১/৭
একটি সূর্যমুখী ফুলে ২ থেকে ৩ হাজার বীজ থাকে। এ গাছ প্রায় ৩ মিটার লম্বা হয়। ফুল সূর্যের মতো দেখতে এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে, এর নাম সূর্যমুখী। ১৯৭৫ সাল থেকে এটি বাংলাদেশে তেল হিসেবে আবাদ হচ্ছে। সপুষ্পক উদ্ভিদ। বৈজ্ঞানিক নাম Helianthus annuus।
২/৭
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট ফুল ওলফিয়া আরিজাহ। বাংলাদেশে এটি সুজিপানা নামেও পরিচিত। পানিতেই থাকে। উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য ১ থেকে ৫ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়। ফুল কতটুকু হবে, বুঝতেই পারছেন। এর বৈজ্ঞানিক নাম Wolffia Arrhiza।
৩/৭
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুল পাওয়া গেছে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা রেইন ফরেস্টে। নাম রাফ্লেসিয়া আর্নোল্ডি। ফুলটি গাড়ির টায়ারের চেয়েও চওড়া হয়। ইন্দোনেশিয়ার তিনটি জাতীয় ফুলের মধ্যে এটি একটি। এর ব্যাস ৩ দশমিক ৩ ফুট। ওজন প্রায় ১১ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। লালচে বাদামি রঙের এই ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Rafflesia arnoldii।
৪/৭
পৃথিবীতে প্রথম ফুল ফুটেছে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ বছর আগে। জীবাশ্ম থেকে পাওয়া প্রমাণ সে কথাই বলছে। ফুলটি দেখতে এখনকার ম্যাগনোলিয়ার মতো ছিল। সে সময় পৃথিবী ছিল আরও উষ্ণ। ডাইনোসর দাপিয়ে বেড়াত পৃথিবীতে। ফুলটিতে একাধিক পাপড়ি ছিল বলে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা জানিয়েছেন।
৫/৭
পৃথিবীতে ৩ থেকে ৪ লাখের মতো পরিচিত প্রজাতির ফুল আছে। তবে ঠিক কত প্রজাতির ফুল আছে, তার সঠিক সংখ্যা বলা কঠিন। কারণ প্রায়ই বিজ্ঞানীরা নতুন ফুলের প্রজাতি আবিষ্কার করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় গোলাপের জাত।
৬/৭
১৭ শতকের দিকে হল্যান্ডে টিউলিপ ফুল ছিল স্বর্ণের চেয়ে দামি। কারণ এ ফুলকে তাঁরা অমরত্ব, জীবন ও ভালোবাসার প্রতীক বলে মনে করতেন।
৭/৭
সামনে গ্লোরিওসা সুপাবা ফুল দেখলে সাবধান থাকবেন। বাংলায় অবশ্য এটিকে উলট চণ্ডাল বা শিখা লিলি বলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ ফুলের নাম দিয়েছিলেন অগ্নিশিখা। এই ফুল খেলে আপনি মারা যেতে পারেন। তাই সাবধান। এই সুযোগে এর বৈজ্ঞানিক নাম জেনে রাখুন—Gloriosa superba।