সংখ্যার খেলা সবসময়ই মজার! সঙ্গে যদি খেলার গোপন মন্ত্রও শেখা যায়, তাহলে তো কোনো কথাই নেই! আজ প্রথমে জাদুর গণিত শিখব, তারপর শিখব কেন এই জাদুটা কাজ করে। বন্ধুবান্ধব বা পরিবারকে জাদুটা দেখিয়ে অবাক করে দিতে পারো। এই সুযোগ হাত ছাড়া করো না কিন্তু!
জাদুটা কিন্তু খুব সহজ। এখানে ৭টি দিকনির্দেশনা থাকবে, সেগুলো শুধু অনুসরণ করলেই চলবে। এ জন্য সঙ্গে একটা ক্যালকুলেটর থাকা ভালো। সহজে হিসেব করা যাবে।
১. প্রথমে তুমি যেকোনো একটা সংখ্যা ভাবো—দুই বা তিন অঙ্কের সংখ্যা হলে ভালো হয়। বেশি বড় সংখ্যা হলে হিসেব করতে সময় বেশি লাগবে।
২. এবার সংখ্যাটির বর্গ করো। মানে যে সংখ্যাটি ভেবেছ, সেই সংখ্যাটিকেই আবার ওই সংখ্যার সঙ্গে গুণ করো।
৩. এবার ফলাফলের সঙ্গে মূল সংখ্যাটি যোগ। মানে শুরুতে যে সংখ্যাটি ধরেছিলে, সেই সংখ্যাটি যোগ করো।
৪. এখন এই যোগফলকে মূল সংখ্যা (তুমি শুরুতে যে সংখ্যা ধরেছিলে) দিয়ে ভাগ করো।
৫. ভাগফলের সঙ্গে যোগ করো ১৭।
৬. এবার এই যোগফল থেকে মূল সংখ্যাটি বাদ দাও।
৭. সবশেষে ফলাফলকে আবার ভাগ দাও ৩ দিয়ে।
তুমি যদি সবগুলো পয়েন্ট ঠিকভাবে অনুসরণ করো, আর তোমার ক্যালকুলেটর যদি ঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে উত্তর হয়েছে ৬। কি ঠিক বললাম তো!
কিন্তু প্রশ্ন হলো, এটি কেন হয়? ধাপে ধাপে মিলিয়ে দেখি। তুমি কত ধরেছিলে, তা তো আমি জানি না, তাই ধরে নিচ্ছি ‘ক’ সংখ্যাটা তুমি ধরেছ।
১. সংখ্যাটা ধরলাম ‘ক’।
২. এরপর বর্গ করেছি। অর্থাৎ (ক × ক = ক২)
৩. এই বর্গের সঙ্গে মূল সংখ্যা যোগ করেছি। মানে (ক২ + ক)
৪. এরপর ভাগ করেছি মূল সংখ্যা দিয়ে। তাহলে (ক২ + ক) / ক। এখন ‘ক’ কমন নিলে হবে, ক (ক + ১) / ক। এখন ‘ক’ ওপরে-নিচে কাটাকাটি করলে থাকবে শুধু (ক + ১)।
৫. এর সঙ্গে ১৭ যোগ করলে হবে ক + ১ + ১৭ = ক + ১৮।
৬. এখন মূল সংখ্যা ৫ বাদ দিলে থাকবে শুধু ১৮।
৭. এই ১৮-কে ৩ দিয়ে ভাগ দিলে থাকবে শুধু ৬।
অর্থাৎ, তুমি যে সংখ্যাই শুরুতে ধরো না কেন, উত্তর সবসময় ৬ হবে।
কিন্তু প্রতিবার উত্তর ৬ হলে তো সবাই তোমার চালাকি বুঝে ফেলবে। তাই মাঝেমধ্যে একটু নিয়ম পরিবর্তন করে আবার সবাইকে অবাক করে দিতে পারো। যেমন ১৭-এর পরিবর্তে অন্য কোনো সংখ্যা যোগ করতে বলতে পারো, তাহলে উত্তর ভিন্ন হবে। আবার শেষে ৩ দিয়ে ভাগ না করতে বলে ৬ দিয়ে ভাগ করতে বলতে পারে। এতে ভিন্ন উত্তর পাওয়া যাবে।
শেষ করার আগে, এই জাদুর গণিতের আরেকটা ভার্সন শিখিয়ে দিই।
১. যেকনো একটা সংখ্যা ভাবো।
২. সংখ্যাটি বর্গ করো।
৩. সঙ্গে মূল সংখ্যাটি যোগ করো।
৪. যোগফলকে মূল সংখ্যা দিয়ে ভাগ করো।
৫. ভাগফলের সঙ্গে যোগ করো ১৯।
৬. যোগফল থেকে মূল সংখ্যাটি বিয়োগ করো।
৭. ফলাফলকে ভাগ দাও ৪ দিয়ে।
এক্ষেত্রে সবসময় উত্তর হবে ৫।
এখন বাকিটা মিলিয়ে দেখ তো, আসলেই উত্তর ৫ হয় কিনা। তুমি চাইলে সংখ্যাগুলো একটু পরিবর্তন করে নতুন ধাঁধা বানাতে পারো। চাইলে পরিবর্তন করতে পারো নিয়মও।