৭১ বছর পর ফিরে আসছে ডেভিল কমেট। শিগগিরই তা বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে।
আগামী ২১ এপ্রিল, রোববার কালের আবর্তে আবারও দেখা যাবে এ ধূমকেতু। ফের দেখতে চাইলে অপেক্ষা করতে হবে আরও ৭১ বছর। তাই মহাকাশপ্রেমীদের এই ধূমকেতু দেখানোর দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ও রাজশাহী অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার। রাজশাহীর পদ্মাপাড়ের টি-বাঁধে সেদিন সন্ধ্যা সোয়া ৬টা থেকে সোয়া ৭টা পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। এ সময় টেলিস্কোপের সাহায্যে চাঁদ এবং বৃহস্পতি গ্রহও দেখানো হবে।
নাম যাই হোক, ২৯ কিলোমিটার ব্যাসের এই বস্তু নিশ্চয়ই যেকোনো মহাকাশপ্রেমীই দেখতে চাইবেন। প্রতি ৭১ বছর পরপর এটি দেখা যায়। তাই ২০৯৫ সালের আগে একে আর দেখা যাবে না
এ আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত। শুধু রাজশাহীর টি-বাঁধে গেলেই টেলিস্কোপের সাহায্যে দেখতে পারবেন ধূমকেতুটি। তবে ভাগ্য সহায় হলে এক ঢিলে তিন পাখিও মারতে পারবেন। আকাশ পরিস্কার থাকলে, মেঘ না থাকলে ধূমকেতু দেখার পাশাপাশি দেখতে পারবেন চাঁদ ও বৃহস্পতি গ্রহ।
ধূমকেতুটির নাম ১২পি/পন্স-ব্রুকস। দেখতে অনেকটা শিংয়ের মতো। তাই মজা করে অনেকে নাম দিয়েছে শিংওয়ালা ধূমকেতু। অনেকে আরও একধাপ এগিয়ে একে বলছে ডেভিল কমেট। নাম যাই হোক, ২৯ কিলোমিটার ব্যাসের এই বস্তু নিশ্চয়ই যেকোনো মহাকাশপ্রেমীই দেখতে চাইবেন। প্রতি ৭১ বছর পরপর এটি দেখা যায়। তাই ২০৯৫ সালের আগে একে আর দেখা যাবে না।
ধূমকেতুটি ধূলিকণা, শিলা ও বরফ দিয়ে তৈরি। তবে এর ইতিহাস বেশ পুরোনো। চীনা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্রথম ১৩৮৫ সালে এ ধূমকেতু দেখতে পান। এরপর ১৪৫৭ সালে দেখেছিলেন এক ইতালীয় জ্যোতির্বিদ। তবে নামকরণ করা হয়েছে আরও পরে। দুই জ্যোতির্বিজ্ঞানীর নামানুসারে এর নাম রাখা হয়। ১৮১২ সালে ফরাসি জ্যোতির্বিদ জিন-লুই পন্স-এর নামানুসারে ধূমকেতুর প্রথম অংশ এবং ১৮৮৩ সালে মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম ব্রুকসের নামানুসারে এর দ্বিতীয় অংশের নামকরণ করা হয়েছে।
এ ধূমকেতু নিয়ে আরও জানতে পড়ুন: ৭১ বছর পর ফিরে আসছে যে ধূমকেতু