মানব দেহের অদ্ভুত ৭ তথ্য

১. চোখ প্রতি ঘণ্টায় প্রায় এক চা চামচ অশ্রু তৈরি করতে পারে

আপনার চোখ প্রতি ঘণ্টায় প্রায় এক চা চামচ অশ্রু তৈরি করতে পারে। পানি, লবণ ও অ্যান্টিবডির সংমিশ্রণ হলো অশ্রু। এটি তিন প্রকার। ব্যাসাল টিয়ার, রিফ্লেক্স টিয়ার ও ইমোশনাল টিয়ার। চোখ সব সময় ভেজা রাখতে কিছু অশ্রু নিঃসৃত হয়। এটাই ব্যাসাল টিয়ার। পেঁয়াজ কাটলে যে অশ্রু নিঃসৃত হয় সেটা রিফ্লেক্স টিয়ার। আর দুঃখ বা খুশিতে কাঁদলে যে অশ্রু ঝরে, সেটা ইমোশনাল টিয়ার।

২. মানবদেহ ১০ ট্রিলিয়ন কোষ দিয়ে গঠিত

প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন কোষ দিয়ে আপনার শরীর গঠিত। এক ট্রিলিয়ন মানে ১-এর পরে ১২টি শূন্য। মানবকোষের আদর্শ আকার হলো ১০ মাইক্রোমিটার। ভর প্রায় ১ ন্যানোগ্রাম। ১৬৬৫ সালে দেহকোষ বোঝাতে সেল (Cell) শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী রবার্ট হুক।

আরও পড়ুন

৩. প্রসারিত দুই হাতের উচ্চতা আপনার সমান

আপনার প্রসারিত দুই হাতের সমান আপনার উচ্চতা। অর্থাৎ আপনার দুই হাত প্রসারিত করলে যত মিটার হবে, আপনার উচ্চতাও হবে ঠিক তত মিটার। বাংলাদেশের মানুষের গড় উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। তবে মানুষভেদে এটা কম বেশি হয়।

৪. অনেক সময় ঘুমানো অবস্থায় মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয় থাকে

অনেক সময় জেগে থাকার তুলনায় ঘুমানো অবস্থায় মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয় থাকে। মানবদেহের বেশির ভাগ কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের মস্তিষ্ক। মানব মস্তিষ্কে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন নিউরন আছে। নিউরনের কারণে আমরা যেকোনো সংকেত দ্রুত গঠন করতে পারি।

আরও পড়ুন

৫. শরীরের মোট ওজনের ৬১ ভাগ পানি

আমাদের শরীরের মোট ওজনের ৬১ ভাগ পানি। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বয়ে পানি তৈরি হয়। তাই এ দুটি উপাদানের সঙ্গে কার্বন, নাইট্রোজেন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, সালফারসহ প্রায় ৬০ ধরনের মৌল থাকে মানবদেহে।

৬. চোখ খোলা রেখে হাঁচি দেওয়া অসম্ভব

চোখ খোলা রেখে হাঁচি দেওয়া অসম্ভব। হাঁচির বেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। তাই হাঁচি আটকে রাখার চেষ্টা করা উচিৎ নয়। হাঁচি ৫ ফুট পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে ঘুমিয়ে থাকলে আমাদের হাঁচি আসে না। কারণ হাঁচির স্নায়ুগুলো তখন ঘুমিয়ে থাকে।

৭. পায়ের নখের চেয়ে হাতের নখ দ্রুত বাড়ে

পায়ের নখের চেয়ে হাতের নখ দ্রুত বাড়ে। হাতের নখ প্রতি মাসে গড়ে ৩ দশমিক ৪৭ মিলিমিটার বাড়ে। কিন্তু পায়ের নখ বাড়ে ১ দশমিক ৬২ মিলিমিটার। তবে বয়স ও হরমোনের কারণে ব্যক্তিভেদে নখের দৈর্ঘ্য বাড়ার হার কম বেশি হতে পারে।

লেখক: সদস্য, সম্পাদনা দল, বিজ্ঞানচিন্তা

সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফি, উইকিপিডিয়া, হেলথ লাইন ডট কম

এই সিরিজের আরও লেখা পড়ুন