জগদীশচন্দ্র বসুকে নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত হবে বক্তৃতা অনুষ্ঠান। আজ ১৮ মে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ৫০৫ নম্বর কক্ষে এ আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। আলোর ইশকুলের আওতাধীন ‘বাঙালির বিজ্ঞানচর্চা’ সিরিজের প্রথম পর্ব হিসেবে আয়োজিত হচ্ছে এটি।
এতে বক্তব্য রাখবেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল। ‘জগদীশচন্দ্র বসু: বৈচিত্রের ভেতরে ঐক্যের সন্ধান’ শিরোনামের এ আলোচনায় জানা যাবে জগদীশচন্দ্র বসুর জীবন ও গবেষণার নানাদিক।
জগদীশচন্দ্র বসু বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার অগ্রপথিক। তিনি একাধারে পদার্থবিদ ও জীববিজ্ঞানী। পাশাপাশি লিখেছেন বিজ্ঞান কল্পগল্পও। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহারিক ও গবেষণাধর্মী বিজ্ঞানের সূচনা হয়েছে তাঁর হাত ধরে। রেডিও বিজ্ঞানের অন্যতম জনক তিনি। ১৮৯৫ সালে অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি করে কোনো তার ছাড়াই তা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণ করেছিলেন। এ ধরনের তরঙ্গকে বলা হয় মাইক্রোওয়েভ। আধুনিক রাডার, টেলিভিশন ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই তরঙ্গের ভূমিকা অপরিসীম। এ ছাড়া গাছের যে অনুভূতি আছে এবং একটি নির্দিষ্ট জীবনচক্র আছে, তা জগদীশচন্দ্র বসুই প্রথম প্রমাণ করেন।
আলোর ইশকুল বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উৎকর্ষধর্মী কর্মসূচী। এতে সঙ্গীত, সাহিত্য, চিত্রকলা, স্থাপত্য, ভাস্কর্য, চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে ইতিহাস, বিজ্ঞান, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে উৎকর্ষ চক্র ও বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। এরকম একটি বিজ্ঞান বক্তৃতা সিরিজের নাম ‘বাঙালির বিজ্ঞানচর্চা। এ সিরিজের প্রথম পর্ব, ‘বাঙালির বিজ্ঞানচর্চা: ১’ হিসেবে আয়োজিত হচ্ছে জগদীশচন্দ্র বসুকে নিয়ে এ বক্তৃতা। এসব বক্তৃতায় অংশ নিতে নির্ধারিত সময়ে নিবন্ধন করতে হয়।
আলোর ইশকুল নিয়ে বিস্তারিত জানতে দেখুন: bskbd.org/aalor-ishkool।