দুটি নতুন ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানীরা। উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ জাত দুটি উদ্ভাবন করেছেন গাজিপুরের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীরা। ৯ জানুয়ারি, মঙ্গলবার জাতীয় বীজ বোর্ডের ১১১তম সভায় নতুন এই জাত দুটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্রি ধান ১০৭’ ও ‘ব্রি ধান ১০৮’। এ নিয়ে মোট ১১৫টি ধানের জাত উদ্ভাবন করল ব্রি।
ব্রি ধান ১০৭ উফশী বালাম জাতের বোরো ধান। পূর্ণ বয়স্ক হলে ধান গাছের গড় উচ্চতা হয় ১০৩ সেন্টিমিটার। গড় জীবনকাল ১৪৩ দিন। পাতা প্রশস্ত, খাড়া ও লম্বা, সবুজ রঙের। প্রতি হেক্টরে গড় ফলন ৮.১৯ টন। তবে অনুকূল পরিবেশে হেক্টরপ্রতি ৯.৫৭ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম। এ ধানের চালে অ্যামাইলেজ এবং প্রোটিনের পরিমাণ যথাক্রমে ২৯.১ ও ১০.২ ভাগ। এক হাজার পুষ্ট ধানের ওজন ২৬.১ গ্রাম। চাল অতি চিকন ও ভাত হবে ঝরঝরে।
ব্রি ধান ১০৭ জাতের উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেন ব্রির উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আবদুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আশা করছি জাতটি দ্রুত কৃষকদের মধ্যে সাড়া ফেলবে। এ জাতে ১০.০২ শতাংশ প্রোটিন রয়েছে। অন্য ধানগুলোতে প্রোটিনের মাত্রা ৬ থেকে ৮ শতাংশ। তাই এটিকে আমরা উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ বলছি।’
‘এই চালের ভাত খেতে হবে সুস্বাদু। প্রতি হেক্টরে ফলন হবে ৮.৭ টন। ফলে কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন।’
ব্রি ধান ১০৮ পূর্ণ বয়স্ক হলে গাছের গড় উচ্চতা হয় ১০২ সেন্টিমিটার। গড় জীবনকাল ১৫০ দিন। পাতা খাড়া ও গাঢ় সবুজ। জাতটি উচ্চফলনশীল। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ৮.৭ টন। এই জাতের এক হাজার পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ১৬.৩ গ্রাম। চাল মাঝারি, লম্বা ও চিকন। ভাত হবে ঝরঝরে, রং সাদা। এটাতে প্রোটিনের মাত্রা ৮.৮ শতাংশ।
উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম মাসুদুজ্জামানের নেতৃত্বে ব্রি ধান ১০৮ জাতটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই চালের ভাত খেতে হবে সুস্বাদু। প্রতি হেক্টরে ফলন হবে ৮.৭ টন। ফলে কৃষকরা বেশি লাভবান হবেন।’
সূত্র: প্রথম আলো