রয়েল হোটেল কে পরিচালনা করেন

পাঁচ রঙের পাঁচটি হোটেল, পাঁচজন মালিক, পাঁচজন ম্যানেজার। পাঁচটি আলাদা আলাদা দশকে হোটেলগুলো তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকটি হোটেলের রুম সংখ্যা ভিন্ন। এর মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হোটেলের ম্যানেজার কে, তা খুঁজে বের করতে হবে? ধাঁধাটি আইনস্টাইনের ধাঁধা না হলেও অনেকটা সেরকমই। একই নিয়ম মেনে করতে হবে সমাধান। বলা হয়, আইনস্টাইনের ধাঁধা নাকি শতকরা ৯৮ শতাংশ মানুষই ভুল করেন। দেখুন তো, সেরকম একটি ধাঁধা সমাধান করে আপনি বাকি ২ শতাংশের মধ্যে নিজেকে স্থান দিতে পারেন কি না! পারলে, সমাধান পাঠিয়ে দিন [email protected]এ। সঠিক সমাধানকারীদের মধ্য থেকে একজন দৈবচয়নের ভিত্তিতে পাবেন বিশেষ পুরস্কার। সমাধান পাঠানোর শেষ সময় ৫ জুলাই ২০২৪, রাত ১১:৫৯। তাহলে হয়ে যাক!

ভিন্ন ভিন্ন রঙের পাঁচটি হোটেল একই সিরিয়ালে রয়েছে। হোটেলগুলোর রং নীল, সবুজ, বেগুনি, লাল ও সাদা। তবে কোনটার রং কী, তা আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। এই হোটেলগুলোর প্রত্যেকটার আলাদা আলাদা নাম রয়েছে। যেমন, মির্জা হোটেল, প্যালেস হোটেল, রয়েল হোটেল, রেডিসন হোটেল ও ক্রাউন হোটেল। তবে হোটেলগুলোর মালিক কেউই বাংলাদেশি নয়। একজন ব্রিটিশ, একজন আমেরিকান, একজন ফরাসি, একজন জার্মানি এবং একজন ইতালিয়ান।

প্রতিটি হোটেলের রুম সংখ্যাও ভিন্ন ভিন্ন। কোনোটায় রুম ১০০টা, কোনোটায় আবার ১৫০, ২০০, ২৫০ ও ৩০০টা। হোটেলগুলো বানানো হয়েছিল আলাদা আলাদা সময়ে। যেমন একটা বানানো হয়েছে ১৯১০-এর দশকে। আবার একটা ১৯৫০-এর দশকে। এরকম আলাদা আলাদা পাঁচ দশকে পাঁচটি হোটেল তৈরি করা হয়েছে। এই পাঁচ হোটেলে পাঁচজন ম্যানেজার নিয়োগ দিয়েছেন মালিকরা। তাঁদের নামগুলো হলো কেলভিন, ডেরেক, ইয়ান, রজার এবং ইথান।

এখন এই হোটেল ও এ সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় নিয়ে আপনাকে মোট ২১টি তথ্য দেওয়া হবে। সেই তথ্যগুলো ঘেঁটে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে, রয়েল হোটেলের ম্যানেজারের নাম কী। প্রথমে তথ্যগুলো দেখা যাক।

১. প্যালেস হোটেল এবং ১৫০ রুম বিশিষ্ট হোটেলের মাঝখানে রয়েছে সবচেয়ে বড় হোটেলটি।

২. দ্বিতীয় স্থানে থাকা হোটেলটি তৈরি হয়েছে ১৯৩০-এর দশকে।

৩. সাদা রঙের হোটেলটি রয়েছে সবচেয়ে ছোট হোটেলটির বাঁয়ে।

৪. মাঝের হোটেলের মালিক থাকেন জার্মানিতে।

৫. সাদা রঙের হোটেল ও ২৫০ রুম বিশিষ্ট হোটেলের মাঝখানে কোথাও রয়েছে আমেরিকান মালিকের হোটেলটি।

৬. লাল রঙের হোটেলটি সামলায় রজার।

৭. রেডিসন হোটেলের রুম সংখ্যা ৩০০টি।

৮. সবুজ হোটেলের ঠিক ডানে কোথাও রয়েছে ক্রাউন হোটেল।

৯. ইতালিয়ান মালিক তাঁর হোটেলটি তৈরি করেছেন ১৯৫০-এর দশকে।

১০. রজার যে হোটেলের ম্যানেজার, তার ঠিক বাঁয়ের হোটেলটির রুম সংখ্যা ২৫০টি।

১১. সবার শুরুতে থাকা হোটেলের মালিকের জন্ম প্যারিস শহরে।

১২. সবুজ হোটেলের ডানে রয়েছে ২০০ রুম বিশিষ্ট হোটেলটি।

১৩. ইয়ান প্রথম হোটেলের দেখভাল করেন।

১৪. ফরাসি মালিকের হোটেল ও মির্জা হোটেলের মাঝখানে কোনো এক জায়গায় রয়েছে রয়েল হোটেল।

১৫. চার নম্বর হোটেলটার মালিক একজন ইতালিয়ান।

১৬. রয়েল হোটেলের রং সাদা।

১৭. কেলভিন দেখভাল করে চার নম্বর হোটেল।

১৮. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার ঠিক পরে যে হোটেলটি তৈরি হয়েছে সেটি আছে সবুজ হোটেলের ডানে।

১৯. ১৯৩০-এর দশকে তৈরি হওয়া হোটেলটি রয়েছে সাদা হোটেলের বাঁয়ে।

২০. কেলভিন যে হোটেলের ম্যানেজার সেই হোটেলটি রয়েছে ক্রমান্বয়ে নীল হোটেল ও ডিরাকের দায়িত্বে থাকা হোটেলের মাঝখানে কোথাও।

২১. তৃতীয় স্থানে যে হোটেলটি রয়েছে, সেটি তৈরি হয়েছে ১৯২০-এর দশকে।

এখন খুঁজে বের করুন তো, রয়েল হোটেলটির ম্যানেজার কে?

কানে কানে একটা কথা বলে রাখি। ধাঁধাটা সমাধান করা আসলে খুব কঠিন নয়। শুরুতে একসঙ্গে একগাদা তথ্য পড়ে একটু জটিল মনে হয়, এই যা। কাজটা সহজ করার জন্য চাইলে নিচের ছকের মতো একটি ছক বানিয়ে নিতে পারেন।

হোটেলের রং: নীল, সবুজ, বেগুনি, লাল ও সাদা

হোটেলের নাম: মির্জা হোটেল, প্যালেস হোটেল, রয়েল হোটেল, রেডিসন হোটেল ও ক্রাউন হোটেল।

হোটেলের মালিক: আমেরিকান, ব্রিটিশ, ফরাসি, জার্মানি ও ইতালিয়ান

ম্যানেজারের নাম: কেলভিন, ডেরিক, ইয়ান, রজার ও ইথান

রুম সংখ্যা: ১০০টি, ১৫০টি, ২০০টি, ২৫০টি ও ৩০০টি

তৈরি হয়েছে: ১৯১০, ১৯২০, ১৯৩০, ১৯৪০ ও ১৯৫০-এর দশকে