ফটোফিচার
নেচার ফটোগ্রাফি কনটেস্ট ২৪ প্রতিযোগিতায় অনিন্দ্য সুন্দর ১০ ছবি
পর্দা নামল ‘নেচার ফটোগ্রাফি কনটেস্ট ২৪’-এর। ঘোষণা করা হয়েছে বিজয়ী। গত বছরের প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীদের অদেখা জগত নিয়ে সাজানো হয় এই প্রতিযোগিতা। এটা এই প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় বছর।
প্রকৃতিপ্রেমী ও নতুন ফটোগ্রাফারদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে নেচার ফটোগ্রাফি কনটেস্ট। এখনো এটি অনলাইনেই আয়োজন করা হচ্ছে। এ প্রতিযোগিতায় প্রকৃতির সৌন্দর্য তুলে ধরা চেষ্টা করেন অংশগ্রহণকারীরা। সঙ্গে তাঁরা প্রকৃতিকে বাঁচানোর জন্য বিশ্বকে সচেতন করার কাজ করছেন। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের ফটোগ্রাফাররা এতে অংশ নিতে পারেন।
২০২৪ সালের বিশ্বসেরা সেই ছবিগুলো থেকে কয়েকটি বিজ্ঞানচিন্তার পাঠকদের জন্য প্রকাশিত হলো।
১. পেঙ্গুইন ফটোগ্রাফার
নেচার ফটোগ্রাফি কনটেস্ট ২৪-এ সেরাদের সেরা খেতাব জিতেছে ‘এম্পেরর স্পাই’ শিরোনামের ছবিটি। এই ছবি ক্যামেরাবন্দী করেন ভারতের কেরালার ফটোগ্রাফার থমাস বিজয়ন। সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি মা পেঙ্গুইন ক্যামেরা দেখে দাঁড়ায় এবং ক্যামেরার লেন্স দিয়ে সামনের দৃশ্য দেখার চেষ্টা করে। সেই সময় অপরপাশে আরেকটি ক্যামেরা নিয়ে বসেছিলেন থমাস বিজয়ন।
২. অগ্নুৎপাত
গভীর রাতে আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। চারপাশের নীরবতা ভেঙে আগুনের আলো দূর আকাশে ছড়িয়ে পড়ে। দূর থেকে এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেছেন ফ্রান্সিসকো কর্টেস আরিয়াস। নেচার ফটোগ্রাফি কনটেস্ট ২৪-এর ‘রাতের জগৎ’ ক্যাটাগরির বিজয়ী এই ছবি।
৩. সবুজ রিং
ছবিটি সাউদার্ন পিগমি লেদারজ্যাকেট নামে একটি ফাইলফিশের। যে রিং বা বলয়টার মধ্যে মাছটাকে দেখা যাচ্ছে, সেটা আসলে মাছের চোখ। ক্যামেরার লেন্সের কারণে এই ইফেক্টি তৈরি হয়েছে। ছবিটি সাগরতল থেকে তুলেছেন কওন চ্যান।
৪. করমর্দন
একটি বিশাল তিমি করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। স্কুবাড্রাইভারের এক হাতে ক্যামেরা থাকায় সে অন্য হাত বাড়িয়ে দেয়। এই অসাধারণ মুহূর্তটির ছবি তুলেছেন সিনা রিটার।
৫. প্রকৃতির কেশ
দেখে মনে হচ্ছে, কেউ যেন নীল-কালো রঙের বিশাল কেশ মেলে ধরেছে। বিশাল হিমবাহ গলে ছোট ছোট খাল, বিল ও নদী পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই অসাধারণ দৃশ্য তৈরি করেছে। ছবিটি তুলেছেন স্টুয়ার্ট চ্যাপ।
৬. উলটপালট দুনিয়া
বলতে পারবেন, কোনটা সোজা আর কোনটা উল্টো? ছবিটি দেখলে মনে হবে, দুনিয়াটা যেন ওলটপালট হয়ে গেছে। টমাস বিজয়ন আসলে গাছের ওপর থেকে ছবিটি তুলেছেন। তাকে দেখে একটি লাল শিম্পাঞ্জি গাছে উঠতে শুরু করে। নিচের জলাশয়টি আয়নার মতো কাজ করায় ছবিটি এমন দেখাচ্ছে।
৭. আমরা তিন জন
শিকারের পর লেকের শান্ত পানিতে তিনটি ডালমেশিয়ান পেলিকান বিশ্রাম নিচ্ছে। এরা বিশাল থলিযুক্ত ঠোঁটের জন্য পরিচিত। ছবিটি তুলেছেন ফিলিপ মালি।
৮. হাসতে নেই মানা
একটি মৃত গাছের ডালে বসে এক গ্রেট প্লেইন প্রজাতির প্যাঁচা মনের আনন্দে হাসছে। এই প্রজাতি গায়ে দাগ দাগ রঙের জন্য খুব পরিচিত উত্তর বোরিয়াল বনে। ছবিটি তুলেছেন প্যাট্রিক কুরক।
৯. বন্দীর দশা
বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে বন্দী অবস্থায় রয়েছে আমেরিকান কালো ভালুক। আর ভালো লাগছে না বন্দীদশা। মাঝেমধ্যে এরা জঙ্গল থেকে শহরে খাবারের সন্ধানে চলে আসে। খাবার খাওয়া হয়ে গেলে নিজেরাই আবার বনে ফিরে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে না ফিরে গেলে বন্দী করে আবার বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছবিটি তুলেছেন রব গ্রিন।
১০. স্বর্গীয় ঘুম
ফটোগ্রাফার ক্রিস্টোফার পায়টকাউ ড্রোন দিয়ে চারপাশের ছবি তুলছিলেন। বসন্তের আগমনে চারদিক যখন ফুলে ভরে গেছে, তখন একটি বাগানে ফুলের গালিচার মধ্যে এই মেরু ভালুক কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিচ্ছিল। সেটাই ক্যামেরাবন্দী করেছেন পায়টকাউ।