তারা ভার্সিটিতে পড়ুয়া প্রেমিক–প্রেমিকা। যখন বাসায় থাকে, তখন তারা মেসেজ চালাচালি করে, মা–বাবা না থাকলে কথাও বলে। কিন্তু তারা দুজন যেন একসঙ্গে হঠাৎ করে ‘মার্ফিস ল’–এর মধ্যে পড়ে গেল। প্রথম দফায় তাদের দুজনের আইফোন দুটো একই সঙ্গে ছিনতাই হলো। নতুন দুটো সেট কেনার পর ফের ছিনতাই হলো এবং তৃতীয়বারও...। তখন তারা দুজন ত্যক্তবিরক্ত হয়ে ঠিক করল, আর ফোন নয়... নো মোর প্রযুক্তি। এর চেয়ে কবুতর কিনে চিঠি চালাচালি করবে তারা। যেই কথা, সেই কাজ। তারা দুজন কবুতর কিনতে গেল। কিনতে গিয়ে আবিষ্কার করল, চিঠি চালাচালি করতে পারে এমন ট্রেইন্ড কবুতরের দাম আকাশছোঁয়া। এর চেয়ে ড্রোন সস্তা।
শেষমেশ একটা ড্রোনই কিনে ফেলল তারা।
এখন চিঠি লিখে ড্রোন দিয়ে চিঠি চালাচালি করতে লাগল দুজন। তাদের ভালোবাসায় যেন একটা নতুন মাত্রা যুক্ত হলো। এই ড্রোন তো আর আকাশ থেকে হাইজ্যাক হবে না। একদিন প্রেমিকার কাছে ড্রোন উড়ে এল। কিন্তু প্রেমিকা আশ্চর্য হয়ে দেখে, ড্রোনে আজ কোনো চিঠি নেই।
পরদিন ভার্সিটিতে প্রেমিককে চার্জ করল প্রেমিকা, কী ব্যাপার, গতকাল ড্রোনে চিঠি পাঠাওনি কেন?
এটাও বুঝলে না?
না।
ওটা মিসড কল ছিল।
আমার আগে ১৮৫৪ সালে এক ইতালিয়ান বিজ্ঞানী অ্যান্টনিও মিউচি টেলিফোন আবিষ্কার করেন। কিন্তু তিনি ফোন করার আগেই তাঁর কাছে তাঁর শাশুড়ির সাতটা মিসড কল আসে।
এবার একটু পিছু হটা যাক। মানে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের কাছে যাওয়া যাক। সেই ১৮৭৬ সালে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল তাঁর আবিষ্কৃত প্রথম ফোন থেকে প্রথম কলটা করেন তাঁর স্ত্রীকে। তারপর দ্বিতীয় কলটাও করেন স্ত্রীকে, কিন্তু স্ত্রী কোনো কথা শুনতে পান না। তিনি পাশের ঘর থেকে এসে গ্রাহাম বেলের কাছে জানতে চাইলেন, কী ব্যাপার, কল এল কিন্তু কথা শুনতে পেলাম না যে!
ওটা মিসড কল ছিল। গম্ভীর হয়ে বললেন গ্রাহাম বেল।
এটা কী জিনিস?
এটা বুঝতে হলে আরও ২২ বছর পিছিয়ে যেতে হবে। গল্পটা শুনতে চাও?
চাই।
আমার আগে ১৮৫৪ সালে এক ইতালিয়ান বিজ্ঞানী অ্যান্টনিও মিউচি টেলিফোন আবিষ্কার করেন। কিন্তু তিনি ফোন করার আগেই তাঁর কাছে তাঁর শাশুড়ির সাতটা মিসড কল আসে। তারপরই তিনি ফোন আবিষ্কারের সব প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে আসেন। তার মানে বুঝতে পারছ, ওই মিসড কলের কারণেই আজ আমি পৃথিবীর প্রথম টেলিফোন আবিষ্কারক?
শেষ কথা হচ্ছে, পৃথিবীর প্রধান তিনটি আতঙ্ক চিহ্নিত করা গেছে এখন পর্যন্ত।
১) ভূতের ভয়।
২) ভিনগ্রহের এলিয়েনের ভয়।
৩) ছুটির দিনে বসের ১৩টা মিসড কল।