ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করার জনপ্রিয় ভুল ধারণাটি হলো, এই চুল বা লোম রাতে কোনো পোকা খেয়ে ফেলছে, বিশেষত তেলাপোকা। সঙ্গে সঙ্গে আপনি তেলাপোকা নিধনে লেগে যেতে পারেন। কিন্তু আসলে আপনি একটা ভুল বিশ্বাস নিয়ে থেকে গেলেন
হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, মাথায় বা শরীরের অন্য কোনো অংশে গোল করে পয়সার মতো একটু জায়গা থেকে চুল বা লোম নেই।
ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করার জনপ্রিয় ভুল ধারণাটি হলো, এই চুল বা লোম রাতে কোনো পোকা খেয়ে ফেলছে, বিশেষত তেলাপোকা। সঙ্গে সঙ্গে আপনি তেলাপোকা নিধনে লেগে যেতে পারেন। কিন্তু আসলে আপনি একটা ভুল বিশ্বাস নিয়ে থেকে গেলেন। আর কয়েক দিন পর আবার যখন আরেক জায়গার চুল বা লোম ঝরে পড়বে, তখন ঘুম মাথায় উঠবে।
আসলে এটা একটা মেডিকেল কন্ডিশন, নাম হলো অ্যালোপেশিয়া এরিয়েটা। এটা একটা অটো ইম্যিউন ডিজিজ। মানে হলো, দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা রোগব্যাধির সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে কখনো সেম-সাইড আক্রমণ করে ফেলে। যেকোনো যুদ্ধে এটা একটা সাধারণ ঘটনা। কাজেই দেহকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এ রকম আক্রমণ করতে গিয়ে কখনো চুলের ফলিকলকে আক্রান্ত করে ফেলে। তখনই এ রকম জায়গায় জায়গায় চুল বা লোম ঝরে পড়ে। তবে মনে রাখা দরকার, এটা মোটেও কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। কারণ, এ রোগের পেছনে আছে কোনো ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস।
মাথার অনেক বেশি জায়গায় না হলে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করাই ভালো। সাধারণত এমনিতেই সেরে যায়। বেশি মাত্রায় হলে বা দীর্ঘদিনেও না সারলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ কাউকে দেখানো উচিত। এ ছাড়া চিকিত্সকের পরামর্শে মলম বা স্টেরয়েড ইনজেকশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
লেখক: স্টাডি ফিজিশিয়ান, জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ।