রাজধানীর নটর ডেম কলেজে অনুষ্ঠিত হলো ৮ম ইকো অ্যান্ড স্পেস সামিট। ২০-২২ ফেব্রুয়ারি ইকো অ্যান্ড স্পেস ক্লাবের উদ্যোগে এই সামিট আয়োজিত হয়।
এবারের সামিটে ১০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এতে শিক্ষার্থীরা অ্যাস্ট্রাল হান্ট (ট্রেজার হান্টের উন্নত সংস্করণ), অ্যাস্ট্রো টকসহ আরও অনেক ইভেন্টে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। এরমধ্যে অ্যাস্ট্রাল হান্টে নটর ডেম কলেজের পাঁচ একর ক্যাম্পাস জুড়ে লুকিয়ে রাখা জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কিত সূত্র ও সংকেত সমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এতে শুধু নটরডেমের বাইরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ সৌর দূরবীনের মাধ্যমে সূর্য পর্যবেক্ষণের সুযোগ ছিল। সামিটের টেলিস্কোপ পার্টনার MicB-এর সহায়তায় শিক্ষার্থীদের আকাশ সূর্য দেখানো হয়।
শিক্ষার্থীরা মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে এই সামিটে অংশ নেয়। নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি (প্রাইমেরি), ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি (জুনিয়র), নবম-দশম, এসএসসি ২৫ ব্যাচ এবং ও লেভেল (সেকেন্ডারি), একাদশ-দ্বাদশ, এইচএসসি ২৪ ব্যাচ ও এ লেভেল (হায়ার সেকেন্ডারি) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল ওপেন ফর আল ক্যাটাগরি।
অ্যাস্ট্রাল হান্টে নটর ডেম কলেজের পাঁচ একর ক্যাম্পাস জুড়ে লুকিয়ে রাখা জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কিত সূত্র ও সংকেত সমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এতে শুধু নটরডেমের বাইরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল।
অ্যাস্ট্রো টক নিয়ে উপস্থিত ছিলেন অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের সঙ্গে জড়িত ফটোগ্রাফির কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। একইসঙ্গে তাঁর জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ছবিগুলো নিয়ে ছিল ‘ফটোস্ফিয়ার এক্সিবিশন’।
জুবায়ের কাওলিন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এ ধরনের ইভেন্টের মাধ্যমে মহাকাশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা খুবই আশাব্যঞ্জক। মহাবিশ্বের অনুসন্ধান যত বাড়বে, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিও তত প্রসারিত হবে। আকাশ সংরক্ষণ করা, আলোকদূষণ থেকে রক্ষা করা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এর সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রাখা আমাদের দায়িত্ব।’
উৎসব সম্পর্কে নটর ডেম ইকো অ্যান্ড স্পেস ক্লাবের মডারেটর মো. নাজমুল হাসান বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও পরিবেশবিদ্যার বিস্ময়কর জগতে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে, এতে আমরা আনন্দিত। এই সামিট আমাদের কৌতূহল ও অনুসন্ধানের মানসিকতা বিকাশের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।’