পরিবেশ
পৃথিবী কি আসলেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে
আজ ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস। জাতিসংঘের সঙ্গে মিলিয়ে বাংলাদেশ সরকার এ বছর পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ঠিক করেছে, ‘করব ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখব মরুময়তা; অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা।’ তবে ইংরেজিতে জাতিসংঘ বলছে, ‘আওয়ার ল্যান্ড, আওয়ার ফিউচার। উই আর জেনারেশন রিস্টোরেশন।’ সারা বিশ্বেই আজ নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে দিবসটি। এই দিবসে জেনে নিন, সত্যিই কি পৃথিবী উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দিন দিন…
১৮৫০-এর দশক। বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্টিফিক আমেরিকান-এর একটি সংখ্যা পড়ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিস নিউটন ফুট নামে এক নারী অধিকারকর্মী। পড়তে পড়তে তিনি একটা নতুন ধারণা পেলেন। সাধারণ মানুষটি চিন্তা করলেন একজন বিজ্ঞানীর মতো। বুঝতে চাইলেন, কীভাবে সূর্য পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে। বায়ুর ঘনত্ব ও গ্যাসের মিশ্রণে বায়ুমণ্ডল কতটা তাপ ধরে রাখতে পারে? কীসে এই অবস্থা প্রভাবিত হয়?
তিনি কয়েকটি পরীক্ষা করলেন। একটা পরীক্ষা করে দেখেন, ‘কার্বনিক অ্যাসিড গ্যাস’-এর উচ্চ ঘনত্ব বাতাসকে দ্রুত উত্তপ্ত করে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য বাতাস উষ্ণ থাকে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে তিনি বুঝতে পারেন, বায়ুমণ্ডলে যদি এই গ্যাসের পরিমাণ বেশি থাকে, তাহলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়ে যাবে।
বর্তমানে কার্বনিক অ্যাসিড গ্যাসকে আমরা কার্বন ডাই-অক্সাইড হিসাবে চিনি। বলা যায়, এই পরীক্ষার মাধ্যমেই ইউনিস নিউটন ফুট নিজের নাম লেখালেন বিজ্ঞানীদের কাতারে। তবে সত্যি সত্যিই তিনি হঠাৎ বিজ্ঞানী হয়ে ওঠেননি। বিজ্ঞানে তাঁর পড়াশোনা ছিল। শুধু পেশা বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল না। যা-ই হোক, কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং বায়ুমণ্ডলের উত্তাপের মধ্যে প্রথম সূত্র খুঁজে পান তিনি। গ্রিনহাউস প্রভাব দেখার জন্য এটি প্রথম উল্লেখযোগ্য পরীক্ষাগুলোর একটি।
সাধারণভাবে গ্রিনহাউস বলতে আমরা বুঝি, শীতের দেশে ফসল ফলানোর একটি ব্যবস্থা। ধরা যাক, কাচের ঘরের ভেতর টমেটো গাছ লাগানো হয়েছে। সূর্যের আলো কাচের ভেতরে যতটা প্রবেশ করতে পারে, ততটা বের হতে পারে না। মানে কাচের ঘরে তাপ আটকে যায়। এতে ঘরের ভেতরের বাতাস গরম থাকে। সূর্যের তাপ আটকানোর জন্য এ ব্যবস্থা খুব কার্যকরী।
এবার গ্রিনহাউসের জায়গায় পৃথিবী কল্পনা করা যাক। তাপ কাচের ফাঁদে আটকে যাওয়ার পরিবর্তে গ্যাসের ফাঁদে আটকে যাওয়ার কথা ভাবুন। কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন ও জলীয় বাষ্পের মতো গ্যাস পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আটকে থাকে। এগুলো গ্রিনহাউস গ্যাস নামে পরিচিত।
কয়েক মিলিয়ন বছর পুরোনো শিলা ও জীবাশ্মের রসায়ন বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, কীভাবে প্রাচীনকালে তাপমাত্রা ওঠানামা করছিল। কীভাবে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা কম-বেশি হয়েছিল। সেই সময়ের তুলনায় এখন অবস্থা কেমন। চিত্রটা বুঝতে হিমবাহ থেকে ভালো রেকর্ড পাওয়া যায়। গ্রিনল্যান্ডের বরফ কোর এবং অ্যান্টার্কটিকার বরফের ক্যাপগুলো কয়েক হাজার বছর আগে থেকে বায়ুমণ্ডলের ক্ষুদ্র বুদবুদগুলো সংরক্ষণ করছে। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা এগুলো নিয়ে গবেষণা করছেন। এই রেকর্ড থেকে জানা যায়, সাড়ে চার বিলিয়ন বা প্রায় ৪৫০ কোটি বছরের ইতিহাসে পৃথিবী কখনো কখনো আজকের তুলনায় অনেক ঠান্ডা ছিল। অন্যান্য সময়ে পৃথিবী ছিল অনেক উষ্ণ।
গত ২০০ বছরের একটি বড় ঘটনা শিল্প বিপ্লব। মানুষ যখন আবিষ্কার করল, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর মাধ্যমে অনেক দ্রুত এবং অনেক কম চেষ্টায় কাজ করা যায়, তখন কয়লা, তেল ও গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি তাপ ও বিদ্যুতের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস হয়ে ওঠে। এই আবিষ্কার আধুনিক সভ্যতাকে রূপ দিতে সাহায্য করেছে। যেমন গাছ থেকে বইয়ের কাগজ প্রস্তুত হয়ে পাঠকের হাতে আসতে বিভিন্ন পর্যায়ে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তাপের ব্যবহার করা হয়।
আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময়ে আবহাওয়া স্টেশন ও জাহাজে তাপমাত্রা পরিমাপ শুরু হয়, যা ক্রমাগতভাবে এখনো চলছে। এই তথ্যের মাধ্যমে জানা যায়, পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ছে। পরে বিজ্ঞানীরা স্যাটেলাইটের সাহায্যে নিয়মিত পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রার হিসাব রাখতে শুরু করেন। এ ছাড়া ভূতাত্ত্বিক রেকর্ডে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সূত্র খুঁজতে শুরু করেন গবেষকেরা।
ওই শতকের শেষে স্কটিশ প্রকৌশলী জেমস ওয়াট কয়লা চালিত বাষ্প ইঞ্জিনের নকশায় কিছু উন্নতি করেছিলেন। তাঁর আশা ছিল, নতুন ইঞ্জিনটি গভীর কয়লাখনির তলদেশ থেকে পানি পাম্প করার দক্ষতা বাড়াবে। কিন্তু তাঁর আশার চেয়ে অনেক ভালো কাজ করল সেটি। এখন পর্যন্ত এই মেশিনের উন্নত রূপই আমরা সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করি।
১৮৮০ সাল থেকে গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন ঘটেছে বিশ শতকের শেষ দিকে।
ওয়াট প্রথম আধুনিক বাষ্প ইঞ্জিন তৈরি করেন। এটিই সভ্যতাকে শিল্প বিপ্লবের দিকে নিয়ে গেছে। কয়েক লাখ বছর হাত বা গায়ের শক্তি এবং ঘোড়া, গাধার মতো প্রাণীর সাহায্যে মানুষ কাজ করেছে। জেমস ওয়াটের আবিষ্কারের পর মাত্র কয়েক দশকে মেশিনের সাহায্যে প্রায় সবকিছু করা হতে থাকে। গ্রিনহাউস গ্যাস থেকে জেমস ওয়াটের স্টিম ইঞ্জিন পর্যন্ত আবিষ্কারের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের গতি বেড়ে গেছে অনেক। তাই গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ।
এই তথ্যগুলো একটি জিনিস নির্দেশ করে—পৃথিবী আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ১৮৮০ সাল থেকে গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন ঘটেছে বিশ শতকের শেষ দিকে। সমুদ্র পৃষ্ঠের চেয়ে স্থলভাগ বেশি উষ্ণ হয়েছে। ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের আসল অবস্থা বোঝা যায় না। কারণ সমুদ্র গ্রিনহাউস গ্যাসে আটকে থাকা তাপের ৯০ ভাগ শোষণ করে। গত ছয় দশক ধরে সমুদ্র গবেষণা অভিযান এবং ভাসমান যন্ত্রগুলোর মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্য থেকে দেখা যায়, সমুদ্রের প্রতিটি স্তর উষ্ণ হচ্ছে। সমুদ্র ১৯৯৭ থেকে ২০১৫ সালের আগের ১৩০ বছরের সমপরিমাণ তাপ শোষণ করেছে।
গত ৮ লাখ বছরের বরফের রেকর্ড থেকে দেখা গেছে, এ সময় পৃথিবীর তাপমাত্রা মৃদু ওঠানামা করেছে (গত দুইশ বছর বাদ দিয়ে ভাবলে)। কয়েক শতাব্দীর মধ্যে রেকর্ড করা তাপমাত্রা আগের চেয়ে বর্তমানে দ্রুত বাড়ছে
তাপমাত্রা কম-বেশি হওয়ার কারণ, বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ। প্রায় সাড়ে ৪০০ বছর আগে পৃথিবী গঠিত হওয়ার সময় খুব উত্তপ্ত ছিল। যাকে ‘উত্তপ্ত ও গলিত পাথরের সমুদ্রে আচ্ছাদিত’ বলা যায়।
গত ৮ লাখ বছরের বরফের রেকর্ড থেকে দেখা গেছে, এ সময় পৃথিবীর তাপমাত্রা মৃদু ওঠানামা করেছে (গত দুইশ বছর বাদ দিয়ে ভাবলে)। কয়েক শতাব্দীর মধ্যে রেকর্ড করা তাপমাত্রা আগের চেয়ে বর্তমানে দ্রুত বাড়ছে। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা এখন এক লাখ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মানুষ এর আগে কখনো এত তাপ অনুভব করেনি। পৃথিবী যখন বরফ যুগ শেষ করছিল, প্রতি হাজার বছরে মাত্র এক ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে উষ্ণ হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রতি ১০০ বছরে ০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বেড়েছে। প্রায় দশগুণ দ্রুত হারে!
জ্বালানি পোড়ালে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং শক্তির চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে জ্বালানি আরও বেশি পুড়িয়ে ফেলতে হচ্ছে। ফলে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন যেমন বেড়েছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রাও। আর আগেই যেমন বলেছি, কার্বন ডাই-অক্সাইড একটি তাপ আটকে দেওয়া গ্রিনহাউস গ্যাস।
এক বছরে মানুষ প্রায় ৫১ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ১০০ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাস বায়ুমণ্ডলে ছাড়ে। এক বিলিয়ন বা ১০০০ টন দেখতে কেমন, তা কল্পনা করা কঠিন। তবে স্কেল হিসেবে বলা যায়, এটি মিসরের গিজার প্রায় সাড়ে আট হাজার গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। কিন্তু কার্বন ডাই-অক্সাইড মিসরীয় পিরামিডের তুলনায় অনেক বেশি জায়গাজুড়ে থাকে। প্রতি বছর অবমুক্ত গ্যাসের ভরের পরিমাণ প্রায় ২৬ কোয়াড্রিলিয়ন লিটার (কোয়াড্রিলিয়ন মানে, ১০১৫, ১-এর পরে ১৫টা শূন্য!)। যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড ক্যানিয়নকে ছয়বারের বেশি পূরণ করা যাবে এই গ্যাস দিয়ে।
বিজ্ঞানীরা এই বিষয়গুলো একত্র করে একটি উপসংহার টেনেছেন। সেটা হল: মানুষের কার্যকলাপ পৃথিবীকে অভূতপূর্ব হারে উষ্ণ করে তুলছে। প্রতি মাসে এই উষ্ণতা পরিমাপ করা যায়। তবে এর বৈশ্বিক প্রভাব পরিমাপ করা ততটা সহজ না।
পৃথিবীর জলবায়ু ব্যবস্থা জটিল ও বিশৃঙ্খল। ফলে মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে পরিবর্তনের প্রভাব বিভিন্ন জায়গায় ভিন্নভাবে দেখা যায়। হিট ওয়েভ বর্তমানে প্রায় পাঁচগুণ বেশি ঘটে এবং একই সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী হয়। জলবায়ু মডেলগুলো থেকে অনুমান করা যায়, ২০৪০ সালে হিট ওয়েভ প্রায় ১২ গুণ বেশি ঘন ঘন হবে। ২০০৩ সালের গ্রীষ্মকালে একটি হিট ওয়েভ ইউরোপ জুড়ে আনুমানিক ৭০ হাজার অতিরিক্ত মৃত্যুর কারণ হয়েছিল। তাই ভবিষ্যতে কেমন দুর্যোগ অপেক্ষা করছে, সহজেই তুলনা করা যায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০০০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যে খরা হয়েছিল, তা প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি গুরুতর ছিল। এই অঞ্চলে এক হাজার বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ খরা ছিল এটি।
গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স থেকে দেখা গেছে, নিম্ন আয়ের দেশ, যেমন মিয়ানমার, হাইতি, বাংলাদেশ এবং নেপাল ১৯৯৯ ও ২০১৮ সালের মধ্যে চরম আবহাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় একদম ওপরে রয়েছে। এই দেশগুলোতে অভিবাসন ও দারিদ্র বৃদ্ধি পেয়েছে। ধনী দেশগুলোর মধ্যেও দরিদ্র এবং প্রান্তিক লোকেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উষ্ণ আবহাওয়া সংক্রামক রোগের বিস্তারে সহায়তা করছে।
এসব তথ্য থেকেই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, পৃথিবী উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এই লেখাটি সংক্ষিপ্ত, তাই আরেকটি ব্যাপার বিস্তারিত বলছি না। সংক্ষেপে বলি। পৃথিবী যে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এবং সে জন্য যে মানুষই দায়ী, এই বিষয়টি মডেল করে দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সে জন্য ২০২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী স্যুকুরো মানাবে, জার্মানির বিজ্ঞানী ক্লাউস হেসেলমান এবং ইতালির বিজ্ঞানী জর্জিও পারিসি। পৃথিবীর জলবায়ুর প্রথম সার্থক বৈজ্ঞানিক মডেল তৈরি করেছেন তাঁদের দুজন। আরেকজন তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি জটিলতার পদার্থবিজ্ঞানের একটি যুগান্তকারী সমাধান আবিষ্কার করেছেন। তাঁদের নিয়ে প্রদীপ দেব বিস্তারিত লিখেছেন বিজ্ঞানচিন্তায়—বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং জটিলতার পদার্থবিজ্ঞান। সে লেখাটি আগ্রহীরা পড়তে পারেন।
আমাদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য যে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, সেই কথাটি আর আলাদা করে বলছি না। এ বছরের গরমকাল থেকে সেটা বোধ হয় সবারই বুঝে যাওয়ার কথা।
লেখক: সহসম্পাদক, কিশোর আলো
সূত্র: সহজ ভাষায় জলবায়ু পরিবর্তন: বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে যা জানা দরকার, আহমাদ মুদ্দাসসের, আদর্শ প্রকাশনী, ঢাকা, ২০২৪