নাটকের কলাকুশলীদের বিশ্রামের জায়গাকে গ্রিনরুম বলে কেন

ছবি: উইকিপিডিয়া

বাংলায় যদি বলি ‘সবুজ ঘর’, তাহলে অনেকেই হয়তো বুঝবে না। কিন্তু ‘গ্রিনরুম’ বললে সহজেই বুঝে নেবে সবাই। নাটক বা থিয়েটারের সঙ্গে জড়িতরা তো জানেই, যারা মঞ্চনাটকের দর্শক, তারাও অনেকে হয়তো জানো এ কথা। নাটকের কলাকুশলীদের জন্য মঞ্চের ঠিক পাশের একটি ঘরকে সাধারণত গ্রিনরুম নামে ডাকা হয়। নামটা এ রকম কেন, তা নিয়ে খুব কমই জানা যায়। যেটুকু জানা যায়, তা নিয়েও আছে বির্তক। লন্ডনের একটি মঞ্চনাটকে শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন নাট্যকার টমাস শেডওয়েল। সালটা ছিল ১৬৭৮।

যতদূর জানা যায়, শেক্সপিয়ারের সময়ে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা মঞ্চের পাশের একটি ঘরে বিশ্রাম নিতেন। সঠিক আদ্রর্তা বজায় রাখতে সেই ঘরটি বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া গাছপালায় ভর্তি থাকত। কারণ, সে সময় বিশ্বাস করা হতো, এ আদ্রর্তার কারণে কলাকুশলীদের কন্ঠস্বর ঠিক থাকে। অনেকেই বলেন, গাছের এই সবুজের কারণেই পরে ঘরটির নাম হয়ে যায় গ্রিনরুম।

আরেক দলের দাবী, মানুষের ওপর বিভিন্ন রং বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। এ জন্য বেশির ভাগ গ্রিনরুমের দেয়াল সবুজ রঙে রাঙানো হতো। কারণ মঞ্চে ওঠার আগে কলাকুশলীরা অনেকেই বেশ নার্ভাস বোধ করেন। কিন্তু তাঁরা কিছুটা আরাম বোধ করেন সবুজ রঙের প্রভাবে। ঠিক একই কারণে হাসপাতালের দেয়াল সাধারণত সবুজ বা হালকা সবুজ বা সাদা রঙে রাঙানো হয়। আবার মঞ্চের অতিরিক্ত আলোয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের চোখ জ্বালা করে। গ্রিনরুমের সবুজ রঙের কারণে তাদের চোখের আরাম হয়। সেখান থেকেই থিয়েটারের মঞ্চের পাশের এই ঘরটিকে গ্রিনরুম বলে ডাকা হয়।