ইউজিসি প্রফেসরশিপ সম্মাননা পেলেন অধ্যাপক জেবা ইসলাম সেরাজ

অধ্যাপক জেবা ইসলাম সেরাজ।ছবি: আবদুস সালাম

ইউজিসি অধ্যাপক পদে নিয়োগ পেলেন অধ্যাপক জেবা ইসলাম সেরাজ। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এ তথ্য জানিয়েছে। পাশাপাশি ২০২৩ সালের ইউজিসি অধ্যাপক পদে নিয়োগ পেয়েছেন আরেক গবেষক অধ্যাপক লুৎফুল হাসান।

প্রতিবছর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তথা ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন অব বাংলাদেশ (ইউজিসি) সর্বোচ্চ তিনজন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপককে ‘ইউজিসি প্রফেসরশিপ’ সম্মাননা দেয়। এ পদে নির্বাচিত হতে প্রার্থীর অবশ্যই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষা, গবেষণা বা প্রকাশনাবিষয়ক কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। পাশাপাশি অবসরেও শিক্ষা, প্রকাশনা বা গবেষণা কাজ চালিয়ে যেতে হয়। এ সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ইউজিসি এ অধ্যাপকদের সর্বোচ্চ দুই বছরের জন্য ইউজিসি প্রফেসর হিসেবে নিয়োগ দেয়। এ সময় তাঁরা সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্ত অধ্যাপকের সমতুল্য সুযোগ-সুবিধা পান গবেষণা কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য।

ইউজিসি প্রফেসরশিপ ২০২৩-এ নিয়োগপ্রাপ্ত দুই অধ্যাপকই নিজ নিজ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। এ নিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে তাঁদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া হলো।

অধ্যাপক জেবা ইসলাম সেরাজ
ছবি: বিজ্ঞানচিন্তা

অধ্যাপক জেবা ইসলাম সেরাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও আণবিকজীববিজ্ঞান (বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি) বিভাগের অধ্যাপক। তিনি একাধারে প্রাণরসায়নবিদ ও আণবিকজীববিজ্ঞানী হিসেবে কৃষিজ প্রাণরসায়ন বা অ্যাগ্রিকালচারাল বায়োকেমিস্ট্রি, জিনোমিকস, প্রোটিওমিকস এবং মেটাবোলোমিক্স গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে অভিযোজিত ধান বা চালের লবণ সহ্যক্ষমতার বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ, কার্যকর উদ্ভিদ প্রজননে সহায়ক ডিএনএ মার্কার চিহ্নিতকরণ ও এর ব্যবহার ইত্যাদি। গবেষণার পাশাপাশি তিনি বিজ্ঞানবিষয়ক লেখালেখি ও দেশে বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের সঙ্গে যুক্ত এবং বিজ্ঞানবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তার উপদেষ্টা।

অধ্যাপক লুৎফুল হাসান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। তিনি একজন খ্যাতিমান কৃষিবিজ্ঞানী, গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন কৃষি গবেষণা ও শিক্ষাক্ষেত্রে।

অধ্যাপক লুৎফুল হাসান

এই দুই গবেষক আগামী দুই বছর ইউজিসি প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এ সময়ে তাঁরা স্মার্ট কৃষি, প্রাণরসায়ন, আণবিকজীববিজ্ঞান বা মলিকুলার বায়োলজি, অণুজীববিজ্ঞান বা মাইক্রোবায়োলজি, রোগপ্রতিরোধবিদ্যা বা ইমিউনোলজি এবং জিনবিজ্ঞান বা জেনেটিকস নিয়ে গবেষণা করবেন। পাশাপাশি তাঁরা দেশের প্রয়োগিক ও মৌলিক গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।