অ্যান্টার্কটিকার পড়শি সিলেট

এককালে পৃথিবীতে ছিল একটাই দেশ। দেশ নয় আসলে, অতিমহাদেশ। ভেঙে যখন দুটো হলো, তখন অ্যান্টার্কটিকার প্রতিবেশী ছিল সিলেট। এমন আজগুবি দাবির পক্ষে তথ্যপ্রমাণ আছে কি? আছে বটে। শুধু যে জিগস পাজলের মতো পৃথিবীর ভূখণ্ডগুলো মিলে যায়, তা নয়। পাওয়া গেছে প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণও…

শুনে আজগুবি মনে হতে পারে। কোথায় দক্ষিণ মেরু, আর কোথায় বাংলাদেশ! ভূগোলে বাংলাদেশের অবস্থান কর্কটক্রান্তির খানিকটা দক্ষিণে। এখান থেকে দক্ষিণ মেরু যেতে বিষুবরেখা পেরিয়ে সোজা দক্ষিণে আরও প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে হবে। দূরত্ব কি কম? কম নয়। তাই এই ভূখণ্ড একসময় দক্ষিণ মেরুর কাছে ছিল, কথাটা শুনলে মনে হবে ঠাট্টা। তবে যা ঠান্ডা পড়েছে, তাতে এ কথা ভেবে অনেকে মজাও পেতে পারেন!

ঠাট্টা নয়, একসময় সত্যিই এই অঞ্চল ছিল দক্ষিণ মেরুর কাছে। সে অবশ্য অন্তত ১০ কোটি বছর আগে। সে সময় ভারতীয় উপমহাদেশের এই অংশ ছিল অ্যান্টার্কটিকার পাশাপাশি। তারপর বিচ্ছিন্ন হয়ে উত্তরের দিকে সরতে শুরু করে ভারত ভূখণ্ড। মজার কথা হলো, সে সময়কার কিছু চিহ্ন এখনো রয়ে গেছে এ অঞ্চলে। ভারতের মেঘালয় প্রদেশে চেরাপুঞ্জির দক্ষিণে পাহাড়ের পাথরে তখনকার কিছু ঘটনার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। অ্যান্টার্কটিকা থেকে ভারতের অংশ যখন দূরে সরে যাচ্ছিল, তখন দক্ষিণ মেরুর কাছে এক জলমগ্ন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। সে সময় যে লাভা বেরিয়ে এসেছিল, আজও তার চিহ্ন রয়েছে সেখানে। ভূতাত্ত্বিকদের ভাষায় এর নাম ‘সিলেট ট্র্যাপস’। মেঘালয়ের দক্ষিণ সীমান্তে পাহাড়ের গায়ে এই আগ্নেয়শিলার অংশ দেখা যায়, যা প্রায় ১০ কোটি বছর আগের সেই জ্বালাময়ী ঘটনার সাক্ষ্য বহন করে চলেছে।

ব্যাপারটা ভালোভাবে বুঝতে পৃথিবীর আদি ইতিহাসের দিকে একঝলক তাকানো দরকার। পৃথিবীর মানচিত্রে আমরা যখন দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশের দিকে তাকাই, তখন কারও কারও মনে একটা কথা উঁকি দিতে পারে—এই দুই মহাদেশ জুড়ে দেওয়া গেলে ঠিক গায়ে গায়ে লেগে যেত। মানে, খাপে খাপে মিলে যেত একটার সঙ্গে আরেকটা! স্বাভাবিকভাবেই মনে হয়, এই দুই অংশ যেন কোনো কারণে ভেঙে দূরে সরে গেছে। ঠিক এ রকম এক ভাবনাই তাড়া করেছিল জার্মান বিজ্ঞানী আলফ্রেড ওয়েগেনারকে। শুধু কল্পনা করলেই তো হয় না, বিজ্ঞানে চাই প্রমাণ। আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে তিনি লক্ষ করেছিলেন, দক্ষিণ আমেরিকার পূর্ব দিকে এবং আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল বরাবর; অর্থাৎ আটলান্টিক মহাসাগরের দুই দিকে প্রায় একই ধরনের জীবাশ্ম রয়েছে। এটা প্রমাণ করে, এই দুই ভূখণ্ড একসময় জোড়া ছিল। প্রাণীদের যাতায়াত ছিল এই জায়গাগুলোতে। এরপর কোনো এক সময় এবং কোনো এক কারণে দুই ভাগ হয়ে দূরে সরে যায় অঞ্চল দুটি।

এমন কিছু প্রমাণের ওপর ভিত্তি করেই ওয়েগেনার ১৯১২ সালে ‘কন্টিনেন্টাল ড্রিফট’ তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছিলেন। তাঁর মূল বক্তব্য ছিল, সব কটি মহাদেশ একসময় এক জায়গায় জড়ো ছিল। সে প্রায় ২৫ কোটি বছর আগের কথা। তারপর সেই প্রকাণ্ড অতিমহাদেশ (সুপারকন্টিনেন্ট), যার নাম দেওয়া হয়েছে প্যানজিয়া, সেটা ভেঙে এক ভাগ হয়েছিল লরেশিয়া, অন্যটি গন্ডোয়ানাল্যান্ড। প্রথম ভাগে পড়েছিল বর্তমান ইউরোপের অংশ। দ্বিতীয় ভাগে ছিল বর্তমান দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও অ্যান্টার্কটিকার অংশ। এ ঘটনা ঘটে আনুমানিক ২০ কোটি বছর আগে।

অতিমহাদেশ প্যানজিয়া

আরও পাঁচ কোটি বছর পর গন্ডোয়ানাল্যান্ড ভেঙে যায়। তবে তখনো বর্তমান ভারতের পূর্ব দিকের অংশটি অ্যান্টার্কটিকার গায়ে লাগানো ছিল। তারপর সেই যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ১০ কোটি বছর আগে। সেই সময় থেকে ভারতের অংশটুকু ধীরে ধীরে উত্তরের দিকে সরে এসেছে। আজ থেকে প্রায় পাঁচ কোটি বছর আগে সেই ভারত-তরি ভিড়েছিল এশিয়ার উপকূলে। সেই ধাক্কার ফলে উত্তর সীমান্তে তৈরি হয়েছে হিমালয়।

প্রশ্ন উঠতে পারে, ইতিহাসের এই ঘটনাগুলোর কথা কীভাবে জানলেন বিজ্ঞানীরা? মহাদেশগুলোর বর্তমান যুগের গতিপ্রকৃতি থেকেই আগের অবস্থা আন্দাজ করে নেন তাঁরা। ভূপৃষ্ঠের টুকরা হয়ে যাওয়া অংশগুলোর পোশাকি নাম প্লেট। হাত থেকে কাপ-প্লেট পড়ে যেভাবে ভেঙে টুকরা হয়ে যায়, পৃথিবীপৃষ্ঠের অংশগুলোর চেহারা সেই কথাই মনে করিয়ে দেয় কিনা, তাই এই নামকরণ! সে যা–ই হোক, এই প্লেটগুলোর নড়াচড়া মাপতে পারেন বিজ্ঞানীরা। যেমন ভারতের প্লেট এখনো এশিয়ার প্লেটকে ধাক্কা দিচ্ছে। ফলে এভারেস্টের উচ্চতা বাড়ছে দিন দিন; অর্থাৎ এখনো এর উত্তরমুখী গতি অব্যাহত রয়েছে। খুব শ্লথগতিতে চলছে সেটি। বছরে পাঁচ সেন্টিমিটারের মতো এগোয়। আমাদের আঙুলের নখ যে গতিতে বাড়ে, প্রায় সেই রকম! তবে শম্বুকগতি হলেও বিজ্ঞানীদের সূক্ষ্ম মাপজোখের চিহ্ন ধরা পড়ে। সেই হিসাব থেকে অতীতে কী হয়েছিল, সেই ঘটনাগুলোর আভাস পাওয়া যায়। সে সূত্র ধরেই বিজ্ঞানীরা আদিম যুগের অতিমহাদেশের কথা ভেবেছেন।

কারগুলিনের ওপর ছিল ভারতের প্লেটের পূর্ব সীমান্তের অঞ্চল। এখন যেখানে শ্রীহট্ট রয়েছে। সেই অঞ্চলেই ছিল ভারত-অ্যান্টার্কটিকার সীমান্ত।

ভারত ভূখণ্ডের প্লেট যখন অ্যান্টার্কটিকা থেকে বিদায় নিয়ে চলতে শুরু করেছিল, তখন ঠিক তার নিচেই ছিল জলমগ্ন এক বিশাল আগ্নেয়গিরি। এর নাম কারগুলিন। এক ফরাসি ভূপর্যটকের নামে এর পরিচিতি। প্রায় ২৫০ বছর আগে সেই অঞ্চলের একটি দ্বীপপুঞ্জ আবিষ্কার করেছিলেন তিনি, যা আগ্নেয়শিলা দিয়ে তৈরি। পৃথিবীর সবচেয়ে নির্জনতম জায়গা নাকি সেটা। তাই এর আরেক নাম ডেসলেশন দ্বীপপুঞ্জ। আগ্নেয়গিরিটি এখনো অ্যান্টার্কটিকার কাছেই দক্ষিণ মহাসাগরের পানির নিচে রয়ে গেছে। ভারতের প্লেট সেই জায়গা দিয়ে যাওয়ার সময় একটা কাণ্ড ঘটেছিল। নিচ থেকে শুরু হয়েছিল কারগুলিনের অগ্ন্যুৎপাত। আগ্নেয়গিরি থেকে বেরোনো লাভা ঠান্ডায় জমে গিয়ে ব্যাসল্টের মতো আগ্নেয়শিলা তৈরি করেছিল। বহু যুগ আগের ঘটনা, তাই এর ওপর মাটির স্তর জমা হয়ে সেই প্রাচীন আগ্নেয়শিলা চলে গেছে লোকচক্ষুর অন্তরালে, শুধু কয়েকটি জায়গা ছাড়া।

ঘটনাটির সময় কারগুলিনের ওপর ছিল ভারতের প্লেটের পূর্ব সীমান্তের অঞ্চল। এখন যেখানে শ্রীহট্ট রয়েছে। সেই অঞ্চলেই ছিল ভারত-অ্যান্টার্কটিকার সীমান্ত। সেই সীমান্তরেখা বরাবর পশ্চিম দিকে ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খন্ডেও চলে যাওয়া যায়। পুরুলিয়াতে এখন যেখানে দামোদর নদীর ওপর পাঞ্চেত বাঁধ বসানো হয়েছে, সেখানেও ছিল এই সীমান্ত। সেখানেও পাওয়া যায় সেই প্রাচীন আগ্নেয়শিলার চিহ্ন। ‘রাজমহল ট্র্যাপস’ নামে পরিচিত ঝাড়খন্ডের এই শিলা যে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির নিকটবর্তী ‘সিলেট ট্র্যাপস’-এর একই গোত্রের, তা বুঝতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। এই জায়গাগুলোর পাথরে সেই একই অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনার চিহ্ন রয়েছে।

প্যানজিয়া ভেঙে এক ভাগ হয়েছিল লরেশিয়া, অন্যটি গন্ডোয়ানাল্যান্ড। এ ছবিতে গন্ডোয়ানাল্যান্ডে অ্যান্টার্কটিকার পাশে ভারত উপমহাদেশ দেখা যাচ্ছে

অগ্ন্যুৎপাতের সময় যখন দমকে দমকে লাভা বেরিয়ে আসে এবং জমে গিয়ে পাথর তৈরি হয়, তখন তা অনেকটা সিঁড়ির ধাপের মতো দেখায়। সুইডেনের ভাষায় সিঁড়িকে বলে ট্র্যাপস। সেই থেকেই এই নামকরণ। যেমন ভারতের মহারাষ্ট্রের নানা জায়গায় পাহাড়ের গায়ে এমন সিঁড়ির মতো আকার দেখা যায়। সেই অঞ্চলের নাম ডেকান ট্র্যাপস। সেটিও এক অগ্ন্যুৎপাতের সময় সৃষ্টি হয়েছিল, তবে তা অনেক পরের ঘটনা। আজ থেকে প্রায় পাঁচ কোটি বছর আগের কথা। এর জন্য দায়ী অন্য একটি জলমগ্ন আগ্নেয়গিরি। যেটির লাভা থেকে তৈরি হয়েছে মরিশাসের মতো দ্বীপ ও লাক্ষা দ্বীপ দ্বীপপুঞ্জ। জলমগ্ন লাভা-পাহাড়ের ওপর ভেসে থাকা অংশগুলোই আমরা দেখি ভারত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ হিসেবে।

তাহলে কি শুধু সিলেট ও ভারতের রাজমহলের আগ্নেয়শিলাই একমাত্র প্রমাণ যে একসময় ভারতের পূর্ব দিকের অঞ্চল অ্যান্টার্কটিকার গায়ে লাগানো ছিল?

সেই জ্বালাময়ী কর্মকাণ্ডে কারগুলিনও কম যায়নি। শুধু সিলেট ট্র্যাপস তৈরি করে ক্ষান্ত হয়নি সেই আগ্নেয়গিরি। ভারতের প্লেট উত্তরে সরে যাওয়ার পরও এর অগ্ন্যুৎপাত থেকে লাভা বেরিয়ে এসে অনেকগুলো জলমগ্ন পাহাড় তৈরি করেছে। ভারত মহাসাগরের তলদেশের উঁচু–নিচু অংশগুলোর দিকে তাকালেই এগুলোর চিহ্ন দেখা যায়। চোখে পড়ে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর এক লম্বা পর্বতশ্রেণি। প্রায় ৯০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা বরাবর চলে গেছে এই জলমগ্ন পাহাড়ের সারি। তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘নাইনটি-ইস্ট-রিজ’। এ পর্যন্ত পড়ে নিশ্চয়ই আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কথা মনে পড়ছে আপনার। কারণ, আন্দামানের দ্রাঘিমাও তো প্রায় একই! কিন্তু না, কাছেপিঠে হলেও আন্দামানের সঙ্গে কারগুলিনের কোনো সম্পর্ক নেই। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সম্পূর্ণ আলাদা একটি প্লেটের অন্তর্গত। যার মধ্যে আছে ব্রহ্মদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মতো জায়গাগুলো।

তাহলে কি শুধু সিলেট ও ভারতের রাজমহলের আগ্নেয়শিলাই একমাত্র প্রমাণ যে একসময় ভারতের পূর্ব দিকের অঞ্চল অ্যান্টার্কটিকার গায়ে লাগানো ছিল? এমন কি কোনো জীবাশ্ম রয়েছে, যা ভারত ও অ্যান্টার্কটিকা—দুই জায়গাতেই পাওয়া গেছে? যেমনটা পাওয়া গিয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার ক্ষেত্রে? এমন যদি কোনো প্রাণীর জীবাশ্ম পাওয়া যায়, যারা প্লেট বিচ্ছেদের আগে দুই দিকেই বাস করত, তাহলে আদিম পৃথিবীর ইতিহাসের এই ঘটনার কথা আরও বিশ্বাসযোগ্য হয়।

মজার কথা হলো, এমন একটি জীবাশ্ম সত্যিই পাওয়া গেছে। আদিম পৃথিবীতে প্রায় ২৫ কোটি বছর আগে একধরনের প্রাণী ছিল, যেগুলো এখন আর নেই। এদের নাম দেওয়া হয়েছে লিস্ট্রোসরাস। খুবই ছাপোষা ও নিরামিষাশী প্রাণী ছিল এগুলো। আকারে শূকরের মতো ছোটখাটো। এদের জীবাশ্ম আগেই পাওয়া গিয়েছিল পুরুলিয়ার পাঞ্চেত পাহাড়ে। ১৯৭০ সাল নাগাদ অ্যান্টার্কটিকাতেও এদের জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। তারপর আর সন্দেহ থাকার কথা নয়।

লিস্ট্রোসরাস
দক্ষিণ মেরুর ঠান্ডা যদিও এখন এখানে নেই, তবু কম্বলের নিচে শুয়ে সেই প্রাণীগুলোর কথা মনে পড়তেই পারে।

দক্ষিণ মেরুতে পাওয়া লিস্ট্রোসরাসের জীবাশ্মে এক মজাদার চিহ্ন দেখেছেন একদল মার্কিন বিজ্ঞানী। ২০২০ সালে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে জানা যায় এই গবেষণার কথা। লিস্ট্রোসরাসের মুখ থেকে দুটি বড় দাঁত বেরিয়ে থাকত। এরা সেই দাঁত ব্যবহার করত বেলচার মতো। তাই বেলচার গ্রিক নাম লিস্ট্রোর কথা মাথায় রেখে এদের নাম রাখা হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা সেই দাঁতের জীবাশ্ম খুঁটিয়ে দেখেছিলেন। করাত দিয়ে দাঁতগুলো কাটার পর তার মধ্যে দেখেছিলেন অনেকগুলো রিং। গাছের কাণ্ডের রিংয়ের মতো। সেই রিংগুলো সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জেনেছেন, এই প্রাণীরা শীতঘুমে অনেকটা সময় কাটাত। সেটা খুব স্বাভাবিক। দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে যে ঠান্ডা, তাতে নট-নড়নচড়ন অবস্থায় যত সময় কাটানো যায়, তত ভালো!

দক্ষিণ মেরুর ঠান্ডা যদিও এখন এখানে নেই, তবু কম্বলের নিচে শুয়ে সেই প্রাণীগুলোর কথা মনে পড়তেই পারে। শীতঘুমে এরা একসময় তো এখানেই দিন কাটিয়েছে, যখন অ্যান্টার্কটিকার পড়শি দেশ ছিল এই অঞ্চল!

লেখক: জ্যোতির্বিদ, রামন রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বেঙ্গালুরু, ভারত

*লেখাটি ২০২৪ সালে বিজ্ঞানচিন্তার ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত