নেদারল্যান্ডে গবেষণা থেকে সূর্যের করোনার ছবি

ফোম ইনস্টিটিউটছবি: সংগৃহীত
আমি পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করছিলাম আমস্টার্ডামের ফাউন্ডেশন অন ম্যাটার বা ফোম: ইনস্টিটিউট ফর অ্যাটমিক অ্যান্ড মলিকিউলার ফিজিকসে।

নেদারল্যান্ডসের পথে যাত্রা শুরু করি ১৯৮৪ সালের আগস্টে। উদ্দেশ্য ছিল আমস্টারডামের বিখ্যাত ফোম ইনস্টিটিউটে কাজ শুরু করা। সেটাই ছিল জীবনের প্রথম বিদেশ যাত্রা। কলকাতা থেকে বাংলাদেশ বিমানের প্লেনে প্রথম ঢাকায় এসে নামি। তখন বেলা একটা। পরবর্তী ফ্লাইট (অর্থাৎ ঢাকা থেকে আমস্টার্ডাম) পরদিন ভোরে। মাঝে অনেকটা সময় অপেক্ষা। তাই বাংলাদেশ বিমান আমাদের (আমি ও আমার স্ত্রী) একটি চমৎকার হোটেলে থাকার বন্দোবস্ত করে দেয় সেই রাতের জন্য। যতদূর মনে পড়ে, হোটেলটির নাম ‘পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনাল’। পরদিন খুব সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি গাড়ি আমাদের আবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসে।

আমি পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করছিলাম আমস্টার্ডামের ফাউন্ডেশন অন ম্যাটার বা ফোম: ইনস্টিটিউট ফর অ্যাটমিক অ্যান্ড মলিকিউলার ফিজিকসে। পৃথিবীখ্যাত এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি মলিকিউলার ফিজিকস (আণবিক পদার্থবিজ্ঞান) ও কনডেসড ম্যাটার ফিজিকস গবেষণায় পৃথিবীর সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম। তা ছাড়া লেজার স্পেকট্রোস্কপির গবেষণাগার ছিল অত্যাধুনিক, একেবারে যাকে বলে, স্টেট অব দ্য আর্ট!

আমি গবেষণা করতাম ‘অপটিকস ফর সফট এক্স-রেস টু এক্সট্রিম আল্ট্রাভায়োলেট’-এর ওপর। তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গের বর্ণালির এই বিশেষ তরঙ্গদৈর্ঘ্য—এক্স-ইউভি অংশটুকুর (৪.৫ ন্যানোমিটার থেকে ২০ ন্যানোমিটার) ক্ষেত্রে প্রতিফলন ঘটানোই ছিল তখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সীমায় শোষণক্ষমতা এত বেশি যে প্রতিসরণক্ষমতা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। আলোর প্রতিফলনই যদি না হয়, প্রতিবিম্ব গঠন কীভাবে সম্ভব? সুতরাং, কোনোরকম ইমেজিং ডিভাইস ছিল না এই তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোর ক্ষেত্রে। আমরাই প্রথম এই পরিসরের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো প্রতিফলিত বা প্রতিসৃত করতে পেরেছিলাম বিশেষ একধরনের কৃত্রিম কেলাস (Pseudo-crystal) তৈরি করে। এটি দিয়ে ওই নির্দিষ্ট পরিসরের কম্পাঙ্ক—বিশিষ্ট তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গকে প্রায় নিয়ার-নরমাল ইনসিডেন্স-এ প্রতিফলিত করতে সক্ষম হয়েছিলাম। আমাদের এই পদ্ধতি ছিল অত্যন্ত জটিল। তবে যন্ত্রগুলোকে কম্পিউটারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিলাম আমরা। এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিল নেদারল্যান্ডসের ‘ফিলিপস রিসার্চ ল্যাবরেটরি’।

অধ্যাপক জ্যাকব কিস্তেমাকার ছিলেন ফোম ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও সর্বপ্রথম অধিকর্তা। তাঁর পাণ্ডিত্য ছিল আকাশছোঁয়া। কলকাতার সাহা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিকসে পিএইচডি করার সময় তাঁর যুগান্তকারী গবেষণাপত্র আমাকে সমৃদ্ধ করেছে নানা দিক দিয়ে।

আমাদের এই নতুন পদ্ধতি আন্তর্জাতিক স্তরে অসম্ভব সুখ্যাতি অর্জন করে। স্পাই (SPIE—Society of Photo-Instrumentation Engineers) আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়েগোতে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে এ বিষয়ে বক্তৃতা দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয় আমাকে। ওই কনফারেন্সে আমার সেই বক্তৃতা কিছুটা সাড়াও ফেলে। সে বছরই (১৯৮৫) নেদারল্যান্ডে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বা ইসা আমাদের এ পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রথম ‘সফট এক্স-রে টেলিস্কোপ’ নির্মাণ করে। এর সাহায্যে প্রথম সূর্যের করোনার (Solar Corona) ছবি তোলা সম্ভব হয়। ফোম ইনস্টিটিউটে ‘সফট এক্স-রে রিফ্লেকটিং ডিভাইস’ তৈরির যন্ত্রটির সঙ্গে আমাকে দেখা যাচ্ছে একটি ছবিতে। এ ধরনের অভিনব যন্ত্র নির্মাণে আমরাই ছিলাম পথপ্রদর্শক।

ফোম ইনস্টিটিউটে ‘সফট এক্স-রে রিফ্লেকটিং ডিভাইস’ তৈরির যন্ত্রটির সঙ্গে লেখক
ছবি: সংগৃহীত

বেশ কয়েক বছর আগে জার্মানির ইয়েনা (Jena) শহরে ফ্রেডরিক শিলার ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দিতে আমন্ত্রিত হই আমি। এক্স-রে অপটিকস গবেষণায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইকারহার্ট ফরস্টার একেবারে প্রথম সারির বিজ্ঞানী ছিলেন। ওখানে সফট এক্স-রে অপটিকসের ওপর আমি বেশ কয়েকটি লেকচার দিই। কথায় কথায় ওঁর কাছ থেকে জানতে পারি, আমাদের সফট এক্স-রে সম্পর্কিত নেদারল্যান্ডসের গবেষণা জার্মানির প্রায় সব কটি অপটিকস গবেষণাগারে উচ্চ প্রসংশিত। অধ্যাপক ফরস্টার আরেকটি কথা বলেন। এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত আমার একটি বিশদ গবেষণা-প্রবন্ধ ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একরকম পাঠ্যপুস্তক হিসেবে সমাদৃত হয়েছে! এ কথা শুনে আমি তো দারুণ খুশি। ইয়েনা জার্মানির গর্ব। মিউনিখ থেকে বার্লিনগামী রেলপথের মোটামুটি মাঝামাঝি অবস্থানে ইয়েনা স্টেশন। ‘থুরিঙ্গিয়া’ প্রভিন্সের অন্তর্ভূক্ত এই শহরটির এক পাশে‌ এরফুর্ট, আরেক পাশে লিপজিগ। ইয়েনাতে পৃথিবীখ্যাত ‘জেইস লেন্স’ তৈরি হয়, একসময় যা নোকিয়ার ফোনেও ব্যবহৃত হতো। অনেকে তাই শহরটিকে ‘সিটি অব অপটিক গ্লাস’ বলে ডাকেন। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল সেই জেইস কারখানা পরিদর্শনের!

অধ্যাপক জ্যাকব কিস্তেমাকার ছিলেন ফোম ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও সর্বপ্রথম অধিকর্তা। তাঁর পাণ্ডিত্য ছিল আকাশছোঁয়া। কলকাতার সাহা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিকসে পিএইচডি করার সময় তাঁর যুগান্তকারী গবেষণাপত্র আমাকে সমৃদ্ধ করেছে নানা দিক দিয়ে। ‘অ্যাটমিক কলিশনস ইন সলিডস’ বা কঠিন পদার্থের ভেতরে পরমাণুদের সংঘর্ষ নিয়ে আমার এক্সপেরিমেন্টাল রিসার্চ-থিসিসের পরীক্ষক ছিলেন তিনি। আমি এই বিষয়ে এক্সপেরিমেন্টগুলো করার জন্য সাহা ইনস্টিটিউটের গবেষণাগারে একটি রেডিও-ফ্রিকোয়েন্সি কোয়াড্রুপোল মাস স্পেকট্রোমিটার’ তৈরি করেছিলাম সম্পূর্ণ নিজস্ব চিন্তাধারা প্রয়োগ করে। ভারতবর্ষে প্রথম এ ধরনের অভিনব ‘মাস স্পেকট্রোমিটার’ তৈরির জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে ‘প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ স্কলারশিপ’ ও ‘মুয়াত পদক’  দিয়ে সন্মানিত করে। এই দুর্লভ সন্মানে সন্মানিত হওয়ার জন্য আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা পিএইচডি সুপারভাইজার প্রফেসর শচীদুলাল দের কাছে, যিনি আমাকে একরকম হাতে ধরে এক্সপেরিমেন্ট করা শিখিয়েছিলেন। প্রফেসর জ্যাকব কিস্তেমাকার আমার থিসিস পরীক্ষা করে এত মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তিনি আমাকে সরাসরি ডেকে নিয়েছিলেন তাঁর গবেষণাকেন্দ্রে রিসার্চ করার জন্য। এই সুযোগ আমার কাছে একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল। নিজেকে মনে হয়েছিল ভাগ্যবান। ফোম ইনস্টিটিউটে তাঁর সাহচর্য ও অপরিসীম স্নেহ পেয়ে আমি ধন্য হয়েছি।

ফোম ইনস্টিটিউট এখনও গোটা বিশ্বে সেরা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম, যেখানে ফোটনিকসে যুগান্তকারী গবেষণা আজও চলমান।

আমস্টার্ডামের ফোম ইনস্টিটিউট একবার ওদের বার্ষিক ক্রিসমাস অনুষ্ঠানে আমার স্ত্রীকে গাইতে অনুরোধ করে। আমার স্ত্রীর সম্মতি পেয়ে ওরা যারপরনাই আনন্দিত হয়েছিল এবং ওকে বিশেষভাবে সন্মানিতও করে অনুষ্ঠানের দিন।

আমরা যখন আমস্টার্ডামে থাকতাম (১৯৮৪-৮৬), সেই সময় ওখানে আমাদের সঙ্গে একজন শিল্পীর খুব ঘনিষ্ঠতা হয়। তাঁর নাম উস্তাদ জামির আহমেদ খান। উনি খুব ভালো সেতার বাজাতেন।

উস্তাদ জামির আহমেদ খানের বাড়িতে গানবাজনার আসর বসত। জামির সেতার বাজাতেন, আর আমি তবলায় সঙ্গত করতাম। একটানা বহুদিন তবলা শিখেছি লক্ষ্ণৌ ঘরানার বিখ্যাত শিল্পী পন্ডিত সামতা প্রসাদের কাছে। সৌভাগ্যক্রমে অতীতে বেশ কিছু বড় বড় শিল্পীর সঙ্গে তবলা সঙ্গত করার সুযোগও হয়েছিল ঘরোয়া অনুষ্ঠানে। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য খেয়াল-গায়ক শ্রী উষারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী স্বপন গুপ্ত, বাণী ঠাকুর প্রমুখ। চাইলে গবেষণা বা পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে তবলার চর্চাটুকু হয়তো রাখতে পারতাম, কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক হয়ে ওঠেনি।

জামির আহমেদ খান প্রত্যেক বছর আমস্টার্ডামের বিখ্যাত কনসার্ট হল কনসার্টগুহবাউয়ে ভারতীয় চিরায়ত সঙ্গীত বা ক্লাসিক্যাল মিউজিকের প্রোগ্রাম আয়োজন করতেন। আমরা হল্যান্ডে তিন বছর থাকায় এ ধরনের প্রোগ্রামের সঙ্গে একরকম একাত্ম হয়ে গিয়েছিলাম। এই প্রোগ্রামগুলোয় আমার স্ত্রী অনিবার্যভাবে প্রত্যেক বড় বড় শিল্পীর সঙ্গে তানপুরায় সহযোগিতা করতেন। তিনি উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে বেনারস ঘরানার প্রখ্যাত শিল্পী পন্ডিত দামোদর মিশ্র ও তাঁর সুযোগ্য পুত্র পণ্ডিত মোহনলাল মিশ্রের কাছে দীর্ঘদিন তালিম নিয়েছেন। এ ছাড়া রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখেছেন স্বনামধন্য শিল্পী শ্রীমতী সুচিত্রা মিত্রের কাছে।

সঙ্গের ছবিগুলোয় উস্তাদ ফহিমুদ্দিন খান ডাগর  ও পন্ডিত ভি জি যোগের সঙ্গে লেখকের স্ত্রীকে তানপুরা সহযোগিতায় দেখা যাচ্ছে
ছবি: সংগৃহীত

আমস্টার্ডামের ফোম ইনস্টিটিউট একবার ওদের বার্ষিক ক্রিসমাস অনুষ্ঠানে আমার স্ত্রীকে গাইতে অনুরোধ করে। আমার স্ত্রীর সম্মতি পেয়ে ওরা যারপরনাই আনন্দিত হয়েছিল এবং ওকে বিশেষভাবে সন্মানিতও করে অনুষ্ঠানের দিন। অনুষ্ঠানে‌র শুরুতে আমি ওঁর গাওয়া প্রতিটি রবীন্দ্রসঙ্গীতের সারাংশ ইংরেজিতে তর্জমা করে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম শ্রোতাদেরকে। গানের কথা যে এত উঁচু ভাবনার হতে পারে, তা বোধ হয় ওঁরা সেদিন হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছিলেন। স্ত্রীর গানের সঙ্গে তবলা সঙ্গতে আমিই ছিলাম। আমাদের অবাক করে দিয়ে একটি হারমোনিয়াম ও একজোড়া বায়া-তবলা আমস্টার্ডামের ‘ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম’ থেকে কেউ একজন‌ জোগাড় করে রেখে দিয়েছিল আগে থেকেই। আমার স্ত্রীর কন্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনে ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের যেন মুগ্ধতার শেষ ছিল না!

সেই অনুষ্ঠানে ‘আমস্টার্ডাম রেডিও’ স্টেশনের এক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। ওঁর নাম ছিল ফ্র্যাঙ্ক মিলার। অনুষ্ঠানের শেষে তিনি আমাদের কাছে এক অপ্রত্যাশিত প্রস্তাব পেশ করলেন। বললেন, আমার স্ত্রীকে আমস্টার্ডাম রেডিওতে গাইতে হবে। আমি হতচকিত হয়ে বললাম, ‘ও তো শুধু বাংলা গান গায় এবং সেটা একমাত্র রবীন্দ্রসঙ্গীত। ওর গুরুর নাম সুচিত্রা মিত্র।’ ফ্র্যাঙ্ক বলল, ‘অসুবিধে নেই। নেদারল্যান্ডসে প্রচুর বাঙালি বাস করে, তাঁরা শুনবেন। আপনার স্ত্রী খুব ভালো গান করেন, তাই ওঁকে নিয়ে রেডিওতে একটা অনুষ্ঠান করতে চাই। তা ছাড়া, আমরা এই অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে আগে থেকেই বারবার রেডিওতে প্রচার করব।’

বিজ্ঞানচিন্তার এ সংখ্যা কিনুন অথবা ৬ মাসের সাবস্ক্রিপশন নিন আজই। অর্ডার করতে ক্লিক করুন এই লিংকে। অথবা ফোন করুন ০১৭৩০০০০৬১৯-এই নম্বরে।

আরও পড়ুন

এর মাসখানেকের মধ্যেই আমাদের সেই লাইভ রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুষ্ঠানটি আমস্টার্ডাম রেডিওতে সম্প্রচারিত হয়। আমার স্ত্রীর কন্ঠের রবীন্দ্রসঙ্গীত ও আমার তবলা সঙ্গত—আমাদের এই দ্বৈত রেডিও প্রোগ্রাম গোটা নেদারল্যান্ডসের বাঙালি-মহলে আমাদেরকে সুপরিচিত করে দিয়েছিল অল্প কয়দিনের মধ্যেই। ফলে মাঝে মধ্যেই আমাদের ডাক পড়ত রটারডাম, ইন্ডোভেন, ডেলফ, গ্রোনিঙ্গেন ইত্যাদি শহরের বাঙালিদের কাছ থেকে। সেই স্মৃতি আমার এখনও মনে পড়ে।

লেখক: পদার্থবিজ্ঞানী, কলকাতা, ভারত

আরও পড়ুন