শরীরে আঁচড় লাগলে ফুলে যায় কেন?

প্রশ্ন:

শরীরে আঁচড় লাগলে ফুলে যায় কেন?

যদি পাল্টা প্রশ্ন করি, ফুলে যাবে না কেন? আপনি আঁচড় দিয়ে চামড়ার বারোটা বাজাবেন, আর শরীর তার তেজ দেখানর জন্য একটু ফুলে উঠতেও পারবে না? আপনি হয়তো বলবেন, এই দেখুন, আঁচড় দিলাম আর অমিন ত্বকের একটি বড় অংশ ফুলে উঠল। আর আপনি বলতে চাচ্ছেন এটা শরীরের ক্ষোভ প্রকাশের ব্যাপার? আরে না, না। খবরদার ওই কাজটি করবেন না। কখনো শরীরে নখের আঁচড় দেবেন না। এতে অনেক সমস্যা হবে। এমনকি শরীরে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়ে জ্বালাপোড়া শুরু হবে। আপনাকে শেষ পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হতে পারে। এই সাবধানতার কথাটা বলার জন্যই একটু মজা করে আপনার প্রশ্নের উত্তর শুরু করেছি।

এবার আসল কথায় আসি। আমাদের চামড়া সাধারণত খুব স্পর্শকাতর। নখ দিয়ে আঁচড় কাটলে সেই জায়গাটা ফুলে ওঠে। একে বলা যায় ডারমাটোগ্রাফিজম, যে কারণে ত্বকে সামান্য চাপ পড়লে একটু ফুলে ওঠে। অল্পস্বল্প আঁচড়ের দাগ বা ফোলা অংশ অবশ্য আধা ঘন্টা–এক ঘন্টার মধ্য চলে যায়। কিন্তু বেশি জেরে আঁচড় লাগলে সেই ক্ষত থেকে ঘা হতে পারে। বিশেষ চিকিৎসার দরকার হয়। এখন প্রশ্ন হলো ডারমাটোগ্রাফি কেন হয়। এর একটি কারণ হতে পারে কারও কারও চামড়ায় আঁচড় লাগলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রতিরোধক হিসাবে যে পরিমাণ হিস্টামিন নিঃসৃত হওয়ার কথা তা হয় না। হিস্টামিন হলো এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যা শরীরের রোগ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়, শারীরের ভেতরের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে এবং নিউরোট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে। প্রকৃতপক্ষে বেশি জোরে আঁচড় লাগলে ত্বকের ফুলে ওঠা ছাড়া আর উপায় থাকে না।