মশা আমাদের সবাইকেই কামড়ায়। তবে এ নিয়ে হয়তো দুবার ভাবি না আমরা। কিন্তু ভাবা উচিত। মশার কামড়ে সামান্য জ্বালাপোড়ার চেয়েও বড় সমস্যা হতে পারে। পরিস্থিতি হতে পারে মারাত্মক।
মশা যেহেতু বিভিন্ন প্রাণীর রক্ত পান করে, তাই এর মাধ্যমে নানা ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। মশার কারণে সৃষ্ট বেশির ভাগ রোগ দেখা যায় আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকায়। এর কারণে ডেঙ্গু জ্বর, ম্যালেরিয়া ও পীত জ্বর হতে পারে। তিনটিই মারাত্মক। আমাদের দেশের মানুষও মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ ডেঙ্গু। বর্তমানে এ রোগের প্রকোপও অনেক বেড়ে গেছে।
তবে সব মশা কিন্তু কামড়ায় না। শুধু স্ত্রী মশা কামড়ায়। কারণ স্ত্রী মশা রক্ত না খেলে বেশি ডিম পাড়তে পারে না। একবার কামড় দিয়ে মশা ০.০০১ থেকে ০.০১ মিলিলিটার রক্ত খেতে পারে। মশার জন্য এটাই পেটপুরে খাওয়া। আর সাবধান না হলে এটাই হতে আমাদের জন্য জটিল কোনো রোগের সূচনা।
যাহোক, এবারে চলুন মশার রক্ত খাওয়া নিয়ে ৫টি তথ্য জানা যাক।
১. নিশ্বাস শনাক্ত
মশা ২২ মিটার দূর থেকে মানুষ বা প্রাণীর নিশ্বাসের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শনাক্ত করতে পারে।
২. কতটা রক্ত খায়
একবার কামড় দিয়ে মশা ০.০০১ থেকে ০.০১ মিলিলিটার রক্ত খেতে পারে। মশার জন্য এটাই পেটপুরে খাওয়া।
৩. তৃষ্ণার্ত মশা
মশা তার দেহের ওজনের তিন গুণ রক্ত খেতে পারে।
৪. রক্তক্ষয়
আপনার দেহের সব রক্ত খেতে মশার প্রায় ১২ লাখ বার কামড়াতে হবে।
৫. তাপমাত্রায় আকৃষ্ট হয় মশা
পাশ দিয়ে মশা উড়ে যাওয়ার সময় শরীরের তাপ দেখে মশা আকৃষ্ট হয়।
৬. দুষ্টু মশা
গবেষণা বলছে, যাঁরা সম্প্রতি অ্যালকোহল সেবন করেছেন, তাঁদের মশা বেশি কামড়ায়।
সূত্র: হাউ ইট ওয়ার্কস