গ্রীষ্মকালে সূর্য তার সবটুকু উত্তাপ পৃথিবীতে ঢেলে দেয়। প্রচণ্ড দাবদাহে সিদ্ধ হতে হতে সবাই আশা করে একটু শীতল বৃষ্টির। তাহলে কষ্ট একটু লাঘব হয়। এ কারণে এখনো অনেক জায়গায় ব্যাঙের বিয়ে দেওয়ার কুসংস্কারও প্রচলিত আছে। ব্যাঙের বিয়ের কারণে না হলেও প্রাকৃতিক নিয়মে শেষপর্যন্ত বৃষ্টি হলে কাঙ্ক্ষিত স্বস্তি মেলে। কিন্তু অনেকের কাছে অবাক করা বিষয় হলো, বৃষ্টির পর ঠান্ডা ভাব থাকলেও মেঘলা দিনে বৃষ্টির পরেও গরম লাগে। আবার বৃষ্টি না হয়ে আকাশ মেঘলা থাকা অবস্থায় গরম যেন একটু বেশিই লাগে। অথচ তখন তো আগুন গরম সূর্য মেঘে ঢাকা থাকে। তাই সাধারণ কাণ্ডজ্ঞানের মনে হয়, গরম কম লাগার কথা। তা না হয়ে উল্টো এরকম বেশি গরম লাগে কেন?
বিষয়টা অস্বাভাবিক মনে হলেও এটাই স্বাভাবিক। সূর্য তাপে ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়। এই গৃহিত উত্তাপের কিছু অংশ পৃথিবী বিকিরণ প্রক্রিয়ায় বের করে দেয়। অর্থাৎ বিকিরণ করে। আবার পৃথিবীর ভূকেন্দ্র থেকে আসা বিকিরণও এভাবে বাইরে বেরিয়ে যায়। ফলে ভূপৃষ্ঠ কিছুটা শীতল হয়। কিন্তু আকাশে মেঘ থাকলে এই তাপ বিকিরণ প্রক্রিয়া বাধা পায়। ফলে ভূপৃষ্ঠের অতিরিক্ত তাপ তখন বাইরে যেতে পারে না। বরং তা আবার পৃথিবীতে ফিরে এসে বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত করে। এই উত্তপ্ত বায়ুর কারণে আমাদের বেশি গরম লাগে। আবার বৃষ্টির দিনে বাতাসে প্রচুর জলীয়বাষ্পও থাকে। এ কারণে শরীরের ঘামও সহজে শুকাতে চায় না। এজন্যও গরম বেশি অনুভূত হয়।