গ্যালাক্সি, জলহস্তি ও অন্যান্য

১. জলহস্তীর বাচ্চার ওজন ১২ বছর বয়সী মানুষের সমান

জলহস্তী বেশির ভাগ সময় পানিতে থাকে
ছবি: পিপল ডটকম/ ডালাস জু

সদ্য জন্মানো একটা জলহস্তির ওজন ১২ বছর বয়সী একটা শিশুর ওজনের সমান হতে পারে। জলহস্তী বেশির ভাগ সময় পানিতে থাকে। তবে মাঝেমধ্যে স্থলেও দেখা যায়। এর বৈজ্ঞানিক নাম হিপ্পোপটেমাস অ্যাম্ফিবিয়াস (Hippopotamus amphibius)। একটা পূর্ণবয়স্ক জলহস্তীর ওজন মোটামুটি ১,৫০০-১,৮০০ কেজি। আর ১২ বছর বয়সী মানুষের গড় ওজন প্রায় ৪০ কেজি।

২. প্রাচীনতম কাগজের বয়স প্রায় ২,৬০০ বছর

কাগজ আবিষ্কারের আগে মিশরে লেখা হতো প্যাপিরাসে

পৃথিবীর প্রাচীনতম কাগজের টুকরোটি তৈরি হয়েছিল আজ থেকে ২ হাজার ৬০০ বছরেরও বেশি আগে। কাগজ আবিষ্কারের আগে মিশরে লেখা হতো প্যাপিরাসে। এটাও উদ্ভিদ দিয়েই তৈরি। তবে সত্যিকারের কাগজের ব্যবহার প্রথম শুরু হয় পূর্ব হান যুগে, চীনে।

৩. আগ্নেয়গিরিতে বাস করে হাঙর

হ্যামারহেড হাঙর
ছবি: উইকিমিডিয়া

বিজ্ঞানীরা পানির নিচে সমুদ্রতলের আগ্নেয়গিরিতে বাস করে, এমন হাঙর পেয়েছেন। আগ্নেয়গিরিতে বাসকারী কয়েক প্রজাতির হাঙরের একটা ছোট্ট দল পাওয়া গেছে। এরা অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে বাস করতে পারে। এই হাঙরগুলো দেখা যায় প্রশান্ত মহাসাগরে। বিজ্ঞানীরা সেখানে হ্যামারহেড হাঙর (হাতুড়িমুখো হাঙর) ও সিল্কি হাঙরের (রেশমি হাঙর) দেখা পেয়েছেন।

৪. অর্কিড থেকে মানুষের গন্ধ ছড়ায়

এই গন্ধে মশা আকৃষ্ট হয়ে অর্কিডের পরাগায়ন করে
ছবি: প্লান্টনেট ডট অর্গ

কিছু অর্কিডের গন্ধ মানুষের শরীরের গন্ধের মতো। এই গন্ধে মশা আকৃষ্ট হয়ে অর্কিডের পরাগায়ন করে। প্লাটানথেরা ওবটুসাটা (Platanthera obtusata) নামের অর্কিড মশাকে আকৃষ্ট করতে পারে। তবে কীভাবে আকৃষ্ট করে, বিজ্ঞানীরা তা এখনো জানেন না। তবে মানুষ এই গন্ধ পায় না। মশা গন্ধটা টের পায়। মানুষের গন্ধ শুঁকে মশা মানব শরীরে বসে এবং রক্ত খায়। কারণ, রক্ত না খেলে স্ত্রী মশারা ঠিকভাবে ডিম পাড়তে পারে না। 

৫. মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ২০ শতাংশ নক্ষত্রে আছে পাথুরে গ্রহ

মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি

মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির প্রতি ৫টি নক্ষত্রের একটিতে টেরেস্ট্রিয়াল বা পাথুরে গ্রহ রয়েছে। আমাদের সৌরজগৎ এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিরই অংশ। এখানে প্রায় ১০০ থেকে ৪০০ বিলিয়ন নক্ষত্র আছে। সূর্য তার মধ্যে মাত্র একটি। গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে আমাদের সৌরজগতের অবস্থান প্রায় ২৭ হাজার আলোকবর্ষ দূরে।

৬. নীল তিমির জিবের চেয়ে হাতির ওজন কম

নীল তিমি
ছবি: উইকিমিডিয়া কমনস

বেশির ভাগ হাতির ওজন নীল তিমির জিবের চেয়ে কম। নীল তিমির জিবের ওজন প্রায় ২ হাজার ৭০০ কিলোগ্রাম। সাধারণত এশিয়ান হাতির গড় ওজন ৪ হাজার কেজি ও আফ্রিকান হাতির গড় ওজন হয় ৬ হাজার কেজি। অন্যদিকে নীল তিমির ওজন গড়ে ১ লাখ ৩০ হাজার কেজি থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার কেজি হতে পারে। এশিয়ান হাতির গড় ওজন ৪ হাজার কেজি হলেও অনেক হাতির ওজন ২ হাজার ৭০০ কেজির কম।

৭. মেঘের মধ্যে কমপক্ষে ১২৯ বিলিয়ন টন পানি থাকে

আকাশ নীল হলেও মেঘ কেন সাদা, সে প্রশ্নের উত্তর আছে পদার্থবিজ্ঞানের কাছে

মেঘের মধ্যে সব সময়ই অন্তত ১২৯ বিলিয়ন টন পানি থাকে। (১ টন সমান প্রায় ৯০৭ কেজি।) তবে অনেক বড় মেঘে ২ বিলিয়ন টনেরও বেশি পানি থাকতে পারে। ভূপৃষ্ট থেকে ওপরের দিকে সাধারণত তাপমাত্রা কম থাকে। ফলে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে পানির ফোঁটায় পরিণত হয়। এই ফোঁটা একত্রিত হয়ে তৈরি হয় মেঘ। পরে তা পৃথিবীতে বৃষ্টি আকারে ঝরে পড়ে। 

সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফি কিডস, হাউ ইটস ওয়ার্কস, হেলথ লাইন ডট কম, ইনডিফেন্স অব প্ল্যান্টস, স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন

আরও পড়ুন