গণিত অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি, যথাক্রমে শুক্র ও শনিবার। শুধু আঞ্চলিক পর্বের বিজয়ী শিক্ষার্থীরা এ পর্বে অংশ নিতে পারবে। রাজধানীর সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে আয়োজিত হবে দুই দিনের এ উৎসব।
৭ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার সকাল আটটায় শুরু হবে প্রথমদিনের কার্যক্রম। চলবে বিকেল ৪.৩০টা পর্যন্ত। পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার উৎসব শুরু হবে সকাল ৮.৩০টায়। দুপুর ১২.৩০টায় পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে পর্দা নামবে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের।
৭ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার সকাল ৯.৪৫টায় শুরু হবে প্রাইমারি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা। চলবে ১১.৪৫টা পর্যন্ত (২ ঘন্টা)। জুনিয়র ক্যাটাগরির পরীক্ষা শুরু হবে একই দিন সকাল ৯.৪৫টায়। চলবে ১২.৪৫টা পর্যন্ত (৩ ঘন্টা)। আর সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু হবে একই দিন সকাল ৯.৪৫টায়। শেষ হবে ১.১৫টায় (৩.৩০ ঘন্টা)।
উল্লেখ্য, জাতীয় পর্বের আগে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি ধাপ পার করতে হয়েছে। শুরুতেই শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য নিবন্ধন করে অনলাইনে। প্রায় ৭৬ হাজার শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে। এরপর অনলাইনে আয়োজিত হয় বাছাপর্ব। এ পর্বের বিজয়ীদের নিয়ে দেশের ১৫টি অঞ্চলে আয়োজিত হয় আঞ্চলিক গণিত উৎসব। আঞ্চলিক উৎসবের বিজয়ীদের নিয়ে এখন অনুষ্ঠিত হবে অলিম্পিয়াডের চূড়ান্ত পর্ব—জাতীয় গণিত উৎসব। এ পর্বের বিজয়ীরা জাতীয় গণিত ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। ক্যাম্প শেষে বাছাইকৃতদের নিয়ে গঠিত হবে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড দল। এই দলটি ২০২৫ সালের জুলাই মাসে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় ৬৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।
গণিত অলিম্পিয়াডের পৃষ্ঠপোষকতা করছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। আর প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় গণিত উৎসব আয়োজন করছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।
দেশের শিক্ষার্থীদের গণিতে দক্ষ করে তোলার লক্ষ্যে ২০০৩ সাল থেকে আয়োজিত হচ্ছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড। এবারও একই উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু হয়েছে গণিত উৎসব ২০২৫।
গণিত উৎসবের সব খবর পাওয়া যাবে গণিত অলিম্পিয়াডের ওয়েবসাইট ও অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে।