ তো আঁকাই যাবে না। মানুষ আঁকলেই কঠিন শাস্তি। তারপরও সেই শিশুশিল্পী (কার্টুনিস্ট?) মানুষ আঁকত! এবং বাবা টের পেলে শিল্পীর কান ধরে হুংকার দিতেন।
– ‘আবার মানুষ এঁকেছিস?’
- এটা মানুষ না রোবট। গম্ভীর গলায় বলত সেই শিশুশিল্পী।
- মানে?
- দেখছ না মাথার ওপর দুটো স্ক্রু।
রোবট হলেই শরীরের এদিক–ওদিক দু–চারটা স্ক্রু থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। এই প্রসঙ্গে একটা গল্প বলা যাক। আমি এক প্রফেশনাল কার্টুনিস্টকে চিনি।
এটা ছিল সেই শিশুশিল্পীর একটা কৌশল। সে মানুষই আঁকত বাবা দেখার আগেই মাথার ওপর দু–চারটে স্ক্রু এঁকে ফেলত—তার মানে এটা রোবট। বাবার আর কিছু বলার নেই। কারণ, বাসায় রোবট আঁকার পারমিশন ছিল।
যা হোক, আধুনিক আইটি বিশ্বে এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে নানা কথা হচ্ছে। রোবট তৈরি হচ্ছে, তারা মানুষের মতোই দিব্যি কাজ করছে। কিন্তু হঠাৎ সবাই আবিষ্কার করল, সব রোবটই কেন যেন বিষণ্ন, ঠিক বিষণ্নও না, একটু যেন লাজুক। লজ্জিত লজ্জিত ভাব। এই নিয়ে একটা রোবট কোম্পানি পাবলিকলি জরিপ চালাল। ‘রোবটরা কেন লজ্জিত?’
জরিপে এক শ জনের মধ্যে ষাটজন একই উত্তর দিল। সেটা হচ্ছে, ‘রোবটের ভেতর সফটওয়্যার আছে, হার্ডওয়্যারও আছে, কিন্তু বাইরে আন্ডারওয়্যার নেই! এই জন্য সে সদা লজ্জিত। তাদের সবাইকে সুপারম্যানের মতো একটা করে লাল আন্ডারওয়্যার পরিয়ে দেওয়া হোক। এক অর্থে তারাও তো সুপারম্যান...রোবট!’
মানুষ মারা গেলে তার কবরে আমরা লিখে দিই RIP মানে REST IN PEACE আর যদি রোবট মারা যায়? তাহলে কী লেখা হবে? কেন, ‘RUST IN PEACE ’।