আন্তর্জাতিক ফিজিকস অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের দুই পদক
আন্তর্জাতিক ড্রিস্টিবিউটেড ফিজিকস অলিম্পিয়াডে দুটি ব্রোঞ্জ ও একটি অনারেবল মেনশন পেয়েছে বাংলাদেশ ফিজিকস অলিম্পিয়াড দল।
ঢাকার নটরডেম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম এবং ইমতিয়াজ তানভির ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছেন এবং অনারেবল মেনশন পেয়েছেন একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এম সামিন সালেক। দলের বাকি দুই সদস্য হলেন রাজশাহী সরকারি ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রুবায়াত জালাল ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী গোলাম ইশতিয়াক।
এই অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অধ্যাপক ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী আরশাদ মোমেন। তিনি বলেন, ‘এই ফলাফলে আমরা খুশি। কারণ, খুব স্বপ্ল সময়ের নোটিশে অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্যাম্পিং করা হলেও সময় স্বল্পতার কারণে ভালো প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয়নি।'
করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর আন্তর্জাতিক ফিজিকস অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয় অনলাইনে। রাশিয়ান ফিজিকস অলিম্পিয়াড কমিটির ও আন্তর্জাতিক ফিজিসক অলিম্পিয়াড কমিটির যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ দেশ থেকে অনলাইনে এই অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করে। সেজন্য এবারের আয়োজনকে বলা হচ্ছে আন্তর্জাতিক ডিস্ট্রিবিউটেড অলিম্পিয়াড। আন্তর্জাতিক ফিজিকস অলিম্পিয়াডের আয়োজনকারী দলের সদস্য ম্যাক্সিম দোব্রখভের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে এই অলিম্পিয়াড আয়োজিত হয় রাজধানীর ধানমন্ডির রাশিয়ান কালচার সেন্টারে। ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় অলিম্পিয়াডের পরীক্ষামূলক পরীক্ষা এবং ১০ ডিসেম্বর তাত্ত্বিক পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হয় অলিম্পিয়াডের বাংলাদেশের আয়োজন।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় এবং প্রথম আলোর সার্বিক তত্ত্ববধানে বাংলাদেশ ফিজিকস অলিম্পিয়াড কমিটি সারা দেশে আঞ্চলিক ও জাতীয় ফিজিকস অলিম্পিয়াডের আয়োজন করে। তারপর ক্যাম্পিং ও কর্মশালা করে বাংলাদেশ গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ দল। সেই দলটিই আন্তর্জাতিক ফিজিকস অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে।
বাংলাদেশ ফিজিকস অলিম্পিয়াডে সকল আয়োজনের ম্যাগাজিন পার্টনার মাসিক বিজ্ঞানচিন্তা ও কিশোর আলো।