শেষ হলো বাংলাদেশ এআই অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্ব। গত ১৮ মে, শনিবার রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই জাতীয় অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ১০ জনকে বাছাই করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক হাফিজ মো. হাসান বাবু। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক বি এম মইনুল হোসেন, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সহসভাপতি অধ্যাপক লাফিফা জামাল, রিভ সিস্টেমের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা রায়হান হোসেন, ই-জেনারেশন পিএলসির পরিচালক ইমরান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, কম্পিউটার বাংলা ভাষা প্রকল্পের পরামর্শক মামুনুর রশিদ, এটুআইয়ের পলিসি অ্যানালিস্ট মো. আফজাল হোসেন সারোয়ার ও বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
শুরুতেই সকালে শিক্ষার্থীরা চার ঘণ্টার পরীক্ষায় বসে। এ সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক চারটি সমস্যা সমাধান করে শিক্ষার্থীরা। শুধু অনলাইন বাছাই পর্বে নির্বাচিত ৪৫ শিক্ষার্থী এতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায়। পরীক্ষা শেষে ফলাফলের ভিত্তিতে মোট ১০ জন শিক্ষার্থীকে জাতীয় কাম্পের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।
১০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে আগামী ২২-২৫ মে ঢাকায় জাতীয় ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে। সেখান থেকে বাছাই করা হবে সেরা ৪ জন।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা হলো চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের আবরার শহীদ ও মিসবাহ্ উদ্দিন ইনান, সাউথ ব্রিজ স্কুলের আদিব বিন কাদির, স্কলার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের আসহাবুল ইয়ামীন, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের মো. মানজুম রহমান, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মোহাম্মদ সাদ, একাডেমিয়া স্কুলের রাফিদ আহমেদ, মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের এস এম সাবিব আব্দুলাহ্, সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তওসিফ ওয়াহিদ ও ধানমন্ডি গভ. বয়েজ হাই স্কুলের আরেফিন আনোয়ার।
এই ১০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে আগামী ২২-২৫ মে ঢাকায় জাতীয় ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে। সেখান থেকে বাছাই করা হবে সেরা ৪ জন। তারাই আগামী ৯-১৫ আগস্ট বুলগেরিয়ায় অনুষ্ঠেয় প্রথম আন্তর্জাতিক এআই অলিম্পিয়াডে অংশ নেবে।
এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন করে অনলাইন পর্বে অংশগ্রহণ করেছে। ৮ মে, বুধবার প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ওয়েবসাইট toph.co-তে অনুষ্ঠিত হয়েছে অনলাইন বাছাইপর্ব। সেখান থেকে বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের নিয়ে এখন অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় পর্ব।
বাংলাদেশ এআই অলিম্পিয়াড আয়োজন করছে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক, পাওয়ারড বাই রিভ চ্যাট। গোল্ড স্পনসর ব্রেইন স্টেশন ২৩। এআই ইনোভেশন পার্টনার ই-জেনারেশন। সিলভার স্পন্সর ইনটেলিজেন্ট মেশিনস। স্ট্রাটেজিক পার্টনার অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)। অ্যাসোসিয়েট পার্টনার প্রথম আলো। এনএলপি পার্টনার গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প। সহযোগিতায় রয়েছে ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টার, বাইটস ফর অল, বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড, জেআরসি বোর্ড, ওয়ার্ল্ড রোবট অলিম্পিয়াড-বাংলাদেশ, বাংলার ম্যাথ ও স্ক্র্যাচ বাংলাদেশ। ম্যাগাজিন পার্টনার হিসেবে আছে কিশোর আলো ও বিজ্ঞানবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তা।